ফিরে দেখা ২০১৮

নানা আয়োজন-আন্দোলনে সরব ছিল বশেমুরবিপ্রবি

  © টিডিসি ফটো

২০০১ সালে বীজ বপন হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি)। অতঃপর ২০১১ সালে জন্ম নেয় জাতির জনকের নামাঙ্কিত মরুময় পঞ্চান্ন একরের বিশ্ববিদ্যালয়টি। এরপর ২০১৮ সালে এসে চোখ জুড়ানো সবুজের ছোঁয়া পেয়েছে বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিণত হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ উদ্ভিদ সংগ্রহশালায়।

রং-বেরংয়ের হাজারো ফুল ও প্রজাপতির সৌন্দর্যে সারাটি বছর বশেমুরবিপ্রবির ক্যাম্পাস সবাইকে আকর্ষণ করে গেলেও বছরটির শুরুতেই আমরা হারিয়েছি একটি ফুল যার নাম চম্পা রানী, সড়ক দুর্ঘটনায় যার মৃত্যু হয়।

আট শিক্ষার্থীর জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাওয়া, ছয় শিক্ষার্থীর প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক লাভ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা, নতুন তিনটি বিভাগ ও একটি ইনস্টিটিউট এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠন, বিদেশী শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় স্থান, একনেকে ২৫০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার উন্নয়ন বাজেট প্রাপ্তি, ইয়োলো ফেস্টের মত মন মাতানো নানা আয়োজনে সরব ছিলো এই সবুজ আঙ্গিনা।

অন্যদিকে বহিরাগতদের সাথে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, বিশ্ববিদ্যালয় বাস দুর্ঘটনা, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি চক্রের তৎপরতা, কর্মচারীদের প্রতিবাদ সমাবেশের মত বহু ঘটনায় বশেমুরবিপ্রবির প্রাঙ্গণ সরব ছিল স্লোগান ও প্রতিবাদে।

এসব কিছু ছাপিয়ে নবীনদের বরণ, বসন্ত বরণ, নববর্ষ বরণ, পিঠা উৎসব, নারী দিবস, বিশ্ব পরিবেশ ও ফার্মাসিস্ট দিবস, শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মানসে সঠিক সময়েই আয়োজিত হয় বিভিন্ন সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম। এর মধ্য দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে দেশে একটি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার মিশন নিয়ে। আর ২০১৮ সালে ঘটে যাওয়া এসব আলোচিত বিষয় নিয়েই আজকের এই আয়োজন ‘ফিরে দেখি বশেমুরবিপ্রবি’।

সনদ প্রদান ও অরিয়েন্টেশন: ২০১৮ সালে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনেই স্নাতক সম্পন্নকারীদের সনদ প্রদান ও নবীনদের বরণ করে নেয়ার প্রথার ব্যত্যয় হয়নি। দেশের সেশনজট মুক্ত ও সঠিক সময়ে ফলাফল প্রদানের এমন নজির দ্বিতীয় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।

না ফেরার দেশে চম্পা: দিনটি ছিল জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখ, অন্য সব দিনের মতই মার্কেটিং বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী চম্পা রানী বান্ধবীদের সাথে ক্যাম্পাস নিকটস্থ ঘোনাপাড়া থেকে বাজার করে ফিরছিলেন, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ট্রলির ধাক্কায় ঐ স্থানেই মৃত্যু হয় তার। শিক্ষার্থীরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে দাবি জানালেও সেখানে স্পিড ব্রেকার বসানো হয়নি আজও।

আট শিক্ষার্থীর ফেলোশিপ প্রাপ্তি: ২০১৮ সালেই বশেমুরবিপ্রবির আট শিক্ষার্থী তাদের গবেষণা কর্মের জন্য জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপে ভূষিত হয়। তারা হলেন- গণিত বিভাগের এন এইচ এম শাহিন, মো. তুষার মোল্লা ও মো. নাহিদুল ইসলাম; ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের হাবিবুর রহমান চৌধুরী ও দেবাশীষ কুমার পাল; ফলিত পদার্থ বিদ্যা, ইলেকট্রনিক্স ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শাহ-আলম সজল, রফিকুল ইসলাম ও রুবেল সরকার। সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রদত্ত এই অর্থ সহায়তা ও সম্মাননা তাদের গবেষণা কর্মকে সাফল্যমণ্ডিত করবে।

তরুণ কবি ফয়সাল হাবিব সানি: বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল হাবিব সানি, ২০১৮ সনে ক্যাম্পাসে আলোচিত নাম। ১৯৯৭ সনে জন্ম গ্রহণ করা এই তরুণ কবির চারটি কাব্য গ্রন্থ প্রকাশ পায় ‘অমর একুশে বই মেলা-২০১৮’ তে। দেশ ও দেশের বাহিরে বাংলা ভাষাবাসী কবিতা প্রেমী মানুষের কাছে, প্রেম ও দ্রোহের প্রিয় কবি হয়ে উঠছেন তিনি।

