১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন ফোরামের সভাপতি জাভেদ, সম্পাদক অভি
দ্রুত সময়ের মধ্যে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধননের পরীক্ষা আয়োজনের জন্য কমিটি গঠন করেছে এই নিবন্ধনের আবেদনকৃতরা। কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাভেদ মোশাররফ আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন অভি খান।
কমিটিতে এক নম্বর উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন মো. জসিম উদ্দিন। দ্বিতীয় উপদেষ্টা হিসেবে আছেন মো. রবিউল সানি। ৩৪ জনের এই আংশিক কমিটিতে সহ-সভাপতি করা হয়েছে মেহেদী হাসান জয়কে। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে আছেন মোশাররফ হোসেন রুবেল। সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে শরীফ খান ও আবুল কালামকে। অর্থ-সম্পাদক হয়েছেন মাহবুবুল আলম। প্রচার সম্পাদক হিসেবে আছেন ইয়াছিন আরাফাত। সহ-প্রচার সম্পাদক করা হয়েছে শামীম রেজা, সাদ্দাম হোসেন, মো. রিপন আলী, রাসেল শরিফ, রবিউল ইসলাম, রেদুয়ান শরিফ এবং কাজী সজিবকে।
এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন, মুবাশ্বির হোসাইন, হাসান মেহেদী, ইশতিয়াক হোসেন, এম.এ মামুন, শফিকুল ইসলাম, এম.আর খন্দকার, জিয়াউর রহমান, মো: আবুল কালাম, সাকিব শিমুল, সঞ্জয় কুমার, সাব্বির আহমেদ, খালেদ ইমরোজ, নুরুল ইসলাম, আবুবকর এবং মোফাজ্জেল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন ফোরামের সভাপতি জাভেদ মোশাররফ বলেন, ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রায় তিন বছর হতে চললেও বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এখনো পরীক্ষার আয়োজন করতে পারেনি। আমরা সাত-আট বার পরীক্ষার দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছি। প্রতিবার শুধু আশ্বাসই মিলেছে। এরই মধ্যে অনেকের চাকরির বয়সসীমা পার হয়ে যাচ্ছে। গত ঈদের পর দ্রুত পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে ‘কথা’ দিয়েছিলেন এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা। কিন্তু সব আশ্বাস আর ‘কথা’ কথাই থেকে গেল। তাই ‘আর আশ্বাস নয়’, চলতি আগস্টের মধ্যেই পরীক্ষা তারিখ ঘোষণা করতে হবে নয়তো আমরণ কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবো।
অভি খান বলেন, ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞাপ্তির প্রায় তিন বছর হয়ে গেল আমরা পরীক্ষার্থীরা এখনও হতাশায় আছি! আমাদের অনেকের বর্তমান বয়স ৩৩ বছর চলছে, এই বছর যদি পরীক্ষা না হয় তাহলে আমাদের ১২ লাখ প্রার্থীর মধ্যে ৩০-৪০% লোকের বয়সসীমা অতিক্রম হয়ে যাবে। আমরা আমাদের পরিবার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা কয়েকবার মানববন্ধন করেছি ও অনেকবার স্মারকলিপি দিয়েছি কর্মকর্তারা বার বার বলেছেন দ্রুত পরীক্ষা হয়ে যাবে। সর্বশেষ চেয়ারম্যান মহোদয়ের কাছে আমাদের একটাই চাওয়া আগস্ট মাসেই যেন আমরা পরীক্ষার সুসংবাদ শুনতে পাই।
উপদেষ্টা সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, করোনার দোহাই দিয়ে ১৭তম পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল, এই ৩ বছরে বিসিএস, ব্যাংক, প্রাইমারীসহ সব ধরনের পরীক্ষা হয়ে গেছে। কিন্তু হয়নি শুধু ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষা। চেয়ারম্যান স্যারের কাছে খুব জানতে ইচ্ছে করে এই অপেক্ষার প্রহর আমাদের কবে শেষ হবে?
উপদেষ্টা সদস্য রবিউল সানি বলেন, বিজ্ঞপ্তির প্রায় ৩ বছর হতে চললো, আমরা সমষ্টিগতভাবে অফিসে ১০-১১ স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা প্রতিবারই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দ্রুত পরীক্ষা হয়ে যাবে। কিন্ত তারা তাদের কথা রক্ষা করতে পারেনি। দুশ্চিন্তায় আমরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছি।