ভারতের এক পুশইনের জবাব দশ পুশব্যাকে!

  © টিডিসি ফটো

তাহলে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় চালাচ্ছে কারা? ভারত থেকে গণহারে বাংলাদেশে পুশইন করানো হচ্ছে শত শত ভারতীয় নাগরিককে। অথচ আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজকে বললেন, ভারত থেকে পুশইনের বিষয়ে সরকারিভাবে তিনি নাকি কিছু জানেন না। তিনি শুধুমাত্র পত্রপত্রিকায় বিষয়টি দেখেছেন। বিজিবির কাছ থেকেও তিনি এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাননি।

আশ্চর্য, গত রোববার এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, ‘আমাদের এখানে থাকা-খাওয়ার সুবিধা বেশি এ রকম একটি আশ্বাসে তাদের এখানে পাঠানো হয়েছে। এ কারণে বিজিবি ২৪০ জনকে আটকও করেছে।’ অন্যদিকে গতকাল সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদেরও জানান যে, ‘আসামে এনআরসির কারণে রোববার ৪৬ জনকে আটক করেছে বিজিবি।’

তার মানে, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ভারত থেকে পুশইনের বিষয়টি সরকারিভাবে জানলেও এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারিভাবে কিছুই জানেন না! তাহলে, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় চালাচ্ছে কারা?

এর আগেও, কাশ্মীরে ভারতীয় আগ্রাসনকে ভারতের ‘আভ্যন্তরীন বিষয়’ বলে স্বীকার করেছে বাংলাদেশ সরকার! বাবরি মসজিদকে মন্দির ঘোষনাকেও ভারতের ‘আভ্যন্তরীন বিষয়’ বলে স্বীকার করেছে বাংলাদেশ সরকার! আরো আশ্চর্যজনকভাবে এবার প্রায় ১৯ লক্ষ ভারতীয়কে ‘বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করাকেও ভারতের ‘আভ্যন্তরীন বিষয়’ বলছে বাংলাদেশ সরকার!

বাংলাদেশ সরকারকে স্পষ্ট করে বলতেই হবে, ভারতের ১৯ লক্ষ মানুষকে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী বলে বাংলাদেশে পুশইন ভারতের ‘আভ্যন্তরীন বিষয়’ নয়। এর সাথে বাংলাদেশের স্বার্থহানী জড়িত। এই কথা বাংলাদেশ সরকারকে বিশ্ববাসীর সামনে মাথা উঁচু করে প্রকাশ্যেই বলতে হবে। ভারতের এই পুশইন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কূটনৈতিকভাবে জোড়ালো প্রতিবাদ ও প্রচারনা চালাতে হবে। সেইসাথে অনতিবিলম্বে সীমান্ত বন্ধ করতে হবে। তিন স্তরের সীমান্ত চেকপোষ্ট বসাতে হবে। বিজিবির পাশাপাশি সীমান্তে সেনাবাহিনী নামাতে হবে। যে কোন রকমের পুশইনের কঠোর জবাব দিতে হবে। একটা পুশইন করলে দশটা পুশব্যাক করে এর কড়া জবাব দিতে হবে।

লেখক: আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ।


সর্বশেষ সংবাদ