নতুন শিক্ষাক্রমকে যারা ভালো বলছেন তাদের সন্তানরাই এখানে পড়বে না
দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম কিভাবে সৎ দেশপ্রেমিক হিসাবে গড়ে উঠবে? দেশে একটা নির্বাচন হচ্ছে যা দেখে মনে হচ্ছে নির্বাচনের নামে একটা নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে। এই নাটকে সকল চরিত্র ও সংলাপ মিথ্যা আর ছলাকলায় পরিপূর্ণ। এই একটা নাটক মঞ্চস্থ করতে গিয়ে কত মিথ্যা, কত ছলচাতুরি, কত ধান্দাবাজি, কত মৃত্যু, কত ভেল্কিবাজি তার কোন সীমা পরিসীমা নাই। নির্বাচন করার জন্য যেমন এইসব চলছে আবার নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্যও ছলচাতুরি ধান্দাবাজি চলছে। এই নির্বাচনের পর দেশে ধান্দাবাজি আর অসততা একটা এপিডেমিকে রূপ নিবে।
দেশে একটা শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে যার মাধ্যমেও ছাত্র শিক্ষক সকলকেই মিথ্যুক বানানো হচ্ছে। জুমে সংযুক্ত হয়ে মন্ত্রণালয় থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বলা হচ্ছে বা হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে কেউ যেন অফলাইন কিংবা অনলাইন অথবা কোন লাইনেই যেন সমালোচনা না করে। স্কুল তাদের শিক্ষার্থীদের বলছে তারা যেন নতুন শিক্ষাক্রমের প্রশংসা করে। শিক্ষার্থীদের দিয়ে মিথ্যা বলালে কিভাবে তারা সৎ নাগরিক হবে? মুখে বলা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের দরদ বাইয়া বাইয়া চুইয়া চুইয়া পড়তেছে। এই দিকে শিক্ষায় বরাদ্দ কম। শিক্ষকদের বেতন কম বলে শিক্ষকরা ছাত্রদের সাথে করে ছলচাতুরি। বলা হচ্ছে এই শিক্ষাক্রম খুব ভালো। কিন্তু এইটা এত ভালো যে যারা বলছে ভালো তাদের সন্তানরা এখানে পড়বে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেখে তাদের শিক্ষকরা দলবাজি আর চামচামি করছে। দেখছে টেলিভিশনে গিয়ে মিথ্যা কথা বলছে। শিক্ষকদের যদি একটা পদ পাওয়ার জন্য এত মিথ্যা এত ছলচাতুরি করতে দেখে শিক্ষার্থীরা কিভাবে সৎ ভালো মানুষ হবে? দেশেতো উদাহরণীয় মানুষ নাই বললেই চলে। উদাহরণীয় মানুষের দুর্ভিক্ষের দেশে দুয়েকজন যাওবা আছে তারা পদে পদে নিগৃহীত হচ্ছে।
লেখক: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
(ফেসবুক থেকে নেওয়া)