২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫১

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাব্যবস্থাকে যথাযথ মানদণ্ড দিতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মানুষ

  © টিডিসি সম্পাদিত

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাব্যবস্থাকে তার যথাযথ মানদণ্ড দিতে না পারলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ দেশের মানুষ। দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা কী পরিমাণ শ্রম দিয়ে দেশের অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেমন ভূমিকা রাখছেন, তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।

একজন শিক্ষার্থী এসএসসি শেষে ৪টি বছর যে ডিপ্লোমা প্রকৌশল বিদ্যায় (থিওরি+প্রাক্টিক্যাল+ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং) তার মেধাকে বিনিয়োগ করছে, নিশ্চয় তার একটি প্রভাব রয়েছে ও আপনাকে অবশ্যই এই ডিগ্রির যথাযথ মূল্যায়ন দিতে হবে।

উপসহকারী প্রকৌশলী এই পদটি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য একটি বিশেষায়িত পদ। যে কারণে প্রতি বছর দেশের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এই শিক্ষায় অনেক আগ্রহ নিয়েই প্রবেশ করছে।

শিক্ষা অর্জন শেষে ডিগ্রি প্রাপ্তি অনুযায়ী চাকরিতে প্রবেশের একটি চেইন অব সিস্টেম মেনটেইন করা হয়। এতে সব লেভেলেই একটি ভারসাম্য থাকে। একজন এসএসসি বা এইচএসসি পাস শিক্ষার্থীকে যেমন একজন অনার্স-মাস্টার্স পাস শিক্ষার্থীর কাতারে আনা যাবে না, একজন ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীকেও একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীর সারিতে চিন্তা করা অনুচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাস করে বের হয়ে প্রথম শ্রেণির চাকরির সন্ধান করবে, দেশ-বিদেশে হায়ার স্টাডি করবে, তাদের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সঙ্গে কম্পিটিশনের চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। একইভাবে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের মধ্যে যারা পলিটেকনিকগুলোয় শিক্ষকতা পেশায় আছেন, তাদের পদমর্যাদায় একজন ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরকে দেখাটাও বেমানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অফিসার, ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট বা টেকনেশিয়ান আপগ্রেডেশন নিয়ে শিক্ষক হতে চাইলে সেইটা কেমন ব্যাপার হবে? আপগ্রেডেশন বা পদন্নোতির নীতিমালা থাকবে, তবে সেটা অবশ্যই মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে একটা নির্দিষ্ট লেভেল মেনটেইন করে হওয়া উচিত। এটাও ঠিক আমাদের দেশের যে হারে শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি নিয়ে বের হচ্ছে, সে হারে আমরা হয়তো চাকরির সুযোগ দিতে পারছি না। এর জন্য সরকারকে এমন সংকট নিরসনে আরও বেশি পদক্ষেপ নিতে হবে।

আশা করছি, বর্তমান সরকার কর্তৃক গঠিত কমিটি ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দাবিসমূহ পর্যালোচনা এর মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাধান দেবেন ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের রানিং শিক্ষার্থীরাও তাদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত হয়ে পড়াশোনা সুন্দরভাবে চালিয়ে যাবে।

লেখক : ইমরান মাসুদ, সহকারী অধ্যাপক, সিএসই বিভাগ, ডুয়েট