শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেবে এনটিআরসিএ
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও বেসরকারি স্কুল-কলেজে ৩৮ হাজার ২৮৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেয়া হবে।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এ কথা জানান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়াম্যান এনামুল কাদের খান।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেয়া হবে। এটি অনলাইনে দেয়া হবে। ফলে খুব একটা সমস্যা হবে না। সুপারিশপ্রাপ্তরা সুবিধা মতো যোগদান করবেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সাথে সুপারিশপত্র দেয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: টেলিটকের সাথে এনটিআরসিএ’র সভা চলছে
কবে নাগাদ সুপারিশপত্র দেয়া হবে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের কিছু প্রসিডিউর বাকি আছে। সেটি আজ শেষ হলে আজও সুপারিশপত্র দেয়া হতে পারে। আজ শেষ না হলে আগামীকাল শনিবার অথবা রবিবার দেয়া হবে।
এদিকে এনটিআরসিএ’র একটি সূত্র জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার নিয়োগ প্রাপ্তদের চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত দেয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল এনটিআরসিএ। তবে শিক্ষা সচিব মো. আবু বকর সিদ্দীককে চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেয়ার বিষয়টি মৌখিকভাবে অবহিত করতে না পারায় অনলাইনে এটি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দিতে চায় এনটিআরসিএ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএ’র এক কর্মকর্মা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গতকাল টেলিটকের সাথে বৈঠকের পর চূড়ান্ত সুপারিশপত্র প্রকাশের কথা ছিল। তবে শিক্ষা সচিব করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এজন্য চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দিতে বিলম্ব হচ্ছে। দ্রুতই সুপারিশপত্র পাবেন প্রার্থীরা।
তথ্যমতে, গত বছরের ৩০ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। বিভিন্ন নিবন্ধনের রিটকারীদের জন্য ২ হাজার ২০০টি পদ সংরক্ষণ করে বাকি পদগুলোতে নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়।
আবেদন না পাওয়ায় এবং মহিলা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ১৫ হাজাত ৩২৫টি পদ বাদ রেখে ৩৮ হাজার ২৮৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। সুপারিশ প্রাপ্তদের মধ্যে ৬ হাজার প্রার্থী ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করে না পাঠানোয় ৩২ হাজার ২৮৩ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে।