২২ জুন ২০২২, ১৮:১৬

এমপিওভুক্তির দাবিতে কারিগরি শিক্ষকদের মানববন্ধন

মানববন্ধনে কারিগরি শিক্ষকরা  © টিডিসি ফটো

এমপিওভুক্তির দাবিতে বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা মানববন্ধন করেছেন। পরে মহাপরিচালকের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।

বুধবার (২২ জুন) কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা জানান, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে বিভিন্ন কারিগরি প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ৫০০ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হন। সব প্রক্রিয়া শেষ করে গত ফেব্রুয়ারি মাসে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে ৭০০ শিক্ষক এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেন। তবে একজনেরও এমপিও হয়নি। এই অবস্থায় চরম মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

মো. মাসুদ রানা নামে এক শিক্ষক জানান, আমার বাড়ি জয়পুরহাট। আমি চট্টগ্রামের বোয়ালখালি সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। প্রায় পাঁচ মাস ধরে বেতন ছাড়াই চাকরি করছি। আমার বাড়িতে ছোট ছেলে-মেয়ে আছে। তাদের কিছু কিনে দিতে পারি না। আমার নিজের খরচ চালানোই আমার জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার পরিবারের লোকজন যখন জিজ্ঞেস করে আমার বেতন হয়েছে কিনা তখন লজ্জায় আমার মরে যেতে ইচ্ছে করে।

আরও পড়ুন: চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি: শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ শুরু আগামী সপ্তাহে

মো. আরিফ হোসাইন নামে আরেক শিক্ষক জানান, আমার বাড়ি ঝিনাইদহ। আমি সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায়। বাড়ি থেকে এত দূরের প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছি কেননা এটি এমপিও পোস্ট। যোগদানের পাঁচ মাস হয়ে গেলেও এখনো এমপিওভুক্ত হতে পারেনি। চাকরি হওয়ার পর একটি ঈদ চলে গেছে। আমার মেয়েকে ঈদে নতুন জামা কিনে দিতে পারিনি। বাবা হিসেবে এটি যে কত কষ্টের সেটি বলে বোঝানোর মতো না। দীর্ঘদিন ধরে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে ঘুরছি। তবে কোনো সমাধান হয়নি। দ্রুত আমাদের এমপিওভুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।

মো. নুরুল ইসলাম জানান, আমাদের আজকের মানববন্ধন চলাকালীন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আমাদের সাথে দেখা করেছেন। তিনি আমাদের কথা দিয়েছেন যে ঈদের আগেই ৫০০ জনের এমপিওভুক্ত সম্পন্ন হবে। আর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্ত সকলকে এমপিওভুক্ত করা হবে। মহাপরিচালকের আশ্বাসে আমরা আজকের মানববন্ধন এবং অন্যান্য কর্মসূচি স্থগিত করেছি।