১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:১৩

শিক্ষা ব্যবস্থা: তারেক রহমানের চ্যালেঞ্জ

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও লেখক প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম  © টিডিসি সম্পাদিত

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা এক ঐতিহাসিক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ঔপনিবেশিক আমলের অভিজাততান্ত্রিক কাঠামো থেকে স্বাধীনতা-পরবর্তী অন্তর্ভুক্তিমূলক আকাঙ্ক্ষায় এর উত্তরণের দীর্ঘ ও কঠিন যাত্রায়, শিক্ষা কেবল একটি সামাজিক পরিষেবা হিসেবে নয়, বরং জাতি পুনর্জাগরণের মূল চাবিকাঠি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রয়াস দেখেছে। কিন্তু বর্তমানে এই ব্যবস্থা এক গভীর "দর্শনহীনতা" ও "নৈতিক অবক্ষয়ের" সংকটে জর্জরিত, যা দেশের ভবিষ্যৎকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী দুঃশাসন ও বাকশাল নির্ভর শাসন ব্যবস্থায় মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়। এরপর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যখন সিপাহি-জনতার বিপ্লব ও জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসেন, তখন শিক্ষাসহ রাষ্ট্রের উন্নয়মূলক সেক্টরগুলিকে নতুন দেশপ্রেমের ভাবনায় অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। 

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ১৯৮১ সালের ৩০ মে তিনি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে বেগম খালেদা জিয়া এবং বর্তমানে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শিক্ষা-ভাবনা পর্যন্ত—এই ত্রিমাত্রিক ধারাটি একটি আত্মনির্ভর, নৈতিক ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ার শক্ত ভিতের উপর দাঁড়াতে সচেষ্ট। বর্তমানে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান নৈরাজ্য দূর করে একটি সুশৃঙ্খল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভবিষ্যৎমুখী শিক্ষাব্যবস্থা গড়ার ঐতিহাসিক চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে।

তারেক রহমান তাঁর শিক্ষা-ভাবনায় স্বাধীনতার পর প্রণীত শিক্ষানীতিগুলোর মানবিক উৎকর্ষ সাধনে ব্যর্থতা এবং বিদ্যমান 'দর্শনহীন শিক্ষার' ভয়াবহ পরিণতি নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, প্রশ্নপত্র ফাঁস, শিক্ষক সংকট, ভর্তি বাণিজ্য, কোচিং-নির্ভরতা ও সৃজনশীলতার অভাব—এসবই শিক্ষাব্যবস্থার মৌলিক প্রতিবন্ধকতা। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, "একটি জাতিকে ধ্বংস করতে অস্ত্র নয়, শিক্ষার ভেতরে প্রতারণাই যথেষ্ট।" এই প্রতারণার ফলস্বরূপ গড়ে উঠছে অযোগ্য পেশাজীবী (ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিচারক, রাজনীতিবিদ) যাদের ভুল সিদ্ধান্ত ও ব্যর্থতা জাতিকে পতনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই "অবক্ষয়ের মূল কারণ দর্শনহীন শিক্ষা", যা মানুষকে নৈতিকতা, মানবিকতা ও সহমর্মিতার শিক্ষায় ব্যর্থ করে তোলে। 

এই সংকটটির গভীরে যেতে হলে আধুনিক এবং ক্লাসিক্যাল চিন্তাবিদদের শিক্ষার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণাকে সামনে আনতে হয়: ক. রাসেল ও নৈতিকতার প্রশ্ন: বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল শিক্ষাকে দেখতেন স্বাধীন চিন্তাভাবনা এবং যুক্তিনির্ভরতা বিকাশের মাধ্যম হিসেবে। তাঁর মতে, শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো চরিত্র গঠন ও সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা। তারেক রহমানের মতে, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা যখন নৈতিকতা, মানবিকতা ও সহমর্মিতার শিক্ষায় ব্যর্থ হয়, তখন তা রাসেলের আদর্শ শিক্ষাদর্শনের ঠিক বিপরীত পথে হাঁটে। নৈতিক ভিত্তি ছাড়া যে জ্ঞান অর্জিত হয়, তা কেবল সার্টিফিকেট সর্বস্বতা বাড়ায়, যা রাসেলের যুক্তিনির্ভর সমাজ গড়ার ধারণাকে ব্যাহত করে।

খ. চমস্কি ও ক্ষমতা-প্রতারণার জাল: ভাষাবিজ্ঞানী ও রাজনৈতিক সমালোচক নোয়াম চমস্কি শিক্ষাকে প্রায়শই রাষ্ট্রের মতাদর্শ প্রচারের যন্ত্র হিসেবে সমালোচনা করেন। তাঁর মতে, শিক্ষা কেবল তথ্য সরবরাহ নয়, বরং শিক্ষার্থীদের ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সামাজিক অবিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে উৎসাহিত করা উচিত। তারেক রহমানের "শিক্ষার ভেতরে প্রতারণা"-র অভিযোগটি চমস্কির এই সমালোচনার সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। চমস্কি যে মুক্তিকামী, প্রশ্ন উত্থাপনকারী শিক্ষার কথা বলেন, তারেক রহমানের গণতন্ত্রের প্রাকটিস ও নেতৃত্ব সৃষ্টিতে ট্রেনিং-এর ভাবনা সেই মুক্তিকামী চেতনার প্রতিফলন।

গ. হারারি, ফুকো ও গ্রামশি: নিয়ন্ত্রিত জ্ঞানের কাঠামো: ইতিহাসবিদ ইউভাল নোয়াহ হারারি একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নমনীয়তা, সৃজনশীলতা এবং পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতার ওপর জোর দেন। মুখস্থ বিদ্যা বা কেবল তথ্য সংগ্রহ নয়, বরং নতুন পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাই ভবিষ্যতের জন্য অপরিহার্য। বাংলাদেশের বর্তমান সৃজনশীলতাহীন শিক্ষাব্যবস্থা হারারির এই চাহিদার সম্পূর্ণ বিপরীত। এছাড়াও, মিশেল ফুকো জ্ঞান এবং ক্ষমতার মধ্যকার সম্পর্ককে বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে ব্যক্তির শরীর ও মনকে নিয়ন্ত্রণ করে সমাজের উপযোগী করে তোলে। তারেক রহমানের পরীক্ষাভিত্তিক নয়, বরং প্রকল্প, পর্যবেক্ষণ ও আগ্রহনির্ভর মূল্যায়ন পদ্ধতি ফুকোর সমালোচিত 'নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার' বিপরীতে একটি গণতান্ত্রিক ও শিক্ষার্থীর মনোবিকাশমুখী ব্যবস্থার ইঙ্গিত দেয়। অন্যদিকে, আন্তোনিও গ্রামশি মনে করতেন, শাসক শ্রেণির আদর্শকে সমাজে ছড়িয়ে দিতে শিক্ষা ব্যবহৃত হয়। তারেক রহমানের নৈতিক চেতনার পুনরুদ্ধার এবং দর্শনহীনতা দূর করার চ্যালেঞ্জটি এই আধিপত্যবাদী কাঠামোর বিরুদ্ধে জ্ঞানভিত্তিক বুদ্ধিজীবী তৈরির প্রচেষ্টা।

তারেক রহমানের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাঁর পূর্বসূরিদের শিক্ষাদর্শন এক শক্ত ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। ক. শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান: সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ : জিয়াউর রহমানের ১৯-দফা কর্মসূচিতে শিক্ষাবিষয়ক মূল লক্ষ্য ছিল "দেশকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করা।" এই নিরক্ষরতা দূরীকরণকে তিনি "অর্থনৈতিক মুক্তির" ও "স্বনির্ভরতা অর্জনের" মাধ্যম হিসেবে দেখেছিলেন। তাঁর শিক্ষাদর্শন ছিল আধুনিক, বাস্তবমুখী এবং উৎপাদনমুখী, যা কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে শিক্ষাকে সংযুক্ত করেছিল। অর্থাৎ 'দেশের স্বাধীনতা, অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা'—এই প্রথম দফার আলোকিত বাক্যকে তিনি শিক্ষিত, দক্ষ জনগোষ্ঠী ছাড়া বাস্তবায়ন অসম্ভব বলে মনে করতেন।

খ. বেগম খালেদা জিয়া: জেন্ডার সমতা ও অন্তর্ভুক্তি: সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে, বিশেষ করে নারী ও শিশু শিক্ষায় এক বিশাল বিপ্লব ঘটান। তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল গ্রামীণ মেয়েদের জন্য উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা ও বৃত্তি প্রদান। এই নীতি দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের ঝরে পড়া উল্লেখযোগ্যভাবে রোধ করে। ‘‘শিক্ষার জন্য খাদ্য’’ (Food for Education) কর্মসূচির সম্প্রসারণ সারা দেশে শিশুশিক্ষার হার বাড়াতে এবং ঝরে পড়া রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খালেদা জিয়ার এই উদ্যোগ শিক্ষাকে একটি সামাজিক অধিকারে পরিণত করেছিল এবং শিক্ষাক্ষেত্রে জেন্ডার বৈষম্য কমাতে শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছিল।

এই ঐতিহাসিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে তারেক রহমান একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, মানবিক ও ভবিষ্যৎমুখী শিক্ষার রূপরেখা দিয়েছেন। তারেক রহমান প্রাথমিক স্তরে শিশুদের পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্যবিধি, পরিবেশ পরিচর্যা, সমাজ ও পরিবারের প্রতি দায়িত্ববোধ শেখানোর ওপর প্রাধান্য দিয়েছেন। পাঠ্যসূচিতে থাকবে ছোটগল্প, নাটক, দলীয় আলোচনা ও সহমর্মিতা শেখানোর পদ্ধতি। শিশুর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে খেলাধুলা, সংগীত, চারুকলা, আবৃত্তি, কৃষি, বাগানবিদ্যা, কারিগরি ও পেশাগত দক্ষতা অর্জনের সুযোগ থাকবে। তারা প্রকৃতি ও বিজ্ঞানকে অনুভব করবে (যেমন: বাগান করা, প্রাণীর যত্ন নেওয়া)। এই দৃষ্টিভঙ্গি সরাসরি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনভিত্তিক শিক্ষাদর্শনের সঙ্গে মিলে যায়, যেখানে শিক্ষা ছিল আনন্দময়, জীবনমুখী ও সর্বাঙ্গীণ বিকাশমুখী এবং প্রকৃতি ও শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত।
তারেক রহমান গবেষণাকে শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান দিয়েছেন। "গবেষণা হলো নতুন জ্ঞানের দরজা উন্মোচনের চাবিকাঠি।’’ এই জ্ঞানের অনুসন্ধান কেবল দেশের সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। একুশ শতকের বিশ্বে প্রতিযোগিতার জন্য একাধিক ভাষায় দক্ষতা অর্জন অত্যাবশ্যক। এই উপলব্ধি থেকে তিনি প্রাথমিক স্তর থেকেই মাতৃভাষা ও ইংরেজির পাশাপাশি মান্দারিন, জার্মান, ফ্রেঞ্চ, ইতালীয় ও অ্যারাবিক ভাষা শিক্ষার পরিকল্পনা করেছেন। এই বৈশ্বিক ও অনুসন্ধানমূলক দৃষ্টিভঙ্গিটি বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সেই বিখ্যাত উক্তির সঙ্গে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ: "জ্ঞান অন্বেষণ করো, যদি সুদূর চীন দেশেও যেতে হয়।’’ এই হাদিস জ্ঞান অর্জনের জন্য দেশ-কালের বাধা অতিক্রম এবং নিরন্তর অনুসন্ধানের মানসিকতার ওপর জোর দেয়, যা তারেক রহমানের বহুভাষিক ও গবেষণা-কেন্দ্রিক শিক্ষানীতির ভিত্তি।

তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১-দফার ২৪ নম্বর দফায় শিক্ষাক্ষেত্রে নিম্নলিখিত সুদূরপ্রসারী অঙ্গীকারগুলো করেছে: বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি: জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দ নিশ্চিত করে এক দশকের মধ্যে নিরক্ষরতা নির্মূল করা হবে। এটি বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী শিক্ষার গুরুত্বকে তুলে ধরে। গুণগত ও চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা: উচ্চশিক্ষায় জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে গবেষণার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। এই মডেল দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানির মতো উন্নত দেশগুলোর জ্ঞান-অর্থনীতির মডেলের অনুরূপ। দক্ষ মানবসম্পদ ও উদ্ভাবনী অর্থনীতি: শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি নির্ভর খাত ঢেলে সাজানো হবে। শিল্প, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উৎপাদন খাতে গবেষণা ও উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই লক্ষ্য অর্জনে জার্মানির দ্বৈত বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ (Dual Vocational Training)-এর মতো কাঠামো গ্রহণ করা যেতে পারে। ধর্মীয় শিক্ষার আধুনিকীকরণ: মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর করে গড়ে তোলা হবে, যাতে সেখানকার শিক্ষার্থীরাও সমানভাবে উচ্চশিক্ষা ও জাতীয় উন্নয়নে অংশ নিতে পারে। নৈতিক চেতনার পুনরুদ্ধার: নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের বিপরীতে বিএনপি গণমাধ্যম, শিক্ষা কারিকুলাম, ধর্মীয় শিক্ষা এবং সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে নৈতিক চেতনার পুনরুদ্ধারে কার্যকর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে।

তারেক রহমানের এই সামগ্রিক শিক্ষাদর্শন শিক্ষা, প্রযুক্তি, ক্রীড়া এবং নৈতিকতার চারটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়াতে চায় এক নতুন বাংলাদেশ। তাঁর চ্যালেঞ্জ কেবল শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন নয়, বরং জাতির নৈতিক রূপান্তর। এই রূপরেখা সৃজনশীল, আত্মনির্ভর, মানবিক মূল্যবোধে শক্তিশালী এবং জ্ঞানভিত্তিক জাতিগঠনের পথপ্রদর্শক। তারেক রহমান যথাযথ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। তিনি জিয়াউর রহমানের সার্বভৌমত্বের অঙ্গীকার, খালেদা জিয়ার অন্তর্ভুক্তিমূলক বিপ্লব এবং বৈশ্বিক মনীষীদের দর্শনকে একত্রিত করে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার 'দর্শনহীনতা' দূর করে একটি নতুন মেরিট-ভিত্তিক (Meritocracy) সমাজ গড়তে বদ্ধপরিকর। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি’র সংসদ নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে তারেক রহমান এই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়ন করে জাতিকে এক নতুন জ্ঞানভিত্তিক ও নৈতিক উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন।  

লেখক : সাবেক অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়