বেঁচে থাকলে আজ ভাইয়াও শেষ পরীক্ষা দিতো
১৭-ব্যাচের আজকে (৩ মে) শেষ পরীক্ষা হলো। ক্লাসও অনেক আগেই শেষ হয়েছে। ভাইয়াও এই ১৭-ব্যাচের ছিলো। বেঁচে থাকলে আজ ভাইয়াও শেষ পরীক্ষা দিতো। কিন্তু ভাইয়া ৩ বছর ৭ মাস আগেই নিজের পাট চুকিয়ে বের হয়ে গেছে এখান থেকে।
ভাইয়ার সব বন্ধুদের বের হতে দেখছি, কত প্রোগ্রাম হলো গত কয়েকমাসে ১৭-ব্যাচের বিদায়ের জন্য, এই পুরো সময়ে যে ভাইয়ার শূন্যতা কতটা অনুভব করেছি সেটা হয়তো বোঝানো সম্ভব হবে না।
আজকের এই র্যাগ-রাজনীতিবিহীন বুয়েট ক্যাম্পাসের জন্য ১৭-ব্যাচকে বুয়েটের সবাই হয়তো অনেক দিন মনে রাখবে। কিন্তু আমার কিংবা আমাদের পরিবারের কাছে তাদের অবস্থান সবসময়ই অন্যরকম থাকবে।
দেরিতে হলেও তারা যদি ২০১৯ এর সেই রাতে সবাই এক হয়ে প্রতিবাদ না করতো তাহলে হয়তো ভাইয়াকে মেরে ফেলার ঘটনা আর ১০টা ঘটনার মতোই চাপা পড়ে যেত। হয়তো আমরা ভাইয়ার লাশও কখনো দেখতে পেতাম না। আর সেই খুনিরা এই ক্যাম্পাসে দাপিয়ে বেড়াতো।
আমি যখন ভর্তি হই তখনো সবচেয়ে বড় সাহস ছিলো এ ১৭ ব্যাচের ভাইয়ারা। অন্তত তারা থাকা অবস্থায় যে কোনো সমস্যা হবে না এ বিশ্বাসটা ছিল। আর গত ৬ মাসে ভাইয়াদের কাছ থেকে যে পরিমাণ ভালোবাসা পেয়েছি সেটা সামনের দিনগুলোতে সত্যিই অনেক মিস করবো।
আপনারা যেখানে থাকবেন, আল্লাহ আপনাদের ভালো রাখুক এটাই চাওয়া।
লেখক: বুয়েট শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের পিটুনিতে নিহত আবরার ফাহাদের ছোট ভাই।