বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা চায় এনটিআরসিএ
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা চায় চাকরির সুপারিশ করা সংস্থা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। বদলি ব্যবস্থা চালু হলে গণবিজ্ঞপ্তিতে পুরোনো শিক্ষকরা আর আবেদন করবে না। এতে করে শূন্য হওয়া পদগুলো পূরণ হবে।
এনটিআরসিএ’র একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে সুপারিশ করার ক্ষমতা সংস্থাটির হাতে থাকলেও নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা করার এখতিয়ার প্রতিষ্ঠানটির হাতে নেই। এই অবস্থায় প্রতিটি গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের ক্ষেত্রে পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্তদের আধিক্য দেখা যায়। এতে করে শূন্যপদের ভিত্তিতে নিয়োগ সুপারিশ করা হলেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পদগুলো শূন্যই থেকে যায়।
কর্মকর্তারা আরও বলছেন, বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা চালু করা হলে ইনডেক্সবিহীন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারবেন তারা। এক্ষেত্রে নিবন্ধিত শিক্ষকদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে পুরোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকরা নিজ উপজেলার অথবা জেলার কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পাবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএ’র এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘আমরাও চাই বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা চালু হোক। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। তবে এখনো কোনো সমাধান আসেনি। অনেক শিক্ষক বদলির বিষয়ে জানতে আমাদের কাছে প্রতিনিয়ত ফোন করেন। তবে আমরা তাদের কোনো আশারবানী শোনাতে পারি না।
এদিকে দুইভাবে শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা চালু করার কথা জানিয়েছেন এনটিআরসিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এরমধ্যে একটি হলো ‘মিউচুয়াল ট্রান্সফার’ বা পারস্পরিক বদলি। এর মাধ্যমে একই বিষয়ে এবং একই পদে কর্মরত সমঅভিজ্ঞ ইন্ডেক্সধারী শিক্ষকগণ মিউচুয়াল ট্রান্সফার নিতে পারবে। অন্যটি হলো স্বেচ্ছায় বদলি। এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান শূন্য আসনে নতুন নিয়োগের পূর্বে সেচ্ছায় বদলির আবেদন চেয়ে এনটিআরসিএ প্রয়োজনমত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে। এরপর প্রার্থীরা আবেদন করবে। সেই আবেদন যাচাই-বাছাই করে বদলি করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কাজ করছে। তাদের কাছ থেকে নির্দেশনা পেলে বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে এনটিআরসিএ।