সড়ক দুর্ঘটনা ও অনিয়ম: বিগত বছরের মত ২০১৮ সনেও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন খাতে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘স্থানীয়রা গাড়ির চালক হওয়ায়, তারা সুযোগ পেলেই বিশ্ববিদ্যালয় বাসকে লোকাল বাস বানিয়ে ফেলেন যা হতাশাজনক’। এছাড়াও জুন মাসে গোপালগঞ্জের সোনাকুড়ে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার কথা শিক্ষার্থীরা ভোলেনি, যেখানে ১৫ জন শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলো। তবে আবার আশার কথা হলো ২০১৮ সনের ৩০ অক্টোবর নতুন ২টি বাস যুক্ত হওয়ায় বাস সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪টি যা দূর হতে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল আশার আলো।

YOLO ফেস্ট: বশেমুরবিপ্রবিতে অত্যন্ত উৎসাহ ও জাঁকজমক পরিবেশে পালিত হয় স্নাতকদের সমাপনী অনুষ্ঠান। ১৩ অক্টোবর উপাচার্য মহোদয়ের উদ্বোধনের মাধ্যমে সূচনা হওয়া ২০১৪-১৫ সেশনের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান শেষ হয় ১৪ অক্টোবর। এয়ারটেলের সৌজন্যে উদযাপিত YOLO ফেস্টের আয়োজনে ছিলো র‍্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। যেখানে সঙ্গীত পরিবেশন করে ওয়ারফেজ ব্যান্ড, দীর্ঘ রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা মেতে থাকেন আনন্দোৎসবে, চার বছরের স্মৃতি রোমন্থনে স্মরণীয় করে রাখেন পুরো দিবসটি।

তাওহীদ ইসলাম



ভর্তি প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির চেষ্টা: সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন এক শিক্ষার্থীর নিকট ব্লুটুথ ডিভাইস পাওয়া যায়। তার দেয়া তথ্য মতে রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, প্রশাসন ও গোয়েন্দাদের সহায়তায় জালিয়াতি চক্রকে আটক করা সম্ভব হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত ঐ শিক্ষার্থীকে ৭ দিনের ও জালিয়াতি চক্রের ২ জনকে ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। কর্তৃপক্ষের এমন কার্যকর পদক্ষেপের ফলে ভবিষ্যতে এমন দুর্নীতি হ্রাস পাবে বলে আশা করছেন সকলে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের তাণ্ডব: পূর্বের বিচ্ছিন্ন কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা কাটিয়ে উঠে ভালই চলছিলো বশেমুরবিপ্রবির ২০১৮ যাত্রা, কিন্তু জুলাই মাসের শুরুতেই সেই চিত্র পাল্টে যায়। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিরাগতদের সাথে সংঘর্ষে ক্যাম্পাস পরিণত হয় রণক্ষেত্রে, এতে আহত হন অন্তত ৫০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় সেদিন, পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সে স্মৃতি এখন অতীত তবে দেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠে এমন নৈরাজ্য উন্নয়নের প্রতিবন্ধক, ভূক্তভুগী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মনে সে চিত্রপট অমোচনীয় হয়ে থাকবে।

বেরোবির সাথে সমঝোতা: গবেষণা, শিক্ষা-সংস্কৃতির যেকোনো আয়োজনে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় যেন একসাথে কাজ করে যেতে পারে সেই লক্ষ্যে বশেমুরবিপ্রবি ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়। এর ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ উপকৃত হবেন বলে আশাকরা হচ্ছে।

ছয় শিক্ষার্থীর প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণ পদক প্রাপ্তি: দেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের নিজ নিজ অনুষদে সেরা ফলাফলকারী ১৫৯ জন শিক্ষার্থীদেরকে স্বর্ণ পদক দেয়া হয়, যেখানে বশেমুরবিপ্রবির ৬ শিক্ষার্থী তাদের ভালো ফলাফলের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণ পদক’ লাভ করেন। তারা হলেন ফার্মেসী বিভাগের বিলকিস খানম, সিএসই বিভাগের মো. সোহাগ হোসাইন, গণিত বিভাগের শীলা খাতুন, এআইস বিভাগের তাহমিদা নাজনিন, অর্থনীতি বিভাগের বর্ণালী রায় ও মো. আল-আমিন যিনি বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী। তাদের এ অর্জন বশেমুরবিপ্রবির গৌরব।

আন্দোলনের ডামাডোল: ২০১৮ সালটা যেন ছিলো সুকান্তের সেই ‘আঠেরো বছর বয়স’ কবিতার পরিস্ফুটন ‘এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে’। এপ্রিলে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ও তারপর নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে যখন সারাদেশ ফুঁসছিল তখন বশেমুরবিপ্রবিও ছিলো জাগ্রত, শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। হাতে লেখা ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে নানা স্লোগানে সারাদেশে চলমান আন্দোলনের যৌক্তিকতায় সমর্থন জানায় তারা। উপাচার্য তাদের চলমান আন্দোলন নিয়ে বক্তব্য দেয়ার মধ্যেই তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বানচাল করতে কিছু সন্ত্রাসী ছুরি ও দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে বসে, এরপর শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসে এ আন্দোলন স্থগিত করে সারাদেশের ও বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা।

