এ রকম গ্র্যাজুয়েট দিয়ে আমরা কী করব
- ড. এম এ মাননান
- প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:২২ PM , আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:৩৬ PM
চল্লিশ বছরের বেশি সময় ধরে পরীক্ষার খাতা দেখছি। এখনও দেখি। আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষকতার পেশা থেকে অবসর নিলেও লেখাপড়ার মাঠ থেকে অবসর নিতে ইচ্ছা হয় না। তাই এখনও ক্লাস-পরীক্ষা নিই, খাতা দেখি। যখন এ পেশায় এসেছিলাম তখন জেনে-বুঝে ইচ্ছাকৃতভাবেই এসেছিলাম। ‘যদি কোথাও না পাস্ স্থিতি, তবে শুরু কর পণ্ডিতি’— এরূপ পরিস্থিতির শিকার হয়ে শিক্ষকতার পেশায় আসিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছিলাম সম্পূর্ণ নিজের বিবেচনায়। ছাত্রজীবনের শেষভাগে সুযোগমতো ঢাকা শহরের একটি খ্যাতিমান কলেজে পার্টটাইম কাজও করেছি, অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য, শিক্ষকতার পেশার সাথে নিজকে মানাতে পারব কিনা তা অনুুধাবন করার জন্য, শিক্ষার্থীদের কাছে নিজকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারবো কিনা এবং তারা আমাকে বুঝতে পারবে কিনা, এসব বিষয় সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার জন্য। সব সময়েই মনে করতাম এবং এখনও মনে করি, পরীক্ষার রেজাল্টের মাপকাঠিতে ভালো ছাত্র হওয়া আর শিক্ষকতা করার যোগ্যতা থাকা এক বিষয় নয়।
স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার শিক্ষকদের পড়ানোর স্টাইল, ক্লাসরুমে আচরণ, বিষয়বস্তুুর গভীরে যাওয়ার সক্ষমতা দেখে এসব বিষয় নিয়ে ভাবতাম। কোনো কোনো শিক্ষককে পেয়েছি যাদেরকে এক কথায় বলা যায়— দারুণ। আবার মুদ্রার অন্য পিঠে দেখেছি নিদারুণ ব্যর্থ শিক্ষকের চেহারা। প্রায় সর্বত্র মোটামুটি একই ছবি। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত, এমনকি ভিন্ দেশেও, দিল্লি, ম্যানচেস্টার এবং কেন্টাকিতে যেখানে যেখানে পড়েছি বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়ে। সব জায়গাতেই পূজনীয় শিক্ষক যেমন পেয়েছি তেমনি ‘ওনার থেকে দূরে থাকাই সমীচীন’ এমন শিক্ষকও দেখেছি। মনে হয় না, দেশ-কাল-পাত্র ভেদে এ ব্যাপারে বিশেষ কোনো পার্থক্য আছে। ভালো-মন্দ মিলিয়েই এ পেশা। তবে অন্যান্য দেশে ভালোর সংখ্যা এতো বেশি যে, অগ্রহণযোগ্যদের ব্যাপারে মাথা না ঘামালেও চলে। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, আমাদের দেশটাতে চিত্রটা উল্টো। আর এখানেই শিক্ষার মানের মূল সমস্যাগুলো জট পাকিয়ে আছে।
আপনি কী খাদ্য খান তা দিয়ে যেমন বোঝা যায় আপনি কেমন থাকবেন, ঠিক তেমনি আপনি কী রকম শিক্ষকের কাছে লেখাপড়া করেছেন তা দিয়ে বোঝা যাবে আপনি কেমন গ্র্যাজুয়েট। শিক্ষকের শিক্ষাদানের মানের উপর নির্ভর করে শিক্ষার্থীর গৃহীত শিক্ষার মান, পুরোটা না হলেও বহুলাংশে। যেসব গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তাদেরকে শিক্ষকরা কী শিখিয়েছেন ্এবং তাদের অর্জিত শিক্ষার সার্বিক মানের অবস্থা কী, তা নিয়ে গভীর উদ্বিগ্নতার সৃষ্টি হয়েছে নানা মহলে।
উন্নত দেশগুলোতে প্রত্যেক স্তরের একটা নির্ধারিত লেভেলে উত্তীর্ণদেরকে সংশ্লিষ্ট লেভেলের গ্র্যাজুয়েট বলা হয়। যেমন প্রাইমারি স্তর শেষ করলে বলা হয় প্রাইমারি গ্র্যাজুয়েট, মাধ্যমিক স্তর পার হলে বলা হয় সেকেন্ডারি গ্র্যাজুয়েট, আর ব্যাচেলর ডিগ্রি বা মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করলে বলা হয় ডিগ্রিধারী গ্র্যাজুয়েট। অত্র নিবন্ধে ডিগ্রিধারী গ্র্যাজুয়েটদের কথাই মূলত বলার চেষ্টা করছি।
নিজের অজান্তেই বেকার থাকার জন্য লেখাপড়া করেছে; যে লেখাপড়ায় লেখাও ছিল না, পড়াও ছিল না। আছে শুধু একটা কাগজের সার্টিফিকেট পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত লেখাপড়া করা ‘অশিক্ষিত’ লোকজনে যদি দেশ ভরে যায় তা হবে আগামীর বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত।
আমাদের দেশে প্রায় ৩২ লাখ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে (কলেজগুলোসহ) লেখাপড়া করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ-বিশ্ববিদ্যালয় (নন-ইউনিভার্সিটি) উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন— পলিটেকনিক, কৃষি কলেজ, নার্সিং ইন্সটিটিউট ইত্যাদি। তন্মধ্যে প্রায় ৭৩% গ্র্যাজুয়েট পড়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত কলেজ/ইন্সটিটিউটে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, ইন্সটিটিউট আর কয়েকটি সরকারি কলেজের গ্র্যাজুয়েটদের নিয়ে একটি সাদামাটা ধরনের সমীক্ষার ভিত্তিতে তাদের শিক্ষার মান নিয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরছি। সংশ্লিষ্ট গ্র্যাজুয়েটরা বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিল ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত, যেসব পরীক্ষায় মূলত তাদের বাংলা ও ইংরেজিতে ভাব প্রকাশের দক্ষতা যাচাই করা হয়েছিল। তবে এসব তথ্যের ভিত্তিতে প্রাপ্ত ফলাফল সাধারণীকরণ করা একেবারেই সমীচীন হবে না। এগুলো থেকে সার্বিক একটা ধারণা পাওয়া যাবে মাত্র।
অধিকাংশ মাস্টার্স ডিগ্রিধারী গ্র্যাজুয়েট বাংলায় ভাব প্রকাশ করতে পারলেও শুদ্ধ করে সব বাক্য লিখতে পারেনি; অজস্র বানান ভুল করেছে; বাক্যের মধ্যে কর্তা-কর্ম-ক্রিয়ার সাযুজ্য রক্ষায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে; বাক্যে বিভ্রান্তিকর গঠন কাঠামো ব্যবহার করেছে; শব্দভাণ্ডারে অপর্যাপ্ততার পরিচয় দিয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সঠিক শব্দ ব্যবহার করতে না পারার কারণে কাঙ্ক্ষিত অর্থ বাঙময় হয়ে ওঠেনি। শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ না হলেই এরূপ ঘটে। সবচেয়ে খারাপ ইংরেজি ভাষাজ্ঞান। একজনকেও পাওয়া যায়নি, যে পরিপূর্ণ শুদ্ধ করে ইংরেজিতে বাক্য লিখতে পেরেছে। ভুল প্রায় সর্বক্ষেত্রে— বানানে, বাক্য গঠনে, গ্রামারের ব্যবহারে, এমনকি যতিচিহ্নে। একটি বিষয়ের উপর অনুচ্ছেদ লিখতে গিয়ে বড় সংখ্যক গ্র্যাজুয়েট শুধু অনেকগুলো মনগড়া শব্দ লিখে দিয়েছে যার বানান যেমন ঠিক নাই, তেমনি কী প্রকাশ করতে চেয়েছে তারও হাত-মাথার ঠিক নাই।
ভাব প্রকাশের এসব পরীক্ষায় যা দেখেছি এবং বুঝেছি তাতে শঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যাগুলো ভালো করে অনুধাবন করার জন্য বিস্তারিত গবেষণা অপরিহার্য। সমস্যাগুলো নিহিত কি শুধু শিক্ষকদের জ্ঞান-মান এবং আন্তরিকতা আর সততায়, শিক্ষাদান পদ্ধতিতে, কারিকুলাম/সিলেবাসে, প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো আর ব্যবস্থাপনায়, পারিপার্শ্বিক পরিবেশে, জাতীয় পর্যায়ের পলিসি/পরিকল্পনায়, রাজনীতি-সমাজনীতিতে, নাকি অন্য কোথাও? নাকি সমস্যার অনেকগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যেই প্রোথিত হয়ে আছে? শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় সময় দিচ্ছে না, প্রযুক্তির মায়াজালে পড়ে শিক্ষা ছেড়ে দিয়ে ডিভাইস-নির্ভর গ্র্যাজুয়েট হতে চাচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় রাত-বিরাতে সময় দিচ্ছে, অল্প বয়সেই রাজনীতিতে নেমে পড়ছে, উচ্ছৃঙ্খল হয়ে যাচ্ছে নাকি তারা মিস্গাইডেড হচ্ছে? সঠিক গবেষকদল দিয়ে গবেষণা করে মূল চ্যালেঞ্জগুলো উদঘাটনপূর্বক যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া না হলে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় ধস অনিবার্য (প্রাথমিক আর মাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থায়ও হাত দিতে হবে)। ধ্বস যদি এভাবে অব্যাহত থাকে, তাহলে সেই ধসের স্তূপ থেকে উঠে আসা গ্র্যাজুয়েট দিয়ে কোনোভাবেই কোনো কাজ করানো যাবে না। ভাষাগত অদক্ষতার কারণে এদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়াও সম্ভব হবে না। কারণ এরা প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু আত্মস্থ করতে পারবে না। এ ধরনের গ্র্যাজুয়েটরা নিজেরাই বেকার থাকবে না, তারা সুশিক্ষিত/প্রশিক্ষিত বেকারদের জন্যও বদনাম নামক বিপর্যয় ডেকে আনবে।
এসব গ্র্যাজুয়েট বেকার থাকে; কারণ এরা নিজের অজান্তেই বেকার থাকার জন্য লেখাপড়া করেছে; যে লেখাপড়ায় লেখাও ছিল না, পড়াও ছিল না। ছিল শুধু একটা কাগজের সার্টিফিকেট পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত লেখাপড়া করা ‘অশিক্ষিত’ লোকজনে যদি দেশ ভরে যায় তা হবে আগামীর বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত। দুর্যোগ ডেকে আনবে তারা অর্থনীতিতে, সমাজে, সর্বক্ষেত্রে। শিক্ষাব্যবস্থার বদনাম ছড়িয়ে দেবে দেশের বাইরেও।
আমাদের ভুলে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই যে, এদেশে কয়েক লাখ বিদেশি দক্ষ কর্মী কাজ করছে এবং বিপুল অংকের অর্থ বেতনভাতা বাবদ নিজ দেশে নিয়ে যাচ্ছে। যে পরিমাণ অর্থ তারা নিয়ে যাচ্ছে তা শুনে অনেকে ভিরমি খেয়ে পড়বে কিন্তু এটিই বাস্তবতা। আর দেশের ‘অশিক্ষিত’ গ্র্যাজুয়েটরা নিজেদের বিদ্যাহীনতার কারণেই কর্মহীন হয়ে পড়ে থাকবে।
