পদের নাম বদল: শূন্য পদের তথ্য দেয়া নিয়ে বিপাকে প্রধানরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২২, ০৯:৩২ AM , আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২২, ০৯:৩৯ AM
এমপিও নীতিমালায় পদের নাম বদলে যাওয়ায় শূন্য পদের চাহিদা দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। সমস্যার সমাধান না হলে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান শিক্ষক সংকটে পড়বে বলে জানান তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইবতেদায়ি মৌলভী ও ইবতেদায়ি শিক্ষক পদগুলোর নাম আগে জুনিয়র মৌলভী ও জুনিয়র শিক্ষক ছিল। তবে মাদ্রাসার এমপিও নীতিমালার সংশোধনীতে তা পরিবর্তন করে ইবতেদায়ি মৌলভী ও ইবতেদায়ি শিক্ষক করা হয়। এতে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির শূন্য পদের যে তথ্য চাওয়া হয়েছে সেখানে মাদ্রাসা প্রধানরা চাহিদা দিতে পারছে না।
নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বলছে, পদের নাম পরিবর্তন হলেও এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে স্পষ্ট করে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তাই তারা ইবতেদায়ি মৌলভী, ইবতেদায়ি শিক্ষক পদ দুটি সফটওয়্যারে ইনপুট দিতে পারেননি। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আসলে চাহিদা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সফরপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ নুরুল আবছার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির জন্য শিক্ষক চাহিদা প্রেরণ করতে গিয়ে দেখি ইবতেদায়ী শিক্ষক (জুনিয়র শিক্ষক) ও ইবতেদায়ী মৌলভী (জুনিয়র মৌলভী) পদের চাহিদা দেয়া যাচ্ছে না। আমার মাদ্রাসায় অনেক শিক্ষকের পদ শূন্য। এমতাবস্থায় আমরা শ্রেণি কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছি। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না করলে শিক্ষক সংকট চরমে পৌঁছাবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এমপিও নীতিমালায় এই দুটি পদের নাম পরিবর্তন হওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কেননা নাম পরিবর্তন হলেও মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। আবার আগের পদের চাহিদা নেওয়া হবে কিনা সেটিও তারা জানায়নি।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে আমরা বেশ কয়েকটি মাদ্রাসার প্রধানদের আবেদন পেয়েছি। আমরা বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করবো। সেখান থেকে নির্দেশনা পেলে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখা সনদধারীরা বলছেন, ২০১৮ সালে নীতিমালা হয়েছে, নীতিমালায় পদের নাম জুনিয়র মৌলভী থেকে ইবতেদায়ী মৌলভী করা হয়েছে। আমরা ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের সনদ পেয়েছি ২০২১ সালে। এর পরেও সনদে ইবতেদায়ী মৌলভী কেন সংযোজিত হয়নি। এর দায়ভার কি সনদধারীদের।
তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি এবং বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে একই সাবজেক্টে একই পদে একই সনদধারীগণ কিভাবে চাকরি পেল? অথচ এমপিও নীতিমালা জারির পরে তৃতীয় এবং বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ১৬ তমের একটি অংশ বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে একই সাবজেক্টে একই পদে সুপারিশ পেল; আর আমরা আরেকটি অংশ বঞ্চিত হবো কেন? আমাদের সবার সার্টিফিকেট এক এবং অভিন্ন। এক দেশ দুই নীতি হয় কিভাবে? দ্রুত এনটিআরসিএকে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।