প্যানেল প্রত্যাশীদের গণ অনশন শুরু রবিবার
প্যানেলের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আগামী রবিবার (৫ জুন) থেকে গণ অনশন কর্মসূচি পালন করবে প্যানেল প্রত্যাশীরা।
বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন প্যানেল প্রত্যাশী নিবন্ধিত শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি মো. আমির হোসেন।
আমির হোসেন জানান, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে। তবে এর মধ্যে মাত্র ১৪ হাজার প্রার্থী প্রকৃত পক্ষে নিয়োগ পেয়েছেন। আর বাকিরা সবাই ইনডেক্সধারী। তারা এক প্রতিষ্ঠান আরেক প্রতিষ্ঠানে বদলির আবেদন করেছেন। সবগুলো পদ যদি ইনডেক্সধারীদের বিপরীতে পূরণ হয় তাহলে নতুন বা এখনো যারা নিয়োগ সুপারিশ পায়নি তারা কখনোই চাকরি পাবে না।
তিনি বলেন, এনটিআরসিএ ইনডেক্সধারীদের এমপিও হওয়ার পর সনদ রহিত করণে পরিবর্তে বার বার প্রতিষ্ঠান বদল করা সুযোগ দিচ্ছে। এতে তাদের গণবিজ্ঞপ্তি নামক ব্যবসা দিনকে দিন জমে ওঠছে। এনটিআরসিএ এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইনডেক্সধারীসহ সবাইকে যুদ্ধক্ষেত্রে নামিয়ে দিচ্ছে। ১৬তম নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলো ১৮ হাজারেরও অধিক। বছরে ২০/৩০ হাজার যোগ হবে আর বারবার পূর্বের নিয়োগ প্রাপ্ত ইনডেক্সধারীরা সুপারিশ পাবে। এভাবে চলতে থাকলে শুধু ১-১২তম নয়, ১৩ তম, ১৪তম, ১৫তম ও ১৬তম একটি অংশেরও কোনো দিন চাকরি হবে না।
তিনি আরও বলেন, কারো স্কুল পর্যায়ে নিবন্ধন সনদ আছে, কারো কলেজ পর্যায়ে সনদ আছে, কারো কারো উভয়টি আছে। অনেকের তিনটি, চারটি এমনটি পাঁচটি পর্যন্ত সনদ আছে। কারো তো একাধিক পদে চাকরির সুযোগ নেই। শিক্ষক নিবন্ধন সনদ চাকরির সনদ, একাডেমিক সনদ নয়। শিক্ষকতা ছাড়া এ সনদ কোনো কাজে আসবে না। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে অর্জিত শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতার সনদ- শিক্ষক নিবন্ধন সনদ। তাই সনদ যার, চাকরি তার।
আরও পড়ুন: ই-রেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়াল এনটিআরসিএ
আমির হোসেন জানান, নিয়োগপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী, মৃত ব্যক্তি, সরকারি চাকরিজীবি, ব্যবসায়ী বা বিদেশগমনকারী যারা চাকরি প্রত্যাশী নয় এদের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহৃত হয়েছে। সুতরাং জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি থেকেই প্রকৃত চাকরি প্রত্যাশী সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব। চাকরির আশায় এক জন ব্যক্তি ১২০০, ১৩০০ আবেদন করেও চাকরি নিশ্চিত করতে পারে না। একেকজন গড়ে ১০০ টিরও বেশি আবেদন করেছে। এ হিসেবে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা প্রায় নব্বই হাজার। হয়তো আরও কম হবে কারণ এ হিসেবটা ইনডেক্সধারীসহ।
তিনি আরও বলেন, বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক শূন্যতায় ভুগছে। এবার ৫৪ হাজার ৩০৭টি পদ থেকে আবার খালি থাকছে প্রায় ৪০ হাজার। সুতরাং সরকারের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে এবং কৃত্রিম শিক্ষক সংকট দূরীকরণে এখন প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগের বিকল্প নেই। কৃত্রিম শিক্ষক সংকট দূরীকরণে চাকরি প্রত্যাশী নিবন্ধধারীদের এক আবেদনে ইনডেক্সধারীদের অন্তর্ভূক্ত না করে কোটা বিহীন স্ব স্ব নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রেখে প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সদিচ্ছা এবং সুনজরের অপেক্ষা মাত্র।