নতুন বছরে তারুণ্যের প্রত্যাশা
দেখতে দেখতে চলে যাচ্ছে আরও একটি বছর। নতুন সূর্যোদয়ের মাধ্যমে শুভসূচনা হবে নতুন বছরের। ক্যালেন্ডারের পাতায় গণনা শুরু করবে ২০২৪ সালের। পুরোনো বছরের সব দুঃখ, কষ্ট, গ্লানি, না পাওয়া সব কিছুকে পেছনে ফেলে নতুন বছর যেন শান্তি আর সমৃদ্ধশালী হয়ে ওঠে সেটাই প্রত্যাশা সকলের। একই সঙ্গে চাওয়া, বাংলাদেশ থাকুক সংঘাতমুক্ত ও নিরাপদ। নতুন বছরে তারুণ্যের প্রত্যাশা তুলে ধরেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মু. আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান।
নতুন বছরে খুলে যাক সম্ভাবনার নতুন দুয়ার
পুরনোকে বিদায় দিয়ে নতুনকে বরণ করে নেওয়াই মানুষের সহজাত প্রবণতা।আরও একটি নতুন বছর আমাদের দ্বারে এসেছে। ২০২৪ সাল আমাদের কাছে বিশেষ। নতুন বছরের সূচনালগ্নেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন।এই নির্বাচনকে ঘিরে জনগণের আশা প্রত্যাশার শেষ নেই। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জনগণের কল্যাণে কাজ করবে এটাই কামনা। নতুন বছরে সকল অপশাসন ও আগ্রাসী দুর্নীতিকে ধ্বংস করে দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হবে আমাদের দেশ। স্বপ্ন দেখি সামনের দিনগুলো অনেক বেশি ভালো যাবে। কিন্তু আমাদের এই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্ন না হয়- এমন প্রত্যাশা করি। আমরা নতুন করে নতুন করে পথ চলতে পারব। নতুন স্বপ্নের কথা বলতে পারব। সব ধরনের প্রতিকূলতা ছাড়িয়ে এগিয়ে যেতে পারব সামনে। দেশের মানুষের প্রত্যাশা এ রকমই। সবার চাওয়া ভবিষ্যত যেন ভালো হয়। দেশ ও জাতির মঙ্গলে সবার ভিতরে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত দেশপ্রেম জাগ্রত হোক, খুলে যাক সম্ভাবনার নতুন দুয়ার- নতুন বছরে এ প্রত্যাশাই করছি।
লেখক: শাহ্ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
রাষ্ট্রে অরাজকতা বন্ধ হোক
নতুন বছর মানেই প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা, বিগত দিনের ব্যর্থতা থেকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা । বিগত বছরের সুখ, দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছর নিয়ে যায় অমিত সম্ভাবনার পথে। সময়ের গতিপথের তাড়নায় ২০২৪ সাল দরজায় কড়া নাড়ছে। আগত দিনগুলোতে রাষ্ট্র, সমাজের নিকট অনেক আশা-প্রত্যাশা রেখেই পথ হাটা। চলতি বছরের শেষের দিনগুলোতে সারা বাংলাদেশের মানুষ যে আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছে , খবরের কাগজ খুললেই দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাসে, ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে মা-সন্তানসহ অনেকে নিহত, আবার বাজার থেকে বাসায় যাওয়ার সময়টুকুতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে হয়ে যাচ্ছে , যেখানে স্বল্প আয়ের সাধারণ জনগণের দুর্ভোগের শেষ নেই।রাষ্ট্র, সমাজে এত বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, অস্থিতিশীলতা বিরাজমান থাকলে কখনও একটা উন্নয়নশীল দেশের দাবিদার হওয়ার যায় না। তাই ২০২৪ সালে রাষ্ট্র, সমাজের কাছে একান্ত প্রত্যাশা আগামী দিনগুলোতে দেশের সাধারণ জনগণ আতঙ্কহীনভাবে সুখে শান্তিতে থাকুক।
লেখক: আশা আক্তার জুঁই, শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
নিজেকে দক্ষ করে তোলাই হোক উদ্যম
একজন মানুষের প্রাপ্তি যেন অশেষ। পুরোনো বছরকে ফেলে নতুন বছরে নতুন কিছু করা, নতুন কিছুর প্রত্যাশার তাগিদে পথ চলা যেন প্রত্যেক মানুষের আকাঙ্ক্ষা। তেইশের শেষে চব্বিশে'র শুরুতে বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সবারই মনে একটা প্রত্যাশা যে সরকার যে হোক বাংলাদেশের সকল জনগণ যেন সুযোগ -সুবিধার ভাগীদার হয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে যেন আগামীর ৪১ সালের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় সাধন করে।
নতুন বছরের প্রত্যেক মানুষের চাওয়া পাওয়ার ভিন্নতায় আমার চাওয়া সামগ্রিকতাকে ঘিরে। দুর্নীতির শিকড়কে তুলে দেওয়ার প্রচেষ্টায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি যেন আমিকে ঘিরে আমরা পুরো বাংলাদেশ। নতুন বছরে সকলের তরে সকলে আমরা ভালো কিছু প্রত্যাশা করি। বর্তমান বিশ্বের সকল দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি নিজেকে দক্ষ করে তোলাই হলো মূল উদ্যম।
লেখক: উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গা, শিক্ষার্থী, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।