২৮ জুন ২০২৩, ২০:৫৬

কৃত্রিমতা চলে এলেও ঈদ এখনো প্রশান্তির

  © টিডিসি ছবি

একুশ শতকের যান্ত্রিক, ব্যস্ততম সময়ে অনাবিল আনন্দের সার্বজনীন উৎসব ঈদ। বছরে দুটো ঈদ বরাবরই আনন্দের। ছাত্র, পেশাজীবী নানান শ্রেণী-পেশার মানুষের মহামিলন মেলায় পরিণত শহরতলি থেকে শুরু করে গ্রামের প্রতিটি মোড়। যান্ত্রিকতার এসময়ের চেয়ে শৈশবকালের ঈদ বেশি প্রাণবন্ত ছিল। সেসময় মহল্লা জুড়ে  কুরবানির পশু দেখে বেড়াতাম।একপ্রকার জেদ করেই মনে আতংক নিয়ে কুবানির হাটে যেতাম। হাটের সবচেয়ে বড় গরুটাকে দেখার আকাংখা পূরণ করে বাসায় ফিরতাম।

কুরবানির ঈদে বিশেষ করে নামাজের আগেই প্রত্যেক কুরবানির পশুকে পুকুরে গোসল করায় প্রথানুযায়ী।সে দৃশ্য দেখতে এখনও যাই। এরপর খোলা ময়দানে সকল পশুকে জবাইয়ের দৃশ্য দেখতাম এবং এখনও তা একই মানবিক অনুভূতি নিয়ে দেখি তাতে শামিলও হই।

এলাকার সবাই মিলে একসাথে গোশত কেটে ভাগাভাগি করে মাংস নিয়েই বাসায় ফিরে হরেক রকমের খাবার খেয়ে বিকেলে সেই মাংস গরীব দুঃখী, সমাজের মানুষের কাছে বিতরণ শৈশবকালে করতাম যা এখনও ঈদ আসলেই স্মরণ করিয়ে দেয়।

বিশেষ করে ঈদ ছাড়া স্কুলের বন্ধুদের সাথে একত্রে দেখা হয়না। ঈদের দিন কাজ শেষ করে একটি নির্দিষ্ট সময় ও স্থান নির্ধারণ করে আড্ডাবাজিতে সেই শৈশবকালে ফিরিয়ে যাওয়ার বিষয়টা ঈদের আনন্দের মাত্রা আরও দ্বিগুণ করে দেয়।

মানুষের গাদাগাদি, আতশবাজি ফুঁটানো, সালামি আদায় করে নেয়া, পিঠা পায়েশ খেয়ে বেড়ানো এসব ছিল সেসময়কার ঈদের আনন্দ। এখনকার ঈদ কৃত্রিমতায় চলে এলেও একটা আলাদা উৎসব বিরাজ করে যা মনকে একটা আলাদা প্রশান্তি এনে দেয়। সকল দ্বিধা-বিভেদ ভুলে ইদ সবার জীবনে প্রশান্তি বয়ে আনুক। 

লেখক: সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা