জাহাঙ্গীরনগরের পোস্টমর্টেম
জাহাঙ্গীরনগরের ভিসি একজন মহান দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি। তার ছেলে এবং স্বামীর সকল উন্নয়নমূলক কাজে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিলো। তো বিরোধীপক্ষ (দলে এবং দলের বাহিরে) এটা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রতিবাদ করবেই সেই অবস্থাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এবং পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে ঢাল বানায়। ঠিক যেভাবে আখতারুজাম্মান স্যার বামদের আন্দোলনের মুখে ছাত্রলীগের উপর ভর করেছিলো।
এবং যেহেতু জাহাঙ্গীরনগরে শত কোটি টাকা লেনদেনের মামলা, সুতরাং সেখানে তাদের পার্টনার ইন ক্রাইম হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে টাকা দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ যখন বিষয়টি অবগত হয়; তারা স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে খোঁজ খবর শুরু করে।
আর এরমধ্যেই গুন্জন শুরু হয় যে তাদের মোটা অংকের টাকা দিতে হবে। এতেই ঘুম হারাম হয়ে যায় ভিসির। যেহেতু সে নিজ মুখেই বলেছেন যে, তার সাথে এই নিয়ে কারো কথা হয়নি। সুতরাং নিজের পিঠ বাঁচাতে তিনি গণভবনে বিচার দেন, সাথে মিডিয়া প্রভাবক তো আছেই। তারপর কি হলো সেটা আমরা সবাই দেখলাম।
শোভন-রাবান্নীকে সরিয়ে দেওয়ার দশটা কারণ থাকতে পারে, সেটা হতে পারে এক বছরেও দুটোর বেশি কমিটি না করতে পারা, পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরের যে নাটক হলো সেটাকে সামলে নিতে না পারা, রাব্বানীর অতিরিক্ত ফেম সিকনেস, শোভনের নেতাকর্মীদের গালিগালাজ করা, মধুর ক্যান্টিনে নিয়মিত না হওয়া, সাবেকদের অসম্মান, কথায় কথায় আপার ছাত্রলীগ বলে সাবেক সকল নেতাদের তাচ্ছিল্য করা, নেতৃত্বে অপরিপক্ততা।
এটা সময়ের সাথে হয়তো ঠিক হয়ে যেত, কিন্তু এই চাঁদাবাজির বিষয়টা ওদের ঘাড়ে চাপানো পুরোটাই আমি চলমান ছাত্রলীগের উপর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই দেখি।
লেখক: সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী