২৩ মার্চ ২০১৯, ২২:৪৯

ডাকসু বনাম সংগঠন: পার্থক্যটা বুঝি...

ফারুক হাসান

শুরুতেই সকলের প্রতি রইল আমার সংগ্রামী সালাম ও শুভেচ্ছা যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং ত্যাগের বিনিময়ে সংগঠনটিকে আজ এ পর্যায়ে এসেছে। সংগঠনটিকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আমরা জেল জুলুম নির্যাতন এমনকি রিমান্ডের মতো অমানবিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি তারপরও হাল ছাড়িনি।
অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে আমরা সংগঠনটির অফিসিয়াল একটি বেজমেন্ট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। এই সংগঠনটির কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি এবং আমরা সবসময় মানুষের সেই প্রত্যাশা পূরণে বদ্ধপরিকর। ইনশাআল্লাহ, একদিন মানুষের চাওয়া পাওয়ার আলোকে এই সংগঠনটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে উজ্জ্বল নক্ষত্রে পরিণত হবে।

এখন আসি ডাকসুর কথায়, ডাকসু নির্বাচন ছিল বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এর কাছে একটি টার্নিং পয়েন্ট। ব্যাপক অনিয়ম এবং কারচুপির মধ্যে দিয়ে ডাকসুর নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুদণ্ডহীন প্রশাসন করেছে। এই নির্বাচনে দেশবাসী তথা ঢাবির শিক্ষার্থীদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়ম করেও তারা নুর এবং আখতারের বিজয় ঠেকাতে পারেনি।

নৈতিক জায়গা থেকে আমরা দায়িত্ব নিবো কি নিবো না তা ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। জনমত জরিপে ৭১ শতাংশ শিক্ষার্থী মত দিয়েছে নুরুল হক নুর এবং আখতারের দায়িত্বভার গ্রহণ করার প্রসঙ্গে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আজ নুরুল হক নুর এবং আখতার হোসেন ডাকসুর দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। তারা দায়িত্ব গ্রহণ করে ঢাবির বিদ্যমান সকল সমস্যা সমাধানকল্পে কাজ করে যাবেন ইনশাআল্লাহ।

সংগঠন এবং ডাকসু এক জিনিস নয়। ডাকসু হচ্ছে সম্পূর্ণরূপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যান্তরীণ একটি বিষয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানকল্পে ডাকসুর জন্ম। সুতরাং ডাকসুর পক্ষ থেকে দেওয়া ব্যক্তব্য আমাদের সংগঠনের ব্যক্তব্য হবে বিষয়টি কিন্তু এমন নয়।
সংগঠন যে বিবৃতি দিবে তা বাংলাদেশের সকল কমিটির জন্য প্রযোজ্য। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল আছে এবং থাকবে। কোন জুলুমবাজ এবং নির্যাতণকারীর সাথে বা.সা.ছা.অ.স.প আপোষ করবে না।।
আমাদের উপর আস্থা রাখুন, পাশে থাকুন।

লেখক: যুগ্ম-আহবায়ক, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