১০ জুলাই ২০২২, ১৫:৩৫

অনশনেই ঈদ কেটেছে তাদের

নিবন্ধনধারী চাকরিপ্রার্থীদের অনশন   © সংগৃহিত

আজ পবিত্র ঈদ উল আযহা। পরিবার পরিজন নিয়ে কোরবানির ঈদ পালন করছেন সবাই। কিন্তু কিছু মানুষের জীবনে আজকের দিনটি অন্য দশ দিনের মতেই কাটছে। পরিবারের সাথে ঈদ কাটানোর বদলে দাবি আদায়ের জন্য ঈদের দিনও শাহবাগে জাতীয় যাদুঘরের সামনে গণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিবন্ধনধারী চাকরিপ্রার্থীরা। আজ রোববার ৩৬তম দিনের মতো গণ অনশন চলছে।

প্যানেলভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে ঈদের দিনেও গত ৩৫ দিনের মতো আজও সকাল আটটা থেকে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন নিবন্ধনধারীরা। সকাল ১০টা নাগাদ শাহবাগ চত্বরেই ঈদের নামাজ আদায় করেন শতাধিক অনশনকারী। কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে তাদের শিশুসন্তানরাও অনশনে অংশ নিয়েছেন। 

প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি আমির হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া আমাদের সমস্যার সমাধান হবে না। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে কথা না বলেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করছে। রোগীকে না দেখে রোগীর সমস্যা না বুঝেই ওষুধ দেওয়ার মতো অবস্থা তৈরি করা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন: ঈদে সবার স্বপ্ন যায়নি বাড়ি

এর আগে গতমাসে এক আবেদনের সকল নিবন্ধনধারীদের ক্রমানুসারে নিয়োগের দাবিসহ ৩ দাবিতে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন প্যানেল প্রত্যাশীরা। 

স্মারকলিপিতে তারা জানান, ‘এনটিআরসিএ এর সফলতার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কমিটির নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেধাবী শিক্ষক পাচ্ছে এবং সরকারের উন্নত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন সহজতর হচ্ছে। ইতোমধ্যে এনটিআরসিএ তিনটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কয়েক হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগ দিয়ে শিক্ষক হওয়ার সুয়োগ করে দিয়েছেন। যেহেতু ১-৫ তম, ৬-১২ তম এবং ১৩-১৬ তম পর্যন্ত তিনবার ৩ ভাবে নিবন্ধন পরীক্ষা হয়েছে তাই সকল নিবন্ধনধারীদের চাকরি নিশ্চিতকরণের এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজীকরণে আমরা ৩টি দাবি পেশ করছি। 


তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-

১। ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা করা যা ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় করবেন বলে ঘোষণা
দিয়েছেন।
২। বর্তমান নিবন্ধন সনদপ্রাপ্ত সকলের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রাখা।
৩ । এক আবেদনে সকল নিবন্ধনধারীদের (১-১৬ তম) ক্রমানুসারে প্যানেল করে নিয়োগ প্রদান করা।