অনেকেই হয়তো বলবেন (ইতঃপূর্বে বলেছেনও), পুরোপুরি খোলনলচে বদলে দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। নেতারা আর কর্তা-ব্যক্তিরা সভায়, সেমিনারে, কনফারেন্সে, গণবক্তৃতায় সুললিত কণ্ঠে আবেগমাখা ভাষায় কতো কতো সুন্দর সুন্দর কথামালা গেঁথে শ্রোতাদের হূদয় মথিত করে দিচ্ছেন, দিবেন। শিক্ষার উন্নয়নের জন্য নিবেদিতপ্রাণ তারা, একথা বোঝাবার জন্য বহু সফলতার কাহিনিও শোনাবেন। সবই ভালো। তবে একথাও বলতে হবে এবং দায়িত্বপ্রাপ্তদেরকে হাতে-কলমে করে দেখাতে হবে: খোলনলচে বলতে তিনি কী কী বিষয়কে বোঝাচ্ছেন; কীভাবে খোলনলচে বদলাতে হবে; কী ঢালতে হবে এবং কীভাবে ঢালতে হবে। আর ঢালার পর সাজানোর বিষয়টিও স্পষ্ট করতে হবে। কী সাজাবেন এবং কীভাবে কোন্ ধরনের ব্যক্তিদেরকে দিয়ে সাজাবেন এবং এসব ব্যক্তিকে কোথায় পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ যেভাবে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে প্রায় সব ক্ষেত্রে, সে অগ্রগতিকে ধরে রাখার জন্য এবং উন্নয়নের গতিকে আরও বেগবান ও সবার কাছে তার সুফল পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমাদের প্রয়োজন সুশিক্ষিত, কর্মে দক্ষতাসম্পন্ন, ইনোভেটিভ, সৃজনশীল, সফ্টস্কিল ব্যবহারে পারদর্শী আর পরিশ্রমী মনোভাবাপন্ন তরুণ-তরুণী। এমন তারুণ্যদীপ্ত পরিপক্ক প্রজন্ম তৈরি করবে কে, কীভাবে? আছে কি কোনো দীর্ঘমেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান? ছিল কি কখনও? শিক্ষাব্যবস্থার জন্য আছে কি কোনো সুনির্দিষ্ট ভিশন, মিশন এবং লক্ষ্যমালা? যদি থেকে থাকে, আছে কি শুধুই কাগজে, দলিলে আর কারো কারো ঠোঁটের অগ্রভাগে? যেমন গ্র্যাজুয়েট আমরা দেখছি, তেমন গ্র্যাজুয়েট যদি দেখতে না চাই, তা হলে বেরিয়ে আসতে হবে চিন্তাচেতনার ‘ব্যাঙের কুয়া’ থেকে; বিস্তৃত চোখে দেখতে হবে দুনিয়াকে; অনুভবে ধারণ করতে হবে কী হচ্ছে আমাদের চারপাশে, এদেশে-ওদেশে; কেমন গ্র্যাজুয়েট আমরা চাই, ওরা চায়; কী শেখাতে হবে তরুণদের পৃথিবীতে জায়গা করে নেবার জন্য। বহু দেশ কর্মীর অভাবে ভুগছে দারুণভাবে। আমাদের কয়েক কোটি তরুণদের পাঠাতে পারি সেসব দেশে। যার জন্য প্রয়োজন সঠিক, বিশ্বের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা। মাতৃভাষার পাশাপাশি জানতে হবে গ্লোবাল ভাষা ইংলিশ, জানতে হবে খুবই ভালো করে, যেনতেন প্রকারে নয়। ইংলিশ এখন আর দ্বিতীয় ভাষা নয়, এটি সারা পৃথিবীতে এমনভাবে জায়গা করে নিয়েছে যে, এটি পরিণত হয়েছে গ্লোবাল ভাষায়। এটি না শিখে নিস্তার নেই। নিজ ভাষার দক্ষতার সাথে সাথে অবশ্যই আয়ত্ত করতে হবে ইংলিশে গ্রহণযোগ্য দক্ষতা; হতে হবে শুধু বাংলাদেশের নাগরিক নয়, বিশ্ব নাগরিক। যেতে হবে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে, যেমনটি গিয়েছে এবং যাচ্ছে ভারতীয়রা, চীনারা, নেপালিরা, শ্রীলঙ্কানরা আর আফ্রিকার কয়েকটি দেশের তরুণেরা। নিশ্চুপ বসে থাকলেই মার খেতে হবে পদে পদে।
মনে রাখতে হবে, রোহিঙ্গা আর আসামের জাতিগত সমস্যার সাথে সাথে জলবায়ুর বিশাল পরিবর্তনের কারণে ধেয়ে আসছে বিপর্যয়। বিশাল মূল্যবান জনসম্পদকে সত্যিকারের সুশিক্ষিত সম্পদে পরিণত করেই কেবল আমরা পারবো বিপর্যয়কে দূরে সরিয়ে রাখতে।
লেখক: শিক্ষাবিদ; উপাচার্য, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
সংগৃহীত