আমার চোখে সেরা বাকৃবি, হতাশ করছে ঢাবি-বুয়েট
এই দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। সাধারণ মানুষের করের টাকায় লেখাপড়া করা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা যে কারও চেয়ে দেশকে অনেক বেশি দিয়েছে। গবেষণা কিংবা বাস্তবে প্রয়োগ সবদিক থেকেই তারা এগিয়ে।
ফেসবুক বলছে, দুই বছর আগে এইদিনে লিখেছিলাম কথাগুলো। লিখেছিলাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট বিনয়ী। আমাদের কৃষকরা যেমর নষ্ট হয়নি এরাও নষ্ট হয়নি। সেই তুলনায় আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, চিকিৎসা শিক্ষাব্যবস্থা কিংবা আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দিন দিন হতাশ করছে।
আপনারা অস্বীকার করতে পারেন, কিন্তু আমার মনে হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট আর মেডিকেলের ছেলেমেয়েরা সুপিরয়রিটি কমপ্লেক্সে ভোগে। এদের মধ্যে বুয়েটের ছেলেমেয়েদের একটা বড় অংশ নানা কারণে দেশ নিয়ে হতাশা হয়ে অভিযোগের আঙুল তুলতে তুলতে একদিন বিদেশে স্থায়ী হয়। আবার দেশও তাদের কাজে লাগাতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এখন শুধু আমলা আর কেরানী তৈরির বিশ্ববিদ্যালয়। সেই তুলনায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উদারভাবে দেশকে অনেক দিয়েছে।
হিসেব করে দেখেন, আজ দেশে ধান উদপাদন বলেন কিংবা সবজি। মাছ উৎপাদনের কথা বলেন কিংবা প্রাণী সম্পদ। সবক্ষেত্রে বাংলাদেশ শীর্ষে। দেখেন জমির পরিমান দিনকে দিন কমছে। কিন্তু ধান উৎপাদন বেড়েছে। মাছ বলেন সবজি। নিত্য নতুন জাত বের করছে তারা। আমি বলবো, দেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করেছে কৃষক আর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
বললে আরও অনেক কিছু বলা যাবে। আমি জানি না আপনারা আমার সাথে একমত হবেন কী না, আমি বলবো সবকিছু মিলিয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আর সেখানকার ছেলেমেয়েরাই এই বাংলায় সেরা।আরও বলবো, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষক বা কৃষি খাতের লোকজন যে কারও চেয়ে কম পেয়েও দেশকে সবচেয়ে বেশি দিচ্ছে। এই দেশের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক সবাইকে তাই ধন্যবাদ। আমার কাছে আপনারাই আসল বাংলাদেশ।
লেখক ও কলামিস্ট