তৃতীয় নিয়োগচক্রে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নবসৃষ্ট শূন্য পদে এমপিও জটিলতা
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) তৃতীয় নিয়োগচক্রে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নবসৃষ্ট বাংলা, ইংরেজি, ভৌত বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ব্যবসায় শিক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়ে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এমমিওভুক্তিতে জটিলতায় পড়েছেন। সমস্যা সমাধানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানিয়েছেন তারা।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নবসৃষ্ট প্যাটার্নভুক্ত সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষক পরিবার কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে এই দাবি জানান ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী শিক্ষকদের পক্ষে সাইফুর রহমান মারুফ আহম্মেদ ও মো. হাবিবুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
তারা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানগণ উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী বৃদ্ধিপ্রাপ্ত নতুন বিষয়ে নন এমপিও বিষয়ে চাহিদা দেন। এর কারণ হিসেবে প্রধান শিক্ষকরা জানান, এই পদগুলতে এর আগে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। নতুন পদ বৃদ্ধি করা হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে। বিধি মোতাবেক এনটিআর কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির আবেদন করলে আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে সুপারিশপত্রে নন-এমপিও লেখা থাকার কারণে নতুন এমপিওভুক্তির আবেদনগুলো বাতিল করে দেয়। বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসব শিক্ষকদের পদটি বর্তমানে শূন্য পদ। এসব পদে এমপিওভুক্তির সুযোগ রয়েছে। যদি পদ শূন্য থাকার পরও এমপিওভুক্ত হতে না পারে তাহলে এনটিআরসিএতে হাজার হাজার টাকা খরচ করে নিজ বাড়ি থেকে ৫০০/৭০০ কি:মি: দূরে কেন চাকরি নেবে? আমাদের পুলিশ ভেরিফিকেশনও শেষ হয়েছে। তবুও ভোগান্তি শেষ হয়নি।
ভুক্তভোগী শিক্ষকরা আরও বলেন, এনটিআরসিএ কর্তৃক একই নিয়োগচক্রে নন-এমপিও সুপারিশে শত শত শিক্ষক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এমপিওভুক্ত হচ্ছেন। এমতাবস্থায় আগামী জুন মাসের এমপিও আবেদন করার পূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা মাউশি থেকে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা।