গণঅভ্যুত্থানে যাদের উছিলায় মুক্তি, তাদের সবাইকে আমরা স্বীকার করছি না
আবু সাঈদ শিবির করতো, তাই বারবার শিবিরের মাধ্যমে তার নাম উঠে আসে। প্রথম শহীদ হিসেবে তাকে অবশ্য কেউ ইগনোর করতে পারেনি। ওয়াসিম ছাত্রদলের ছিল, তাই ছাত্রদল তাকে দেশবাসীর কাছে পরিচিত করাচ্ছে। মুগ্ধ আরবান মিডল ক্লাসের ছিল, তাই তাকে নিয়েও মিডিয়া বেশ সরব।
ফাইয়াজ উচ্চবিত্তের ছেলে। তাকে নিয়ে এলিট ক্লাসের লোকজন গর্বিত। কিন্তু মাদ্রাসার যে শিক্ষার্থীর মারা গেছে, তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এভাবেই ইতিহাসের অতল গহ্বরে হারিয়ে যায়।
এ আন্দোলনে ৮০ শতাংশই হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ৷ রিকশাওয়ালা, দিনমজুর, চায়ের দোকানদার। হোটেলের কর্মচারী। তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। কারণ তারা লিখতে জানে না। তাদের ইতিহাস আমাদের ইতিহাসবিদরা কখনোই স্বীকার করেন না। তাদের ক্যারেক্টার হয়ে যায় ফিকশন।
আরো পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহত আরও একজনের মৃত্যু
মুক্তিযুদ্ধও ছিল নিম্নশ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণে একটি স্বতঃস্ফূর্ত লড়াই। কিন্তু কলকাতায় যারা ফুর্তিতে মেতে ছিল, তারাই হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ক্রেডিট চোর। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাসও চুরি হতে বসেছে। যাদের উসিলায় আমাদের মুক্তি, তাদের সবাইকে স্বীকার করছি না। কারণ, তারা লিখতে জানেন না।
লেখক: সভাপতি, আঁচল ফাউন্ডেশন
(ফেসবুক থেকে নেওয়া)