২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:৪৩

করণীয় নির্ধারণ করতে না পারলে পরিণতি সবাইকেই বইতে হবে

  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা। গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১টার দিকে এ হামলা চালানো হয়। এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এই ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি বিভাগ ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ।

তিনি লিখেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ এই প্রথম ‘বর্বর পৈশাচিক’ হামলা চালায়নি, ডাকসু ভিপি নূর এই প্রথম হামলার শিকার হননি, কেবল ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মীরাই বারবার হামলার শিকার হচ্ছেন না, ভিন্নমতের মানুষদের ওপরে মামলা-হামলা-নির্যাতন গত বছরগুলোতে ব্যতিক্রম নয়-স্বাভাবিক বলেই ক্ষমতাসীনরা প্রচার করেছে, গর্ব করেই বলেছে। সেই আচরণকে উস্কে দেয়া, সমর্থন করা, বৈধতা দেয়ার ঘটনার সূচনা আজকে হয়নি, যারা তা করেন তাদের পরিচয় কারোরই অচেনা নয়। মুক্তিযুদ্ধের নামকে কলঙ্কিত করে এই প্রথম কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়নি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কারো কারো ভূমিকা পেটোয়া বাহিনীর চেয়েও ভয়ংকর রূপ নেয়ার ঘটনা এই প্রথম ঘটেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এই প্রথম হামলাকারীদের সুরেই কথা বলেছেন এমন নয়। সারা দেশে বারবার এই ধরণের হামলা-নির্যাতন ঘটেছে। প্রশ্ন হচ্ছে কিসের প্রতিবাদ করছেন-ঘটনার, ব্যক্তির ওপরে হামলার নাকি যে কর্তৃত্ববাদী শাসনের অনিবার্য ফসল এই ঘটনা? ক্ষমতাসীনদের হয়ে নামে বেনামে, রাষ্ট্রের বাহিনী বা দলের পেটোয়াদের এই আচরণ বিচ্ছিন্নভাবে দেখবার বিপদ যদি এখনো না বোঝেন, করণীয় নির্ধারণ করতে না পারেন তবে তার পরিণতি সবাইকেই বইতে হবে।

প্রসঙ্গত, রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ডাকসু ভবনের নিজকক্ষে নুরের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা। এ সময় নুরের সাথে থাকা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহবায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহবায়ক ‍মুঁহাম্মদ রাশেদ খান, ফারুক হাসান, মশিউর রহমানসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছে।