০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:৩৭

ভেরিফিকেশন ফরম জমা না দেয়া পদে যারা নিয়োগ পাবেন

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩৮ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ করা হলেও চূড়ান্ত সুপারিশপত্র পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৭৩ জন। প্রায় চার হাজার প্রার্থী পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করে না পাঠানোয় তাদের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেয়া হয়নি। এই পদগুলো পূরণে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

এনটিআরসিএ সংশ্লিষ্ট  সূত্রে জানা গেছে, ভি রোল ফরম পাঠাতে আগামী সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত সময় পাবেন প্রার্থীরা। এরপর আর ভেরিফিকেশন ফরম গ্রহণ করা হবে না। যারা ভেরিফিকেশন ফরম পাঠায়নি তাদের জায়গায় অন্যদের সুযোগ দেয়া হবে। তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার পর নম্বর কম থাকায় যারা সুযোগ পাননি তাদের সুযোগ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় পজিশনে থাকা প্রার্থী চাকরির সুযোগ পাবেন।

আরও পড়ুন: শূন্য পদের বিপরীতে হবে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি

সূত্র আরও জানায়, আগামী ২০ নভেম্বর চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদান শেষ হবে। এরপর মহিলা কোটার প্রার্থীদের নিয়ে কাজ করবে এনটিআরসিএ। সেটি শেষ হলে ২৭ ফেব্রুয়ারির পর দ্বিতীয় মেরিট নিয়ে কাজ শুরু করা হবে। এই ধাপে ভি রোল ফরম না পাঠানো প্রার্থীদের জায়গায় সেকেন্ড পজিশনে থাকা প্রার্থীদের চাকরির সুপারিশ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সদস্য (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন) এ বি এম শওকত ইকবাল শাহীন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারির পর দ্বিতীয় মেধাতালিকা নিয়ে কাজ শুরু হবে। চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে কতজন ইয়েস/নো দিয়েছে সেটি দেখার পর এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।

আরও পড়ুন: তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে দ্বিতীয় ধাপে সুযোগ ২৭ ফেব্রুয়ারির পর

তিনি আরও বলেন, পুলিশ ভেরিফিকেশ ফর পূরণ করে না পাঠানোর কারণে যে পদগুলো শূন্য হবে সেগুলোতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ করা হবে। এই পদগুলো বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তিতে যুক্ত করা হবে না।

প্রসঙ্গত গত বছরের ৩০ মার্চ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্যপদের বিপরীতে ৪ এপ্রিল থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। ১-১২তম নিবন্ধনের রিটকারীদের জন্য দুই হাজার ২০০টি পদ সংরক্ষণ করে ৫১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেয় এনটিআরসিএ।

তবে ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি মহিলা কোটা পদে মহিলা প্রার্থী না থাকায় মোট ১৫ হাজার ৩২৫টি পদে বাকি রেখে ৩৮ হাজার ২৮৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। এই পদগুলো পূরণে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ।