০৩ অক্টোবর ২০২২, ১৩:০৭

উন্নয়নে নারী শিক্ষা

সেলিনা হোসেন  © সংগৃহীত

যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত,  সে জাতি তত বেশি উন্নত- একথা আমরা সবাই জানি। এছাড়া,  উন্নয়নের পূর্ব শর্ত হচ্ছে শিক্ষা। জাতির কল্যাণ ও অগ্রগতিতে নারী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। জাতির উন্নয়নের ক্ষেত্রে নারী শিক্ষা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা নেপোলিয়নের উক্তির মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায়- ' আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি  শিক্ষিত জাতি উপহার দেব।' বিশ্ব নেপোলিয়নের এই উক্তির  মর্মার্থ উপলব্ধি করতে পেরেছে বলেই বর্তমানে নারী শিক্ষার হার বেড়েছে। কারণ, একজন মেয়েকে শিক্ষা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে গোটা পরিবারকে শিক্ষিত করে তোলা। বৃহদার্থে সমাজ ও দেশকে উন্নত করা।

জাতির কল্যাণ অগ্রগতিতে নারী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাছাড়া , নারীরা পেছনে পড়ে থাকলে কোনো দেশই উন্নতি করতে পারবে না। নারী শিক্ষা ও উন্নয়ন পরস্পর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত। কেননা, প্রকৃত উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে হলে সমাজের সার্বিক কার্যক্রমে দেশের নারী জনশক্তির অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। পূর্বে নারী শিক্ষা গ্রহণকে অলাভজনকভাবে দেখা হতো। মেয়েদের লেখাপড়া করাতে খরচ হবে, বিয়ে দেওয়ারও খরচ আছে - এসবের জন্য পূর্বে কন্যা শিশুর শিক্ষার প্রতি তেমন কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু , কবি কাজী নজরুলের মত আমারও আজ বলতে ইচ্ছে করে- ''সে যুগ হয়েছে বাসি, যে যুগে পুরুষ দাস ছিল না ক', নারীরা আছিল দাসী।''নারী মুক্তি ও নারীর প্রতি সকল ধরনের বৈষম্য অবসান করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ  জাতিসংঘ  CEDAW সনদে স্বাক্ষর  করেছে।  

জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসমূহ (এসডিজি) প্রণয়নে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ সমূহের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে মোট ১৭ টি অফিসের মধ্যে ১১ টি অভীষ্টের ধারণা বাংলাদেশই দিয়েছে। এসডিজির ৫ নং অভীষ্ট হলো  'জেন্ডার সমতা অর্জন' এবং সকল নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন' যা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার নিরলস কাজ  করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে  নারী শিক্ষার মূল ভিত্তি শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। কারণ- বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায়  স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে - 'আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা - যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করা হইবে।'

সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদে বলা আছে- 'রাষ্ট্র (ক) একই পদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য; (খ) সমাজের প্রয়োজনের সহিত শিক্ষাকে সঙ্গতিপূর্ণ করিবার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও স্বদিচ্ছাপ্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য; (গ) আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করিবার জন্য; কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।' এছাড়াও সংবিধানের ১৯ নং অনুচ্ছেদে বলা আছে- 'জাতীয় জীবনের সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের সমতা রাষ্ট্র নিশ্চিত করবেন।'

জাতির পিতার পথ অনুসরণ করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী শিক্ষা, নারী উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বল্প, মধ্য ও  দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণসহ  সময়োপযোগী নানা ধরনের নীতি ও  কৌশল গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর গৃহীত ১০ টি বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করেছেন 'নারীর ক্ষমতায়ন'। তাই, দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও আজ অংশগ্রহণ করতে পারছে। ফলে দ্রুত সরকারের রূপকল্প- ২০৪১ বাস্তবায়িত হবে যার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের 'সোনার বাংলা' গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

সংবিধানের আলোকে নারী  শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সরকার নারী শিক্ষার উন্নয়নের জন্য প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চস্তর পর্যন্ত মেয়েদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছে। কারণ, শিক্ষা নারীর ক্ষমতায়নের চাবিকাঠি। শিক্ষা কন্যা শিশুর সার্বিক উন্নয়ন, বাল্যবিবাহ রোধ এবং শিশু মৃত্যুর হার কমানোর নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। শিশুর শিক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য সরকার নারীবান্ধব কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এর ফলে, প্রাথমিক, মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রী অনুপ্রবেশ এবং লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে।

বাল্যবিবাহ নারীর ক্ষমতায়নের প্রধান অন্তরায়। সরকারের প্রণীত- শিশুআইন, শিশুশ্রম নিরসন আইন, জাতীয় শিশুনীতি - ২০১১, শিক্ষানীতি - ২০১০, স্বাস্থ্যনীতি, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন - ২০১৭,  যৌতুক নিরোধ আইন - ২০১৮, ইত্যাদি আইন নারী শিক্ষার প্রসারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এছাড়াও,  সরকার বিনামূল্যে বই প্রদান, উপবৃত্তি, মিড - ডে - মিল, সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণসহ প্রভৃতি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩ - ২০২৫ প্রণয়ন করেছে।

সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ১০৯ হটলাইন সেবাও চালু করেছে। এর ফলে নারীরা শিক্ষা ও উন্নয়নের পথে  দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর ক্ষমতায়ন অংশীদারিত্ব বেড়েছে,  দারিদ্র্যমোচন হয়েছে,  সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। 

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মজুরি, নকর্মে অংশগ্রহণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নেতৃত্ব, শীর্ষ ব্যবস্থাপনা, প্রভৃতি ক্ষেত্রে প্রত্যেক সমাজে কোনো না কোনো ভাবে নারী- পুরুষ বৈষম্য বিদ্যমান। এ বৈষম্য নিরসনে  করে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে জেন্ডার বাজেট প্রতিবেদন প্রবর্তন করা হয়েছে। ২০২১ - ২২ অর্থবছরের নারী উন্নয়নে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা যা ২০২২- ২৩ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকায়, যা মোট বাজেটের ৩৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং জিডিপির ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ। এছাড়া,  কারিগরি, বৃত্তিমূলক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সমন্বয়ে শিক্ষিত,  প্রশিক্ষিত , দক্ষ ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। কারিগরি শিক্ষায় বর্তমানে ১০০ ভাগ ছাত্রীদের উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে,  ছাত্রদের ক্ষেত্রে এ হার বর্তমানে ৭০ শতাংশ। ডিপ্লোমা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং লেভেলে ভর্তির ক্ষেত্রে নারীদের ২০ শতাংশ কোটা দেওয়া হয়েছে যা পূর্বে ছিল ১০ শতাংশ। মানসম্মত ও আধুনিক প্রযুক্তি সহায়ক সমৃদ্ধ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন( ইতোমধ্যে দেশে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে মহিলা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট স্থাপন কার্যক্রম চলমান। 

স্নাতক পর্যায়ে মেয়েদের উপবৃত্তি চালু করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে বিগত তিন অর্থবছরে এ পর্যন্ত ৫২ হাজার ২২২ জন স্নাতক(পাস) ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীর মাঝে ৩৪৫,৬৯,৬১,৯৬০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রী ৭৫ শতাংশ। এর ফলে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতা অর্জন সম্ভব হচ্ছে এবং এ পর্যায়ে ঝরে পড়ার হার অনেকাংশে হ্রাস পাবে। নারীদের উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহিত করার জন্য চট্টগ্রামে  Asian University for Women শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে,  সেখানে বিভিন্ন দেশের মেয়েরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে।         

আরও পড়ুন:  বিসিএসে পরীক্ষকের অবহেলার দায় পরীক্ষার্থীরা কেন নেবে?

সরকার বিদেশ গমনেচ্ছু  ডাক্তার, নার্স ও বেকারদের জন্য আরবি, ইংরেজি,  কোরিয়ান ও মালয় ভাষা শিক্ষা প্রদানের জন্য দেশের ৬ টি  বিভাগে ১১ টি আধুনিক ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করেছে। এর ফলে নারীদের কর্মসংস্থান দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী- '১৯৯১সালে জনশক্তি রপ্তানিতে নারী কর্মী যুক্ত করা হয়৷ ১৯৯১ সালে মোট ১২টি দেশে ২ হাজার ১৮৯ জন কর্মী পাঠানো হয়। ২০২০ সালে করোনা  মহামারির মধ্যেও ২১ হাজার ৯৩৪ জন নারী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ নিয়ে গেছেন।  যেখানে পুরুষ কর্মী এর অর্ধেকও  যেতে পারেন নি। ২০২১ সালে কাজ নিয়ে বিদেশ গেছেন ৮০ হাজার ১৪৩ জন নারী। '(তথ্যসূত্র- জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ওয়েবসাইট) গত তিন বছরে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২২ লাখ ৪০ হাজার নারীকে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করা হয়েছে। 

৮ লাখ কর্মজীবী  নারীকে ল্যাকটেটিং  ভাতা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী ৩১ লাখ ২০ হাজার  নারীকে ভিজিডি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ১ হাজার ৬৫০ জন নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান  করা হয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীদের অধিক হারে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের মাধ্যমে কর্মজীবী নারীদের সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ ও অস্থায়ী আবাসন সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের প্রয়োজনীয় সকল সেবা এক স্থান থেকে প্রদানের উদ্দেশ্যে 'ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার' (ওসিসি) স্থাপন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা, পুলিশ ও আইনি সহায়তা, মানসিক ও সামাজিক কাউন্সিলিং, আশ্রয় সেবা এবং ডিএনএ পরীক্ষার সুবিধা ওসিসি হতে প্রদান করা হয়। 

বাংলাদেশে তিন দশকেরও বেশি সময় যাবৎ নারী নেতৃত্ব দেশ পরিচালনা করছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার নারী। নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বের রোল মডেল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। নারীর রাজনৈতিক,  সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি সারা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে। নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে থেকে তো বটেই উন্নত অনেক দেশ থেকেও এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বে বাংলাদেশের নারী সমাজ আজ ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার যোগ্য জনশক্তি হিসেবে কাজ করছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে নারীদের অবাধ  প্রবেশের সুযোগ হয়েছে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে যুক্ত হচ্ছে এদেশের নারীরা। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের নারী উন্নয়নের প্রশংসা করছে। ফলে, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি স্বরূপ জাতিসংঘের এমডিজি অ্যাওয়ার্ড,  'প্ল্যানেট ৫০ : ৫০ চ্যাম্পিয়ন',  'পিস ট্রি ' 'এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড ' 'সাউথ-সাউথ'  'গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড'  'চ্যাম্পিয়ন অভ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ' 'এসডিজি প্রোগ্রেস  অ্যাওয়ার্ড ২০২১' এবং তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত 'উইটসা ২০২১'  অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ। 

আজকে বাংলাদেশে যে শিশু জন্ম গ্রহণ করবে ২০৪১ সালে তার বয়স হবে ১৯ বছর। এই শিশুটিই হবে আগামীর বাংলাদেশের মূল চালিকাশক্তি। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা শুধু সরকারের লক্ষ্য নয়,বরং উন্নত দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে টিকে থাকা, যার জন্য প্রয়োজন হবে শারীরিকভাবে সক্ষম ও মানসিকভাবে বুদ্ধিদীপ্ত মানবসম্পদ। সেখানে থাকবেনা কোনো বৈষম্য, নারীর অধিকার নিশ্চিত হবে সকল ক্ষেত্রে, সামাজিক সুরক্ষা পাবে প্রতিটি নাগরিক, দেশ হবে দারিদ্র্য শূন্য, রাষ্ট্র হবে কল্যাণকর এটাই প্রত্যাশা।