কাউকে ক্ষমতায় নেওয়া বা নামাতে ক্যাডার হওয়াকে ছাত্র রাজনীতি বলে না
বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি চর্চা ও শেখার জায়গা। কেউ চাইলে লেখাপড়া ও গবেষণার পাশাপাশি রাজনীতি চর্চা করতে পারে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করে কোন একটি মতবাদে বা আদর্শে অন্ধ হওয়ার জায়গা না। দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করলে কোন একটি নির্দিষ্ট আদর্শ বা মতবাদের মধ্যে আটকে যেতে হয়।
এ বয়সে রাজনীতির পুরো মাঠ একজন ছাত্রের জন্য চারণ ভূমি। রাজনীতির পুরো মাঠ বিচরণ না করে কিভাবে সঠিকভাবে কোন একটিকে বেছে নেবে? ছাত্রাবস্থায় কোনো একটি দলের হয়ে গেলে চিন্তার পুরো স্পেকট্রাম জানা বা শেখার বদলে একটি অংশ জানে বা শেখে। তাছাড়া দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করলে অপরের মতামতকে সম্মান করতে না শিখে বরং ঘৃণা করতে শেখে। সাথে বোনাস হিসাবে তোষামোদিতা শেখে।
আরো পড়ুন: দুই বিসিএসে পদ বাড়ছে ৩ হাজার
আমাদের দেশে আমাদের সমস্যা হলো ছাত্র রাজনীতি বলতে আমরা কি বুঝি সেখানেই আমাদের মূল গলদ। আপনি রাজনৈতিক ইস্যুতে রেগুলার মুক্ত আলোচনা করুন, ছাত্রদের নানা সমস্যা ও ইস্যুতে দাবি তুলুন, আন্দোলন করুন। নানা সামাজিক সমস্যাকে মোকাবেলার জন্য নানা সংগঠন করে তুলে এর মাধ্যমে নেতৃত্ব শিখুন।
ছাত্রাবস্থায় দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করে জাতীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে কাউকে ক্ষমতায় নেওয়া বা কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য ক্যাডার হয়ে কাজ করাকে ছাত্র রাজনীতি বলে না।
লেখক: অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
(ফেসবুক থেকে নেওয়া)