১৬ আগস্ট ২০২২, ১৮:১০

কারিগরি নতুন শিক্ষকদের এমপিও নিয়ে যা বললেন মহাপরিচালক 

ড. মো. ওমর ফারুক  © ফাইল ছবি

দেশের বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত না করার অভিযোগ উঠেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে। এমপিও ফাইল ত্রুটিমুক্ত হওয়ার পরও সেগুলো ছাড় হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন প্রার্থীরা।

নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরা বলছেন, চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়। স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্ত হলেও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে পারছেন না। নিয়োগ পাওয়ার প্রায় সাত মাস অতিবাহিত হলেও এমপিও না হওয়া চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন এসব প্রার্থীরা।

প্রার্থীদের অভিযোগ, সব অধিদপ্তর নিয়োগপ্রাপ্তদের দ্রুত এমপিওভুক্ত করলেও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ জনকে এমপিওভুক্ত করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। নিজ বাড়ি থেকে ৪০০-৫০০ কিলোমিটার দূরের প্রতিষ্ঠানে সুপারিশ পেয়েছেন অনেকে। বেতন না পাওয়ায় এই শিক্ষকরা ধার-দেনা করে সংসার চালাচ্ছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এমপিওভুক্তির দাবিতে বেশ কয়েকবার অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেছেন; স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন। কর্মকর্তারা বিভিন্ন আশ্বাস দিলেও তারা তাদের কথা রাখেননি। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগস্ট মাসের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত ফাইলগুলো এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।

আরও পড়ুন: চলতি মাসে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন

প্রার্থীদের এসব অভিযোগ নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস কথা বলেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক  ড. মো. ওমর ফারুকের সাথে। তিনি বলেন, যে সকল প্রার্থীর ফাইল ত্রুটিমুক্ত তাদের আগামী এক মাসের মধ্যে এমপিওভক্ত করা হবে। আর যাদের ফাইলগুলো ত্রুটিযুক্ত তাদেরগুলো আমরা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছি। কি কি সমস্যার কারণে তাদের এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে না সেগুলোও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এমপিওভুৃক্তিতে দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাউশি ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিওভুক্তির কাজ হয় অনলাইনে। তবে আমরা এখনো অনলাইনে যেতে পারিনি। উপজেলা পর্যায়ে আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। সেজন্য এই প্রক্রিয়ায় যাওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা আগামী তিন মাসের মধ্যে এমপিওর সিস্টেম অনলাইনে করতে পারবো বলে আশা করছি।

ত্রুটিমুক্ত ফাইলগুলো এমপিও না হওয়া প্রসঙ্গে মহাপরিচালক আরও বলেন, যে ফাইলগুলো ত্রুটিমুক্ত রয়েছে সেগুলো আমরা এমপিওভুক্ত করার চেষ্টা করছি। তবে অনেকগুলো কাগজ চেক করতে হয়। তবে ত্রুটিমুক্ত হলেও কিছু সমস্যা থেকেই যায়। সেজন্য অনেক সময় এমপিওভুক্ত করা সম্ভব হয় না। তবে আমরা আগামী এক মাসের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত ফাইলগুলো এমপিওভুক্ত করবো।