আনন্দ উল্লাসের কিছু নেই, শোভন-রাব্বানী থেকে শিক্ষা নিন
প্রকৃতিতে লীলাখেলাটা আমরা যখন চরম মাত্রায় নিয়ে যায়, তখন উপর তলা থেকে আমাদের উপর নাজিল করা হয় কঠিন এক পরীক্ষা, আর সেই পরীক্ষার ফলাফলে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় প্রকৃতির গতিপথ।
কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা প্রকৃতির হৃদয়বিদারী ফলাফল দেখেও শিক্ষা গ্রহণ করি না। আর যারা ফলাফল দেখে শিক্ষাগ্রহণ করেন বা করেছেন তারাই সফলকাম।
এবার আসুন শিরোণামে একটু আলোকপাত করা যাক, গতকাল রাত একটায় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি শোভন সাহেব টিএসসিতে এসেছিলেন। সেখানে হাজারো নেতাকর্মীর ভিড়ে তিনি দাঁড়ালেন, উদ্দেশ্য জনতার নিমিত্তে দু-এক বাক্য খরচ করবেন। কিন্তু হটাত মুহূর্মুহূ স্লোগানে কেপে ওঠলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। তা কিন্তু শোভনের নামে নয়, নতুন কোকিলদের নামে। সবাই স্লোগান দিচ্ছে এরই ফাঁকে শোভন সাহেব দু-একটি কথা বলে দ্রুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ত্যাগ করেন।
এরাই আগের দিন পর্যন্ত শোভন রাব্বানীর নামে স্লোগান দিতে দিতে মুখে ফেলা তোলে ফেলত, কিন্তু প্রকৃতির গতিপথের সাথে এরাও এখন ৩৬০ ডিগ্রী এঙ্গেলে বাঁক নিয়েছে।।
আমি জানিনা সাবেক সভাপতির হৃদয়ে কাল কতোটা রক্তক্ষরণ হয়েছিল, কিন্তু ভবিষ্যৎ এ আরো হবে, তার জন্য প্রস্তুতি নেওয়াটায় বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে আমি মনে করি।।
প্রকৃতির এই লীলাখেলা দেখেও যখন আমরা বুঝি না, আবার অনেকে বুঝেও যখন না বুঝার ভান করে থাকি তখন কষ্ট লাগে আসলে আমরা কতোটা নির্বোধ। শোভন রাব্বানী তো একটা উদাহরণ মাত্র, এরকম হাজারো ঘটনা ঘটে চলেছে কিন্তু আমরা মনে রাখি না।
(একটা উদাহরণ দেই, আমাদের যখন কোন নিকটাত্মীয় মারা যায় তখন আমরা অনেক কান্নাকাটি করি, বিলাপ করি। অথচ সেই মৃত মানুষটিকে দেখে আমাদের আরো শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত ছিল যে তারজন্য না কেঁদে নিজের জন্য কাঁদা, তাহলেই সফলকাম হবে; মৃতব্যক্তির জন্য কেঁদে কোনো লাভ নাই)
যাইহোক, আজ শোভন রাব্বানীকে দেখে যারা শিক্ষা গ্রহণ করবে তারাই ভবিষ্যতে লাভবান এবং সফলকাম হবে ইনশাআল্লাহ। আর যারা সহমত ভাই তেলবাজি, চাটুকারিতা করবে তাদের পরিণতিও একদিন না একদিন এদের মতই হবে মাস্ট।।
প্রকৃতি তার নিজের নিয়মেই চলে, শুধু সময়মত হিসাবের খাতাটা খুলে ফলাফল জানিয়ে দেয়। ফলাফল গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নাও.......!
লেখক: যুগ্ম-আহবায়ক, ছাত্র অধিকার পরিষদ