প্রিয়া সাহারা এদেশে কেমন আছেন?
প্রিয়া সাহারা কত ভালো আছেন এদেশে। কত সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন? এ কথা বলতে গেলে ওদের গা জ্বালা করবে, খারাপ লাগবে। বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারি অফিসের বড় বড় পোস্ট পদবী গুলোর খোঁজখবর নিয়ে দেখেন। কিভাবে তারা পদগুলো অধিকার করে বসে আছেন।
এছাড়া কতজন সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, সিনিয়র সচিব আমলা ওরা। হিসেব নেন বিভিন্ন দপ্তর অধিদপ্তরের টপ পোস্টগুলোতে কারা বসে আছেন? ৬৪ জেলার ডিসি-এসপির তালিকায় দেখেন কতজন প্রিয়া সাহারা এসব পোস্টে। বাংলাদেশের থানাগুলো দেখেন কতজন ওসি ওরা।
এসব কথা বলতে গেলে আপনি হবেন সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী কত কি। অথচ এদেশের মানুষ কতটা সহনশীল, পরমতসহিষ্ণু তা বলে শেষ করা যাবেনা। রাজনৈতিক কারণে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদে এদেশে মুসলমান হিন্দুর সহাবস্থান হাজার বছরের ঐতিহ্য।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তথ্যমতে, বাংলাদেশে সরকারী কর্মচারীদের ২৫ শতাংশ হচ্ছে ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু। ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার মধ্যে ওরা মাত্র জনগোষ্ঠীর ৮.৫ শতাংশ। সে হিসেবে বাংলাদেশে ওদের মোট জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২৩ লক্ষ। ধরি তা এখন দুই কোটিতে। কিন্তু কিভাবে বললেন ৩কোটি ৭০ লক্ষ নিখোঁজ! এদেশের আলো বাতাসে বড় হয়ে, এ যেন নুন খেয়ে নুন হারামি।
প্রিয়া সাহা কত ভালো আছেন, এনজিও আছে তার। বিভিন্ন পদ পদবীতে আছেন। শারি’ নামে বাংলাদেশের দলিত সম্প্রদায় নিয়ে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক প্রিয়া সাহা। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘দলিত কণ্ঠ’ নামক একটি পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক। তার স্বামী মলয় কুমার সাহা দুদকের সদর দপ্তরে সহকারী উপ-পরিচালক পদে কর্মরত। তাদের দুই মেয়ে প্রজ্ঞা পারমিতা সাহা ও ঐশ্বর্য লক্ষ্মী সাহা আমেরিকাতে বাংলাদেশের টাকায় পড়াশোনা করছেন।
এতো কিছুর পরেও তিনি খারাপ আছেন কিভাবে? আসলে এদেশটাকে প্রিয়া সাহারা কখনো নিজেদের দেশ ভাবতে পারেননি। সুযোগ পেলেই ওরা ছোবল দিতে প্রস্তুত। এ যেন সুখে থাকতে ভুতে কিলায়।
[ফেসবুক থেকে সংগৃহীত]