১১ আগস্ট ২০২২, ১৫:৪৪

‘সহকারী মৌলভী’ জেনারেল কোটা করে জুনিয়র মৌলভী ফিমেল দিতে সমস্যা নেই

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ  © ফাইল ফটো

বেসরকারি মাদ্রাসায় সহকারী মৌলভী জেনারেল কোটা করে জুনিয়র মৌলভি মহিলা কোটায় দিতে সমস্যা নেই বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সহকারী মৌলভী শূন্য ও নবসৃষ্ট পদে ‘ফিমেল’ কোটাকে ‘জেনারেল’ কোটায় পরিবর্তনের সুযোগ দেয়ার দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিতে গেলে প্রার্থীদের এ কথা জানায় এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তা।

সহকারি মৌলভী নিবন্ধনদারী শিক্ষকদের পক্ষে মো. ইকবাল হোসেন, গোলাম রব্বানী, এইচ এম রাসেল মাহমুদ রাসেল এবং ইমরান হোসাইন এই স্মারকলিপি জমা দেন।

স্মারকলিপি জমা দেওয়া শেষে এনটিআরসিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রার্থীদের এ তথ্য জানায়।

এ সময় নিবন্ধনধারীরা জানান, ‘‘মূলত চাহিদা গ্রহণের প্রথম থেকে ‘জুনিয়র মৌলভী/ইবতেদায়ী মৌলভী অথবা জুনিয়র শিক্ষক/ইবতেদায়ী শিক্ষক’ চাহিদা নেওয়া হলে উভয় পদের মহিলা কোটার সমন্বয় হতো। অথচ পোস্ট স্বল্পতায় মহিলা কোটা পূরণ করতে গিয়ে ‘একতরফাভাবে’ প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ বাধ্য হয়ে ‘সহকারি মৌলভী’ পোস্ট ‘ফিমেল কোটা’ চাহিদা দিয়েছেন প্রায় ৮৫ শতাংশ। যা আমরা সাধারণ নিবন্ধনধারীদের জন্য চরম হতাশার কারণ।’’

স্মারকলিপিতে নিবন্ধনধারীরা জানান, ‘‘মাদরাসার শূন্যপদসহ নবসৃষ্টপদের চাহিদা প্রদানের ক্ষেত্রে জটিলতার কারণে অধিকাংশ মাদরাসায় ‘সহকারী মৌলভী’ পদটি কোটাপূর্ণ করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান নিরুপায় হয়ে ‘ফিমেল’ কোটা দিতে বাধ্য হয়েছেন। সহকারী মৌলভী পদটিতে সর্বমোট নারী নিবন্ধনধারী পাশের হার ১০ শতাংশেরও কম। পূর্বের ৩টি গণবিজ্ঞপ্তিতে অনেক মাদরাসায় এ পদে নারী কোটায় সর্বনিম্ন নম্বরধারীও পাওয়া যায়নি।

অপর দিকে পুরুষ নিবন্ধনধারী ৯০ শতাংশের বেশি। অনেক প্রার্থীর যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কোটা জটিলতার কারণে সুপারিশ পাচ্ছেন না। অপরদিকে প্রতিষ্ঠান প্রধানগণও জনবল কাঠামো অনুযায়ী শিক্ষক না পেয়ে চরম হতাশায় রয়েছেন। ফলে শিক্ষক সংকট থেকেই যাচ্ছে। এমতাবস্থায় শিক্ষক সংকট দূর করতে ১৪ আগস্টের পর সংশোধনী নোটিশ প্রকাশ করা হলে মাদরাসা প্রধানগণ যেন জুনিয়র/ইবতেদায়ি মৌলভী পদটিসহ অন্যান্য পদের সাথে সমন্বয় করে ফিমেল কোটা পূর্ণ করে ‘সহকারী মৌলভী’ পদটি জেনারেল কোটায় পরিবর্তন করতে পারেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি ‘’

এ সময় প্রার্থীরা তিনটি দাবি উপস্থাপন করেন। সেগুলো হলো- 

১। ‘সহকারী মৌলভী’ পদে পুরুষ নিবন্ধনধারী তুলনামূলক অনেক বেশি হওয়ায় এবং মহিলা নিবন্ধনধারী প্রায় না থাকায় ‘জেনারেল’ কোটায় চাহিদা দিতে গুরুত্ব দেওয়া ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
২। যেসব প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ বাধ্য হয়েই ‘সহকারী মৌলভী’ পদটি ‘ফিমেল’ কোটায় চাহিদা দিয়েছেন উনাদেরকে ‘জুনিয়র মৌলভী’/ইবতেদায়ী মৌলভী’ পদকে এডিট করার মাধ্যমে ‘ফিমেল কোটা’ করে উভয় ‘মৌলভী’ পদে কোটার সমন্বয় করার
নির্দেশ প্রদান।
৩। যে সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষাখাতে সরকার/এনটিআরসিএ-এর সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে নবসৃষ্ট ‘সহকারী মৌলভী’ পদে চাহিদা প্রদান করছেন না উনাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা।