০৬ জুন ২০১৯, ১৪:৩৯

সব দিন জিততে হবে কেন?

জিততে হবে, তাই বলে সব দিন? বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের প্রায় প্রতিটি বলই মনোযোগ দিয়ে দেখেছি। ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট, আমার মতে, মুশফিকের রান আউট। এই আউটে সাকিবের দায় কম, মুশফিকের বেশি। ওই রানটি হয়তো হতো, যদি সাকিব আরেকটু তৎপর থাকতেন। তারপরও রিস্ক ছিল ষোলআনা। মুশফিকের তাড়াহুড়ো হয়তো সাকিবের ততটা পছন্দ হয়নি। আগের ওভারেও মুশফিক সাকিবকে এ রকম ভুগিয়েছেন। আর সাকিবের সঙ্গে খেলতে গেলে তাঁর মনও বুঝতে হবে।

মুশফিক, সাকিব স্বচ্ছন্দে ব্যাট করছিলেন। ওদের পেস সামলাচ্ছিলেন সাবলীলভাবে। মাঝেমধ্যে দুই একটা বাউন্ডারি দেখতে আরাম লাগছিল। আরও ১৫ ওভার এই জুটি থাকলে রান ২৮০ থেকে তিনশ হওয়া অস্বাভাবিক ছিল না। মাহমুদুল্লাহ, মোসাদ্দেক বাজে ব্যাটিং প্রদর্শনী দেখালেন। সৌম্য, সাকিব ভালো বলে আউট হয়েছেন। অন্যরা বেশিরভাগই উইকেট দিয়ে এসেছেন। তামিমের এখনও এ রকম বলে আউট দুঃখজনক। তবে খেলায় সব দিন যে সবকিছু নাউন- প্রোনাউন মেনে হবে, তা আশা করা বোকামি ও বাড়াবাড়ি।

বরং বিস্মিত হয়েছি সাইফুদ্দিনের ব্যাটিং দেখে। বোলিংও ভালো। আক্রমাণত্বক ব্যাপার আছে। এ রকম বোলিং অলরাউন্ডারই দরকার। নোয়াখালী/ফেনী অঞ্চল থেকে এই প্রথম একটা ভালো ছেলে উঠে এল। ক্যাপ্টেন মাশরাফি ১৫/১৬ বছরের ক্যারিয়ারেও ২০/২৫ রান করাও শিখলেন না। দুঃখজনক ও হতাশাজনক।

তারপরও বাংলাদেশ ভালো বোলিং করেছে। ওরা তেড়েফুঁড়ে শুরু করেছিল। মনে হচ্ছিল, যেন ৩৫ ওভারেই শেষ করে দেবে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যেমন করেছিল। কিন্তু ওরা ভু্লে গিয়েছিল, এটা শ্রীলঙ্কা না, লাল সবুজের বাংলাদেশ।

৮ টা উইকেট পড়েছে। আর ২০টা রান বেশি হলে এই ম্যাচ বাংলাদেশের হতো।

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচটি হেরেছে। দুটি পয়েন্ট মিস।

আপনার মানা উচিত, বোলিং, ব্যাটিং, কিছুটা ফিল্ডিংয়েও নিউজিল্যান্ড এগিয়ে ছিল। তারপরও যে লড়াইটা বাংলাদেশ উপহার দিল তার কি কোনো মূল্য নেই?

(লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে সংগৃহীত)