খুব ইচ্ছা করলো কুরবান আলীকে শেষ বারের মতো দেখতে
ঈদ হলো আমাদের আবেগ, অনুভূতি ও ভালোবাসার এক উৎসব। সেই ছোটবেলা থেকেই ঈদ আসলে আনন্দে সবাই মেতে উঠতাম। চোখে মুখে ঈদের আমেজ ফুটে উঠতো। বড় হয়ে যাওয়ার পর ও সেই আনন্দ সেই একটুও কমেনি। ছেলেমানুষিটা হয়তো কমে গিয়েছে। কিন্তু সেই অনুভূতি আগের মতোই রয়ে গেছে।
ঈদের কিছু কিছু স্মৃতি মনের মধ্যে দাগ কেটে থেকে যায়। মনে হলেই চোখে পানি চলে আসে। ছোটবেলায় ঈদের দিন সকালে নতুন জামা পরে বড়দের সাথে বেড়াতে যেতাম খালামনিদের বাসায়। কিন্তু সেবারের ঈদের আনন্দটা একটু অন্যভাবেই পেয়েছিলাম।
২০১৫ সাল। ক্লাস নাইনে পড়ি তখন। কুরবানির ঈদ।ঈদের নামাযের পর যখন কুরবানির সময় হলো তখন আমি যাই কুরবানি দেখতে অনেক আগ্রহ উদ্দীপনার সাথে। এর আগে কখনো আমি কুরবানি দেখিনি। আম্মু কুরবানির গরুটির নাম দিয়েছিলো কুরবান আলী। কেনো জানিনা খুব ইচ্ছা করলো কুরবান আলীকে শেষ বারের মতো দেখতে। তাই মৃদু রোদের মাঝে ছাতা মাথায় দিয়ে দেখতে যাই।
সত্যি.. চোখের সামনে কুরবানি হতে দেখাটা ছিলো আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা। তারপর থেকে এখনো কুরবানির ঈদে আমি কুরবানি দেখতে যাই। ভালো লাগে। একটু হলেও মনে হয় আমি বড় হয়ে গিয়েছি। তবে ঈদের আনন্দ রয়ে গিয়েছে সেই ছোটবেলার জায়গাতেই। তাই ঈদ আসলেই খুশিতে মনটা নেচে ওঠে।
লেখক: ডিভিশন ইয়ুথ লিডার, ওয়ান ওয়ে স্কুল এবং শিক্ষার্থী, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়