বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অণুজীবের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল জনসংখ্যাবহুল ঘনবসতিপূর্ণ দেশ প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা ক্রমবর্ধমান।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন ২০২২ সালের উপাত্ত অনুযায়ী এ জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.২২%। জনসংখ্যার সাথে সমানুপাতিক হারে বাড়ে মানবসৃষ্ট বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ যার ফলে সব চেয়ে বেশি উদ্বেগ এর বিষয় হল সেই সব বর্জ্যে ব্যবস্থাপনা এবং তার প্রয়োজনীয়তা। আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবহার করার পর অব্যবহারযোগ্য যে আবর্জনা তৈরি হয় সেগুলিকে বর্জ্য পদার্থ বলে। বর্জ্য সাধারণত কঠিন, তরল, গ্যাসীয়, বিষাক্ত ও বিষহীন- এই পাঁচ প্রকারের হয়ে থাকে। জীববৈচিত্র্য রক্ষা, সমস্ত জীবকুলকে রোগের হাত থেকে রক্ষা, পরিবেশ দূষণ ও অবনমন রোধের উদ্দেশ্যে আবর্জনা সংগ্রহ, পরিবহন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পুনব্যবহার এবং নিষ্কাশনের সমন্বিত প্রক্রিয়াকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলা হয়।সাধারণত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলতে বোঝায় বর্জ্য বস্তুর উৎপাদন কমানো। সমন্বিত এবং সম্পূর্ণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তিনটি আর নীতি প্রয়োগ করা হয়। তিনটি আর নীতি হলো- রি-ডিউস (কমানো), রি-ইউজ (পুনব্যবহার) এবং রিসাইকেল (পুনশ্চক্রীকরণ)।
বর্তমানে (২০১২) বাংলাদেশে বর্জ্য সৃষ্টির পরিমাণ প্রতি বছরে প্রায় ২২.৪ মিলিয়ন টন অথবা মাথাপিছু ১৫০ কিলোগ্রাম। বাংলাদেশে বর্জ্য উৎপাদনের হার বেড়েই চলছে, বাংলাদেশে এককভাবে দিনে তিন হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়,এভাবে ২০২৫ সালে দৈনিক প্রায় ৪৭০৬৪ টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে। তখন বর্জ্য উৎপাদনের হার বেড়ে বছরে মাথাপিছু ২২০ কিলোগ্রাম হবে। বিশাল জনসংখ্যার অধিকাংশেরই সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণের সুবিধা নেই, ফলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিশৃঙ্খলা বাড়তে পারে।
বাংলাদেশে বড় শহর যেমন ঢাকায় বর্জ্য সংগ্রহ করার হার মাত্র ৩৭%। যেসব বর্জ্য সংগ্রহ করা হয় না, সেগুলো অশোধিত অবস্থায় পরিবেশে মুক্ত হয় এবং এতে স্থানীয়ভাবে মারাত্মক পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিপর্যয় ঘটতে পারে। এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডোর) এর এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, করোনার কারণে সাধারণ ছুটি ঘোষণার একমাস পর উৎপাদিত হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য। এর মধ্যে শুধু ঢাকায় প্রায় তিন হাজার ৭৬ টন যেখানে সার্জিক্যাল মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস এবং স্যানিটাইজারের বোতল এই বর্জ্যের নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। এছাড়া এখানে ত্রাণ বিতরণে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের ব্যাগও ভূমিকা রেখেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে পলিথিন ব্যাগের বর্জ্য পাঁচ হাজার ৭৯৬ টন, পলিথিন হ্যান্ডগ্লাভস তিন হাজার ৩৯ টন, সার্জিক্যাল হ্যান্ডগ্লাভস দুই হাজার ৮৩৮ টন, সার্জিক্যাল মাস্ক এক হাজার ৫৯২ টন এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল থেকে ৯০০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন করেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ এক হাজার ৩১৪ টন সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভসের বর্জ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া রাজধানীতে পলিথিন হ্যান্ডগ্লাভস ৬০২ টন, সার্জিক্যাল মাস্ক ৪৪৭ টন, পলিথিন ব্যাগ ৪৪৩ ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল থেকে ২৭০ টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়েছে।
আমরা কিভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে পারি তা দেখার বিষয়,এই বিপুল পরিমাণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে গেলে আমাদের যে দিক গুলো চিন্তা করতে হবে তা হল বর্জ্য কিভাবে ব্যবস্থাপনা করবো তার অর্থনৈতিক খরচ, নিরাপদ ব্যবহার ও হ্যান্ডলিং সঠিক যন্ত্রপাতি ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা উপকরণ ব্যবহার করা। বর্জ্য পদার্থটি কি কি উপাদান দিয়ে তৈরি, এবং তার থেকে কি ধরনের বিপত্তি ঘটতে পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখা। আমরা মনে করি অণুজীব শুধু মাত্র মানুষের ক্ষতি করে থাকে কিন্তু এক একটি অণুজীব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রতিশ্রুতিশীল ভূমিকা পালন করে থাকে।অণুজীবের অনন্য প্রকৃতি পরিবেশের পুনরুত্থানের জন্য কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। অণুজীব দূষিত সাইটগুলির জৈব-নিরাময় এবং বায়োডিগ্রেডেশন উদ্দেশ্যে ম্যাজিক বুলেট হিসাবে কাজ করতে পারে। এখন একটি দিন অণুজীব কার্যকরভাবে ন্যানো প্রযুক্তির সাথে একত্রে ব্যবহার করা হয়, যাকে রেডিও সক্রিয় বর্জ্য পরিষ্কার করতে ন্যানো-বায়োরিমিডিয়েশন বলা হয়। অধিকন্তু, চরম দূষিত অবস্থায় দূষণ মোকাবেলায় জেনেটিকালি মডিফাইড অর্গানিজমের (জিএমও) ব্যবহার অণুজীবকে মানব কল্যাণে আশীর্বাদ করে তোলে।
আরও পড়ুন: আমাদের দেশে কারিকুলাম নেই, আছে সিলেবাস
বায়বীয় জৈবিক চিকিত্সা পদ্ধতিতে বসবাসকারী অণুজীবের মধ্যে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, শৈবাল, প্রোটোজোয়া, রোটিফার এবং অন্যান্য উচ্চতর প্রাণী যেমন কম্পোস্টিং, অ্যাক্টিভেটেড স্লাজ, ট্রিকলিং ফিল্টার এবং অক্সিডেশন পুকুর। প্রদত্ত শিল্প বর্জ্য নিষ্পত্তি ব্যবস্থায় যে কোনো বা সব ধরনের অণুজীবের বৃদ্ধি নির্ভর করবে শিল্প বর্জ্যের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য, নির্দিষ্ট বর্জ্য ব্যবস্থার পরিবেশগত সীমাবদ্ধতা এবং অণুজীবের জৈব রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যের ওপর। সমস্ত অণুজীব যা একটি প্রদত্ত শিল্প বর্জ্য নিষ্পত্তি ব্যবস্থায় বৃদ্ধি পায় তার সমস্ত বৈশিষ্ট্যের জন্য অবদান রাখে।যদি বর্জ্য শোধন ব্যবস্থাকে সর্বাধিক দক্ষতার জন্য সঠিকভাবে ডিজাইন এবং পরিচালনা করতে হয়।অণুজীব সবচেয়ে বেশি কাজ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়। অণুজীবের মধ্যে রয়েছে বিপাকীয় বৈশিষ্ট্য এবং ফ্লোকুলেট করার ক্ষমতা। জৈবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে স্থিতিশীল রাখে অণুজীবের ফ্লোকুলেশন।এই ফ্লোকুলেশন সৃষ্ট হয় কিছু জুগ্লিয়া রামিগেরা নামক অণুজীব দ্বারা। অটোঅ্যাগ্লুটিনেশন বা ফ্লোকুলেশন, তখনই ঘটে যখন দুটি অণুজীবের মধ্যে যখন ভ্যান ডার ওয়াল বাহিনীকে কাটিয়ে উঠতে গতিশীলতার শক্তির অভাব করে তখন ফ্লক তৈরি হয়। ফ্লক যত বেশি পুরানো হয়, তত বেশি পলিস্যাকারাইড তৈরি হয় এবং কম সক্রিয় অণুজীব এতে প্রবেশ করে।
অণুজীব জৈব বর্জ্য স্থিতিশীল এর কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।অণুজীব শিল্প বর্জ্যের মধ্যে পাওয়া প্রায় প্রতিটি ধরনের জৈব যৌগকে বিপাক করতে পারে। একটি অণুজীব অন্য একটি অণুজীবের উপর প্রভাব বিস্তার করে যখন অস্বাভাবিক পরিবেশগত অবস্থা থাকে। শিল্প বর্জ্যে পাওয়া বেশিরভাগ অণুজীবের ফিলামেন্টস প্রকৃতি তাদের অবাঞ্ছিত করে তোলে কারণ তারা একটি শক্ত কমপ্যাক্ট ফ্লক গঠন করে না এবং সহজেই বসতি স্থাপন করে। এই পরবর্তী কারণের জন্য, ফিলামেন্টাস ছত্রাকের প্রাধান্যের চেয়ে পরিবেশগত অবস্থাকে ব্যাকটেরিয়ার প্রাধান্যের জন্য আরও অনুকূল করার জন্য যথেষ্ট প্রচেষ্টা ব্যয় করা হয়। কম অক্সিজেন টেনশনে, কম পিএইচে এবং কম নাইট্রোজেনে ব্যাকটেরিয়ায় ফিলামেন্টাস ছত্রাক প্রাধান্য পায়। কম অক্সিজেন সরবরাহের ফলে বা উচ্চ জৈব লোডও অক্সিজেন চাপের কারনে চাহিদা সরবরাহের চেয়ে বেশি হয়। অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাসের অধীনে, বিপাক কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জলে অগ্রসর হয় না তবে জৈব অ্যালকোহল, অ্যালডিহাইড এবং অ্যাসিডের গঠনের সাথে থেমে যায়। যদি সিস্টেমে পর্যাপ্ত বাফারের অভাব থাকে, জৈব অ্যাসিডগুলি থকে হ্রাস করে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে পাওয়া যায় এমন কিছু অণুজীবে রয়েছে যেমন ইউগলেনা এসপি, ক্ল্যামাইডোমোনাস এসপিএবং অসিলেটরিয়া এসপি শেত্তলাগুলি জৈবিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে বিশুদ্ধ করার জন্য একটি শক্তিশালী জীব কারণ তারা ভারী ধাতু, কীটনাশক, জৈব এবং অজৈব পল-লুট্যান্ট জমা করতে সক্ষম। কঠিন বর্জ্যের এই দলগুলি অণুজীব দ্বারা সহজেই কম সময়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও, আপত্তিকর গন্ধ দেয় এবং নন-বায়োডিগ্রেডেবল কঠিন বর্জ্যের চেয়ে পরিবেশের জন্য উপদ্রব তৈরি করে।অন্যদিকে,অ-বায়োডিগ্রেডেবল কঠিন বর্জ্য অণুজীবের দ্বারা ক্ষয়যোগ্য নয়। এটি বোঝায় যে চিকিত্সার অন্যান্য উপায় যেমন জ্বালিয়ে দেওয়া, ল্যান্ডফিল এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য সেগুলি নিষ্পত্তি করার উপায় হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। কঠিন বর্জ্যের এই মধ্যে ধাতুবিদ্যা এবং গন্ধযুক্ত শিল্পের কঠিন বর্জ্য যেমন পরিত্যক্ত যানবাহন, স্ক্র্যাপ ধাতু, লোহা, দস্তা, অ্যালুমিনিয়ামের শীট, নির্মাণ শিল্পের কঠিন বর্জ্য যেমন কংক্রিট এবং বর্জ্য নির্মাণ সামগ্রী, প্লাস্টিক শিল্পের কঠিন বর্জ্য যেমন প্লাস্টিকের বালতি, ক্যাবল ইনসুলেটর, টায়ার, সেলোফেন ব্যাগ, প্লাস্টিকের বোতল।
বর্জ্যকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য বিভিন্ন পণ্যে রূপান্তর করার পাশাপাশি তা থেকে কৃষিজমির জৈব সার, উদ্ভিদজাত ও প্রাণীজ বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদন করতে পারি৷ প্রযুক্তির মাধ্যমে থার্মাল-কেমিক্যাল রূপান্তর প্রক্রিয়ায় অরগ্যানিক বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও উত্তাপ সৃষ্টি করা যায়৷ যে কোনো কঠিন বা তরল কাঁচামাল ব্যবহার করে আমরা ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বা বায়োগ্যাস প্লান্ট থেকে পাওয়া বর্জ্য কাজে লাগাতে পারি৷ গরুর গোবর ও শুয়রের মলও ব্যবহার করা হয়৷ তাতে খড়কুটার মতো কৃষিজাত বর্জ্য মেশানো থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না।প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদন করা যায়।বর্জ্য প্লাস্টিক সংগ্রহ করে বাছাই, ধোয়া ও শুকানোর পর চূর্ণ করা হয়। সেগুলোকে উচ্চ তাপে গলানো হয়। একটি নির্দিষ্ট ঘনত্বে ছেকে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে তৈরি করা হয় জ্বালানি। এই জ্বালানিই পরিশোধন করে বিমানের জ্বালানি ও এলপিজি করা যায় ,আবার উক্ত জ্বালানি থেকে দহন ইঞ্জিন ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়। শিল্পক্ষেত্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এবং পতিত তেলের ভাঙনে, গাঁজন প্রক্রিয়ায় পনির ও দই উৎপাদনে এবং খননকার্যে সোনা, প্যালেডিয়াম, তামা ও অন্যান্য ধাতু পুনরুদ্ধারে ব্যাকটেরিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া জৈবপ্রযুক্তিতে, অ্যান্টিবায়োটিক ও অন্যান্য যৌগ তৈরিতেও ব্যাকটেরিয়া প্রয়োজনীয়।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি পরিবর্তন করে প্রচলিত নিয়ম থেকে বের হয়ে আসতে হবে। যেমন আমাদের শহর গুলুতে বর্জ্য স্ট্রীম পরিচালনার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, শারীরিক, রাসায়নিক এবং জৈবিক পদ্ধতি। আমাদের দেশে সৃষ্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত যেসকল বিধিমালা ও আদেশ রয়েছে সেগুলো হলো- (১) চিকিৎসা-বর্জ্য (ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণ) বিধিমালা, ২০০৮, (২) বিপদজনক বর্জ্য ও জাহাজ ভাঙ্গার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১১, (৩) ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক পণ্য হইতে সৃষ্ট বর্জ্য (ই-বর্জ্য) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৭ (খসড়া) এগুলোর ইমপ্লিমেন্টেশন নিশ্চিত করতে পারলে আমরা বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করতে পারি। সকল জৈবিক কৌশলগুলির অনুসন্ধান এবং বিকাশের প্রয়োজন, যার মধ্যে অণুজীবের ব্যবহার রয়েছে যার থেকে পরিবেশ-বান্ধব ফলাফল তৈরি করা যাবে। বর্তমানে যশোর পৌরসভায় সিটি রিজন ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় পরিবেশবান্ধব বর্জ্য শোধনাগার গড়ে তোলা হয়েছে।এই বর্জ্য থেকে জৈব সার, বায়োগ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে।এইভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি শহরে পরিবেশবান্ধব বর্জ্য শোধনাগার চালু করতে হবে। বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে বর্জ্য সংরক্ষণ, নিরপেক্ষায়ণ, নিষ্ক্রীয়করণ অথবা প্রক্রিয়াজাতকরণ করে ব্যবহার উপযোগী বিভিন্ন নতুন জিনিস বানানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। এতে পরিবেশের সাথে সাথে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে দেশ ও দেশের মানুষ।
লেখক: এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়