আগে ওয়াজ শুনে মানুষ কাঁদত, এখন হাসে!
বাংলাদেশের মাদ্রাসাগুলোর নিজস্ব কোন আয় কিংবা উৎপাদন ব্যবস্থা নেই। সাধারণত কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সরাসরি আর্থিক উৎপাদন ব্যবস্থা থাকার কথা নয়। তবে সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই দেশ ও প্রতিষ্ঠানের জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং ভবিষ্যতের আর্থিক উৎপাদনের চালিকাশক্তি।
কিন্তু মাদ্রাসা যা অনেক্ষেত্রেই আবাসিক শিক্ষাব্যবস্থা এবং এদের অনেকক্ষেত্রেই শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং মাদ্রাসার সংখ্যা রেজিস্ট্রার্ড না (কওমী) এবং অনেকটা খুজে খাওয়া (নবীর শিক্ষা করিওনা ভিক্ষা) অর্থনীতির মধ্য দিয়েই চলে তাদের সমগ্র জীবন। একজন কাওমী হুজুর নিজে পাশ করে বের হবার পর আবার কিছু ছাত্র জোগাড় করে। অতঃপর সমাজের দান-খয়রাতের মধ্য দিয়ে নতুন আরেকটি মাদ্রাসা খুলে বসেন এবং ওই প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা ভবিষ্যতে এই হুজুরের মতই জীবন ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
এম এল এম কোম্পানির মত চলে এখানে শিক্ষাবৃত্তি-ভিক্ষাবৃত্তি! আমাদের ভূমি, বালিশ, বন খেকোরা সারাজীবন কোটি টাকা লুটপাট করে মরার আগে গোপনে কিংবা প্রয়োজন ওপেনে এখানে কিছু দান করেন। ইসলামের চার স্তরের মধ্যে একটি স্তর শুধু শরীয়ত এখানে শিখানো হয়। বাকী তিনটির চর্চা এখানে প্রায় বিলুপ্ত । যেই শরীয়ত আছে সেখানেই সিলেবাস দেওবন্দপন্থী। ওহাবি সালাফি নির্ভর এবং বিজ্ঞান শিক্ষা বিবর্জিত!
আব্বাসীয় খেলাফতের আমলে মুসলমানদের জ্ঞান বিজ্ঞান, চিকিৎসা, শিক্ষা, মহাকাশ, পদার্থ, রসায়ন কিংবা গণিতে কী অবদান ছিলো!
আর আজ মুসলমান মানে মাদ্রাসা, আর মাদ্রাসা মানে আরবী আর নিজেদের কাটা-ছেঁড়া শরিয়তের আংশিক সিলেবাস এবং দিনশেষে জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রতিযোগিতার লড়াইয়ে না নেমে বরং আরেকটি মাদ্রাসা খুলে স্বাধীন মত জীবন পার। আর এভাবেই দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে ব্যার্থ হচ্ছি আমরা।
নামের মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু কামের নয়। আত্মনির্ভরশীল না হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি হচ্ছে টার্গেট। আল্লাহের ভয় কিংবা ভালোবাসায় নয় বরং বেচে থাকার রুটিন ওয়ার্কে চলছে ওয়াজ নসিয়ত।
একজন ওয়াজী লাখ টাকা নেন ইসলামের বার্তা পৌছে দিতে! আগে ওয়াজ শুনলে মানুষ কাঁদতো ভয়, মহব্বতে। এখন ওয়াজ শুনে মানুষ হাসে। নানাবিধ কৌতুক চলে সেখানে। আর তাদের দাড়ি টুপি ঠিকই আছে। কিছু ক্ষেত্রে আমল আছে কিন্তু নেই ঈমান! আজ হুজুর দ্বারা ধর্ষিত হচ্ছে অপ্রাপ্ত ছেলে মেয়েরা! এর নাম ইসলাম না। [ফেসবুক থেকে]
লেখক: সাবেক সভাপতি, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (ডিইউডিএস)।