উন্নয়ন প্রকল্প: আরডিপিপিএর আওতায় অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে একনেকের এক সভায় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বশেমুরবিপ্রবি ২৫০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বরাদ্দ পায়। এ প্রকল্পে নির্মাণ হবে দক্ষিণ বঙ্গের সর্ববৃহৎ অডিটোরিয়াম, বঙ্গবন্ধুর ম্যূরাল ও শহীদমিনার কমপ্লেক্স, মেইন গেট ও দুটো পাঁচ তলা ভবনকে দশতলায় উন্নিতকরণসহ দৃষ্টিনন্দন ওয়াটার বডি নির্মাণ। এ প্রকল্পের সফলতা সন্দেহাতীতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

শিক্ষক সমিতি নির্বাচন: ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত ঐ নির্বাচনে জয়লাভ করে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষক জোট (নীল দল)। সভাপতি হিসেবে মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক ঈশিতা রায় এবং সহ-সভাপতি হন আবুল বাশার রিপন খলিফা। সদস্যবৃন্দের মধ্যে রয়েছেন ড. মো. তরিকুল ইসলাম, শিক্ষকদের দাবিদাওয়া পূরণে ও ঐক্যবদ্ধভাবে শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় তারা কাজ করে যাবেন এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

সাংবাদিক সমিতির রদবদল: বশেমুরবিপ্রবির সুসংগত ও আদি সংগঠন বশেমুরবিপ্রবিসাস। সংগঠনটিকে আরও গতিশীল করতে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগে এখানেও। ২২ অক্টোবর এক সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে সংগঠনটির নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে। নতুন সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) হন আবু জাহিদ এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান মো. সাইফুল ইসলাম। সংগঠনটি তার গুনগত মান ধরে রাখতে সদস্য নির্বাচনে, তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও যাচাইয়ের ক্ষেত্র বেশ সততা ও সচেতনতার সাথে এগিয়ে চলছে।

সর্বোচ্চ ভর্তি আবেদন: শিক্ষার মানোন্নয়ন ও অবকাঠামোগত চলমান উন্নয়নের ফলে ২০১৮ সালে দেশ এবং বিদেশের শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নেয় বশেমুরবিপ্রবি। তার ফলশ্রুতিতে, ২০১৮-১৯ সেশনে রেকর্ড সংখ্যক (৩২৪৫ টি আসনের বিপরীতে) ১ লাখ ৩ হাজার ৯৯৪ টি আবেদন জমা পড়ে এবং প্রতি আসনের বিপরীতে লড়েছেন ৩৩ জন শিক্ষার্থী।

নতুন যোগ হওয়া শেখ হাসিনা আইসিটি ইন্সটিটিউট, আর্কিটেকচার, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে বর্তমানে ৩৪টি বিভাগ হওয়ায় ২০১৮ তে যেন তারুণ্যের আঠেরো নেমে এসেছিলো বশেমুরবিপ্রবিতে।

২০১৮ তেই সেজেছে ভিসি বাংলো সংলগ্ন লেকের পাড়, গড়ে তোলা হয়েছে কৃত্রিম পাহাড় তার ওপরে চায়ের বাগান, রাস্তার দুপাশে ফুল ফলের গাছ, উড়ছে প্রজাপতি, পাখিরাও গাইতে শুরু করেছে গাছের ডালে ডালে। হাতছানি দিয়ে ডাকছে নবাগতদের, ধারণ করছে নয় হাজার মেধাবী মুখ।

শুরু হওয়া নতুন বছর কেমন দেখতে চান এমন প্রশ্ন করা হলে সিএসই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী মো. বকুল মুন্সী বলেন ‘দেখুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজ চলছে এবং উন্নয়ন হচ্ছেও কিন্তু এ কাজগুলে দ্রুততার সাথে শেষ করতে হবে। বিভিন্ন বিভাগের ক্লাসরুম সংকট, আবাসন সংকট দূরীকরণ ও আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২০১৯ সালে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।’ 

নতুন বছর নতুনত্বের, নিজের ও সামগ্রিক কার্যক্রমকে নতুন করে ভাবার এবং উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ, সময়ের গতিশীলতায় একসময় এ বছরটিও অতীত হবে তখন সেই ২০১৯ এর স্মৃতি যেন আমাদের ঠোঁটের কোনে একচিলতে মৃদু হাসি এনে দেয় এমনটাই প্রত্যাশা।

লেখক: শিক্ষার্থী, ফার্মেসি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ


সর্বশেষ সংবাদ