০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৪৫

বদরুদ্দীন উমর : মননশীল বুদ্ধিজীবীর জীবন, বিতর্ক আর উত্তরাধিকার

ড. কাবেরী গায়েন  © টিডিসি সম্পাদিত

বদরুদ্দীন উমর বাংলাদেশের প্রধান বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে অগ্রগণ্য। বাংলাদেশে মননশীল লেখকের সংখ্যা কম, এবং সত্যিকার অর্থে খুব কম লেখাই মননশীল। তিনি মননশীল লেখক হিসেবে এমন কিছু বই আমাদের উপহার দিয়েছেন যার প্রতি আমি বরাবর শ্রদ্ধাশীল। স্যারের ‘সাম্প্রদায়িকতা’, ‘সংস্কৃতির সংকট’, ‘সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতা’ বাসায় পাওয়া এই তিন বই পড়েছি স্কুলের শেষদিকে। কোনো জারগন ছাড়াই সহজবোধ্য এই তিন বই আমার বিশেষ পছন্দের হয়ে উঠেছিল, এখনো পছন্দের।

বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়েছি ‘পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি’। ক্লাসে সামান্য পড়ানো হলেও একে একে তিন খণ্ডই নিজ আগ্রহে পড়েছি। সংগ্রহে আছে। দ্বিতীয় বর্ষে ক্লাসের অ্যাসাইনমেন্ট করতে গিয়েই কিনেছিলাম ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে বাংলাদেশের কৃষক’ এবং এই বই কিনতে গিয়েই আরেকটি বই কিনে পড়েছিলাম ’বিদ্যাসাগর ও উনিশ শতকের বাঙালি সমাজ’। এই তিনটি বই নিষ্ঠাবান গবেষকের। আমার বিশেষ প্রিয় এই বইগুলো। আমি শিক্ষকতার সময় সমসাময়িক বাংলাদেশ কোর্সে এই বইগুলো ক্লাসে রেফার করেছি, বিশেষ করে ‘পূর্ব বাঙলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি’ যা সিলেবাসের অন্তর্গত করেছি। এই বইতে ব্যাখ্যার চেয়ে ঘটনার নথি-তথ্য বেশি যা খুব দরকারি। ভাষা আন্দোলন নিয়ে কেউ গবেষণা করতে চাইলে স্যারের এই বই পড়তে হবে।

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়েও স্যারের লেখা এবং অ্যাক্টিভিজম আমার পছন্দের। স্যারের লেখা শেষ যে বই আমি পড়েছি সেটা গ্রামীণব্যাংক নিয়ে। পড়া না থাকলে আগ্রহীরা পড়ে নিতে পারেন যদি বইয়ের দোকানগুলো এখনো বিক্রি করে। স্যারের সব বই আমার পড়া নেই। জুলাই ২৪ নিয়ে যে বই সেটা পড়া হয়নি, পড়ার ইচ্ছে আছে। উপরে যে বইগুলোর নাম করলাম, এর বাইরে স্যারের লেখাগুলো ক্রমশ গবেষণানিষ্ঠতা থেকে মতামতনির্ভর হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে মার্ক্সবাদী চর্চা নিয়ে লেখা বইগুলোও এর বাইরে নয়। আমার ভুল হতে পারে। তবে এই মতামতের গুরুত্বও কম নয়। একজন মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক এদেশের বামপন্থী রাজনীতি নিয়ে তার অনুধাবন বয়ান করলে সেটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স। আমি ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত হতে হতে শুনেছি তার সিপিবি-বিদ্বেষের কথা। সেইসব কথার সব ভুল ছিল এমন নয়। নিজেও কিছু বক্তৃতা শুনেছি যেখানে সিপিবির সমালোচনা এত তীব্রতায় চলে গেছে, যা স্যারের নিবিষ্ট গবেষকের চেহারা ছাপিয়ে ব্যক্তিগত বিদ্বেষের পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মনে হয়েছে কখনো কখনো। খুব খারাপ লাগত তখন। মনে হতো বিএনপি, জাতীয় পার্টির চেয়ে (আওয়ামী লীগ ওই সময়ে ক্ষমতায় ছিল না) স্যার সিপিবির পিন্ডি চটকাতেই কেন এত আগ্রহী? কিন্তু এই মনে হওয়ার সাথে স্যারের বই পড়ায় সমস্যা হয়নি। বরং আগ্রহ নিয়েই পড়েছি।

স্যারের মতামতের সাথে অসংগতি বোধ হতে শুরু হলো স্যার যখন পত্রিকায় কলাম লেখা শুরু করলেন। অন্য অনেক বিষয়ের কথা বাদই থাক, যে বুদ্ধিজীবী সাম্প্রদায়িকতা-সংস্কৃতির সংকট-সাংস্কৃতিক সাম্প্রদায়িকতার মতো ত্রয়ী লিখেছেন তিনিই যখন লিখেছেন যে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর কোনো অত্যাচার হয় না, ভারতের মুসলমানদের তুলনায় তারা কত ভালো আছে বলে চাকরি-বাকরির পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন, তখন মনে হলো স্যারের তো এই মৌলিক বিষয়ে সমস্যা হওয়ার কথা না। এদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ভালো আছেন কি না সেটা ভারতের সাপেক্ষে তুলনা করা তো ভিন্ন সাম্প্রদায়িকতা। একজন মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিকের কাছ থেকে তো দুই সাম্প্রদায়িকতার তুলনা করে এক সাম্প্রদায়িকতাকে জিতিয়ে দেয় এমন লেখা আমরা আশা করি না। সেই বিষয়ে দুই/তিন লাইনের একটা স্ট্যাটাস দেওয়ায় স্যারের ভক্তকূল শুধু যে ফেসবুকে বিরোধিতা করেছেন এমন নয়, আমি ডাকেও চিঠি পেয়েছি গালিতে ভরা। বুঝেছি স্যারের ভক্তকূল হয় স্যারের বই পড়েননি বা পড়লেও আত্মস্থ করতে পারেননি। সংখ্যালঘু প্রশ্নে একই কথা তিনি আবারো লিখেছেন। নিয়মিত কলাম লেখায় এক ধরনের পুনরাবৃত্তি আসতে বাধ্য। সেটা অনেকের লেখাতেই দেখা যায়। স্যারও ব্যতিক্রম নন। এক পর্যায়ে স্যারের কলাম আর তেমন পড়া হয়ে ওঠেনি। আমারই সীমাবদ্ধতা।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে স্যারের অবস্থান নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা আছে জনপরিসরে। স্যারের অবস্থান আমাকে বিস্মিত করেনি কখনো। কারণ স্যারের যে রাজনৈতিক ঘরানা, কিংবা যে ঘরানা স্যারের তাত্ত্বিক লেখালেখির উপরে প্রতিষ্ঠিত, সেই ঘরানা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে স্বীকার করেনি। যে অর্থে মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক রণেশ দাশগুপ্তের লেখা কেনো মুক্তিযুদ্ধ অপরিহার্য ছিল সেটা বলে, বদরুদ্দীন উমর সেরকম অবস্থান গ্রহণ করেননি। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসেনি বলে বেশ স্পষ্ট এবং সবল প্রতিবাদ বরং দেখেছি স্বাধীনতাউত্তর সময়ে। তিনি যুদ্ধ নিয়ে লেখার আগেই প্রকাশ করেন 'যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ' (১৯৭৪)। মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নে তার অবস্থান তিনি বই হিসেবে প্রকাশ করেছেন বেশ পরে। তিনি লিখেছেন তিনটি বই মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে 'একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের পথে' (২০০০), 'মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার যুদ্ধের জয়-পরাজয়' (২০০৬) এবং 'বাংলাদেশের অভ্যুদয়' (২০০৬)। তিনি শ্রেণী অবস্থান থেকে দেখেছেন। সবটা সমর্থন করি বা না করি, মুক্তিযুদ্ধের জাতীয়তাবাদী ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে থেকে লেখা এই বইগুলো আমি গুরুত্বের সাথেই নিয়েছি, যদিও এই বইগুলো খুব একটা আলোচিত হয়নি। ২০০০ সাল এবং তার পর তিনি লিখেছেন এই বইগুলো, অথচ 'গণআদালত-একাত্তরের অসমাপ্ত মুক্তি সংগ্রামের জের' লিখেছেন ১৯৯২ সালে। এই 'অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ'ই স্যারের রাজনৈতিক অবস্থান একাত্তর প্রসঙ্গে। ১৯৭১ সালের অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধের যে বয়ান, সেটার সমর্থনকারী এক বৃহত্তর ‘রাজনৈতিক বলয়’ আছে। সেটারই স্থূল একটা ভার্সন ফের জোরেশোরে বলতে শুনি ২০২৪ সালের সমন্বয়কদের মুখে, সমন্বয়কদের কোনো কোনো তাত্ত্বিকগুরুর মুখে। জানি না, এই বলয়ে তার সায় ছিল কি না।

সবচেয়ে বিতর্কিত কথাটি স্যার বলেছেন, যদি বলে থাকেন, সপ্তাহ দুয়েক আগে যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ৯০ ভাগই মিথ্যা। এইখানে এসে আমার মতো অনেকেরই প্রশ্ন থেকে যায়, কোথায় কোথায় মিথ্যা ছিল এটা নিয়ে ওনার মতো বুদ্ধিজীবী কেন লিখে গেলেন না বা ধরিয়ে দিয়ে গেলেন না। শ্রেণী অবস্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধকে দেখা আর গোটা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের ৯০ শতাংশ তথ্য মিথ্যা বলা- এ দুয়ের মধ্যে যোজন যোজন দূরত্ব। এবং কথাটা বললেন তিনি এমন এক সময়ে যখন মুক্তিযুদ্ধের সব স্মৃতিস্তম্ভে আঘাত হচ্ছে, মুক্তিযোদ্ধাদের উপর আঘাত নেমে আসছে, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে চারিদিকে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। অশিক্ষিত, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ফেরেববাজ মানুষজন কী বললেন সেসব উপেক্ষা করা যায়। তার পর্যায়ের বুদ্ধিজীবীর এমন কথার অভিঘাত নিঃসন্দেহে অনেক। স্বাভাবিকভাবেই এই বক্তব্য তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পরে তিনি লাগাতার লিখে গেছেন, লেখক শিবির করেছেন। নানা রাজনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মিথ্যা এমন কিছু লেখা গবেষণানিষ্ঠভাবে তিনি লিখেছেন কি না জানি না, লিখে থাকলেও তেমন প্রচার হয়নি, বা অন্তত আমার চোখে পড়েনি। অথচ হঠাৎ মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে যে নারকীয় তাণ্ডব এবং মানবতার বিরুদ্ধে যে নৃশংস জেনোসাইড (গণহত্যা, ধর্ষণ, লুট, ধর্মান্তর, লিঙ্গচ্ছেদ, বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ) চলেছে, সেই ইতিহাসকে মিথ্যা বলে চলে গেলেন! ইতিহাসের কোন অংশটুকু মিথ্যা বললেন সেটা বিশদ জানানোই হত তার পর্যায়ের এক বুদ্ধিজীবীর জন্য মানানসই অবস্থান। তিনি তো দীর্ঘজীবন পেয়েছেন।

আমার দূর থেকে মনে হয়, তিনি বেশ অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছিলেন অনেক বছর ধরেই। এটা তো ঠিক, স্যারের যোগ্যতার তুলনায় খুব সামান্যই দিতে পেরেছে দেশ। বা কাঙ্ক্ষিত দেশ তিনি পাননি। আর আমাদের সাংবাদিকরাও অনেক সময় ক্লিকবেইট সাংবাদিকতা করতে গিয়ে এমন সব প্রশ্ন করেন যে সেই গ্রীসের সোফিস্টদের মতো হয়ে যায়, ''তুমি কি তোমার স্ত্রীকে পেটানো ছেড়ে দিয়েছ?" উত্তর হ্যাঁ বা না যাই-ই হোক, সোফিস্টদের যারা লবিস্ট হিসেবে নিয়োগ করতেন, তাদের পক্ষেই যেত, কারণ প্রশ্ন সাজানোই হত তেমন করে। কী জানি এমন কোনো প্যাঁচ কষেই স্যারের মুখ থেকে এই কথা বের করা হয়েছে কি না! ভাষা আন্দোলনের পুঙ্খানুপুঙ্খ ইতিহাস যিনি মলাটবদ্ধ করেছেন তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সত্য-মিথ্যা নিয়ে সারাজীবন নৈর্ব্যক্তিক থেকে (বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিতৃষ্ণা গোপন করেননি, এটা বাদ দিয়ে) এমন কথা বলে দেবেন! যদি একান্তই মেনে নিতে হয় যে তিনি সত্যিই এমন বলেছেন তবে সেই বক্তব্য আমার মতো সারাদেশের কোটি কোটি মানুষের ব্যক্তিগত ক্ষতি এবং ক্ষয়ের প্রতি সুবিচার নয়। এই পর্যন্ত লিখে মাত্রই স্যারের এক সাক্ষাৎকারের ক্লিপ দেখলাম যেখানে স্যার বলছেন, "যারা বলেন ২৪-এর এই অভ্যুত্থান দ্বিতীয় স্বাধীনতা, তারা ভুল বলেন...এটাই প্রথম স্বাধীনতা।"

আমার অবস্থাটা খানিক ধর্মসংকটে পড়ার মতো হয়েছিল। মননশীল এই বুদ্ধিজীবীর বই পড়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে উপকৃত। তিনি কোন সরকারের আমলে কারো কাছে মাথা নত করেননি, কোনো সুবিধা আদায় করতে যাননি। স্বাধীন বুদ্ধিজীবীর জীবন-যাপন করেছেন। তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১৯৭২, ইতিহাস পরিষদ পুরস্কার ১৯৭৪ এবং স্বাধীনতা পদক ২০২৫। আবার গোটা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার নানা বক্তব্য বা এদেশের ক্রমহ্রাসমান হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিষয়ে তার পরবর্তী জীবনের অবস্থান, যেভাবে আমরা পেয়েছি, খুব স্বস্তিদায়ক নয়। তাহলে আমি কোন সত্য গ্রহণ করব! আমি দুই সত্যকেই মেনে নিয়েছি।

পছন্দ করি বা সবটা পছন্দ না করি, অধ্যাপক বদরুদ্দীন উমরকে পড়তে হবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ধারাভাষ্য এবং ধারাভাষ্যের বাঁকবদল - দুইই বোঝার জন্য। স্যার কলামে কী লিখেছেন, বা রাজনৈতিক জনসভায় কী বলেছেন, এসব হয়তো কয়েক বছর পরে গুরুত্বহীন হয়ে যাবে, টিকে থাকবে তার স্কলারশিপ। এদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের ধারাভাষ্য অবিরামভাবে বদরুদ্দীন ঊমরের মতো আর কেউ দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। সবকিছু গ্রহণ করতে হবে, এমন কথা নেই। জ্ঞানচর্চা যে শ্রমনিষ্ঠ সেটাও শেখার আছে। মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নে স্যারের সবশেষ যে বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে তার সাথে আমার অবস্থানের পার্থক্য ১৮০ ডিগ্রি। তবুও, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভ্রম সরানোর জন্য যে নির্মোহ গবেষণা এবং পাঠ দরকার সেখানে শিক্ষিত সকল বিরোধী যুক্তিকে দেখতে আগ্রহী আমি, এবং তথ্যনিষ্ঠভাবে খণ্ডানোর পক্ষপাতি। সেখানে স্যারের কিছু বই গুরুত্বপূর্ণ স্যারের এসব বক্তব্য খণ্ডানোর জন্য। যারা তার বক্তব্য নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করছেন এবং যারা তাকে পুরোপুরি খারিজ করছেন, দুই পক্ষই তার লেখা পড়লে স্ব স্ব অবস্থানে রসদ পাবেন বলে ধারণা করি।

স্যারের যেসব কাজ আমার বুদ্ধিবৃত্তিক পরিসর গড়ে ওঠার শুরুতেই ভূমিকা রেখেছে, সেসবের জন্য স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। স্যারের যেসব লেখা এবং বক্তব্য আজ সমালোচনা করতে পারি, সেই মন গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও স্যারের লেখার ভূমিকা আছে। এখন স্যারের সহিষ্ণু-অসহিষ্ণু বর্ণাঢ্য কৃতী জীবনের অবসান হয়েছে। আমি তার স্কলারশিপকে নিলাম। স্যারের যেসব লেখা গবেষণানিষ্ঠ, পরিশ্রমের সেসবের প্রতিই কেবল আমার পক্ষপাত। স্যারের অন্তিমযাত্রা শান্তিময় হোক।

ড. কাবেরী গায়েন: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়