আপনারা ভিসি ওসি ডিসির চাকরি এক করে ফেলেছেন

  © সংগৃহীত

একটা ব্যাখা দেয়া দরকার...

১। শোভন-রাব্বানি নিয়ে যে চাঁদাবাজি নাটকটি মঞ্চস্থ হলো সেই রকম চাঁদাবাজির সাথে এদেশের ডান-বামসহ সব ধরণের ছাত্র এবং প্রধান সংগঠনগুলো সেই ষাটের দশক থেকেই জড়িত। আমার শ্বশুর ছিলেন স্টিল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের বড় কর্তা। এদেশের নামকরা বড় বড় নেতারা গিয়ে জোর করেই মাসোহারা নিয়ে আসতেন। তাদের নাম-দাম বললে আপনাদের পিলে চমকে উঠবে।

ছাত্রজীবনেও দেখেছি, ছাত্র নেতাদের প্রধান আয় হলো চাঁদাবাজি (সবাই না)। তবে সেগুলো ছিল নীরব চাঁদাবাজি। লোক লজ্জার ভয় ছিল। সমস্যাটা হচ্ছে এখন গণ লুটপাটের কারণে সেই চক্ষুলজ্জাটা চলে গেছে। যে যতবড় চাঁদাবাজ সে ততবড় রাজনীতিবিদ। চাঁদাবাজি নাই আপনার রাজনীতিও নাই। তবে চাঁদাবাজিটা করতে হবে আরো বেশি দক্ষতার সাথে এবং ডিজিটাল কায়দায়।

২। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করা আমার বিভাগের বড় আপা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফারজানা ইসলামের আর কোন নৈতিক অধিকার নেই ১৭ হাজার ছাত্রছাত্রীর অভিভাবক হিসেবে থাকার। স্বামী-সন্তান নিয়ে আপনি সুন্দর এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে দলবাজির চুড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। নিজে থেকেই দ্রুত চলে যান আপা। আপনারা ভিসি-ডিসি-ওসির চাকুরি এক করে ফেলেছেন। মানুষ ঘাস খায় না।

৩। এটাও স্বীকার করে নেয়া উচিত যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা এদেশের আরো আরো বিশ্ববিদ্যালয়েও ঘটে চলেছে এবং ছাত্রলীগের চেয়ে যুবলীগ আরো অনেক ডেসপারেট হয়ে উঠেছে যার স্বীকারোক্তি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে কবুল করা হয়েছে।

লেখক: শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


সর্বশেষ সংবাদ