একজন পুরুষ এগিয়ে এলেও ব্যাংক কর্মকর্তাকে বাঁচানো যেত
আজকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি মনোযোগ দিয়ে দেখলাম। প্রয়াত গওহর জাহান সেন্সলেস হন ১২:৩৫ এ আর তাকে evacuate করা হয় ১২:৪৬ এ। দীর্ঘ ১১ মিনিটে কোনো পুরুষ সহকর্মী সাহায্যের জন্য আসেননি। প্রাথমিক পর্যায়ে একজন পিছনে থাকলেও পরে সরে যান। যে ৬/৭ জন নারী সহকর্মী শুশ্রূষার চেষ্টা করছিলেন তাদের কেউ CPR দেওয়ার চেষ্টা করেননি। আর CPR এর জন্য যে প্রেসার দিতে হয় তা যে কোনো নারীর পক্ষে দেয়া সম্ভব কিনা তাও জানিনা। ডক্টরগণ ভালো বলতে পারবেন।
ড: দেবী শেঠীর মতে, হার্ট এটাকের রোগীকে CPR না দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া আর কফিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া একই কথা। ইন্টারনেট এর যুগে বিষয়টি প্রায় সকলেরই জানা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে,
‘‘CPR দেওয়া হলো না কেন?’
আমার ধারণা ২টি কারণ হতে পারে।
১. CPR এর প্রাথমিক জ্ঞান সম্পন্ন কেউ আশপাশে ছিল না। ২. সামাজিক বাঁধা, যা CPR থেকে আমাদেরকে বিরত রেখেছে, কারণ তিনি নারী।
প্রথমত, বর্তমান সময়ে ব্যাংকিংয়ের পিক আওয়ারে CPR এর প্রাথমিক ধারণাসম্পন্ন কেউ আশপাশে ছিল না, এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।
আর দ্বিতীয়ত ৬/৭ জন নারী সহকর্মী বার বার evacuate করার চেষ্টা করে ব্যার্থ হওয়ার পরও কোনো পুরুষ সহকর্মী সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। আর ১১ মিনিট পর আসলেও শরীরের উপরের অংশে ধরতে ইতস্ততঃ করছিলেন সেখানে বুকে pressure দিয়ে CPR দেয়া তো বাহুল্য। তাই দ্বিতীয় কারণটিকে নাকচ করে দিতে পারছি না।
প্রশ্ন: বাঁধাটা কি ধর্মীয়? আমাদের ধর্ম কি এত Rigid? সম্ভবত না। বাঁধাটা সামাজিক। আমাদের সমাজ অনেক Rigid. মুমূর্ষু গওহরকে নারী নয় patient হিসেবে treat করতে পারলে হয়তো মুমূর্ষু অবস্থা থেকেও ফেরানো যেত। (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)