বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ২০ মাসেও হয়নি ১৭তম নিবন্ধনের প্রিলি
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হতে আগ্রহীদের সনদ দিতে ২০২০ সালে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২০ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করতে পারেনি সংস্থাটি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে এই নিবন্ধন কার্যক্রম। এতে করে হতাশায় ভুগছেন প্রার্থীরা।
এনটিআরসিএ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই বছরের ১৫ মে সকালে স্কুল পর্যায়ে এবং বিকেলে কলেজ পর্যায়ের প্রিলি পরীক্ষার তারিখ দেওয়া হয়। তবে এর আগেই দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে থেমে যায় নিবন্ধন কার্যক্রম। তবে বর্তমানে করোনা সংক্রমণ কমে আসলেও ১৭তম নিবন্ধন নিয়ে এনটিআরসিএকে তেমন কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
এনটিআরসিএ বলছে, ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি যখন প্রকাশ করা হয়েছিল তখন তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম চলমান ছিল। ওই মুহূর্তে এটি প্রকাশ করাই ঠিক হয়নি। শূন্যপদের বিপরীতে কতজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে সে তথ্য সংগ্রহ না করেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে করে বিষয়টি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. এনামুল কাদের খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এই মুহূর্তে ১৭তম নিবন্ধনের কোনো খবর দিতে পারছি না। আমরা আগে শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করবো। তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর এই তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর ১৭তম নিবন্ধনের পরীক্ষা আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এদিকে আবেদন করেও দীর্ঘদিন ধরে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার অপেক্ষায় থাকা প্রার্থীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, তৎকালীন এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তাদের অদূরদর্শিতার কারণেই এখনো প্রিলি পরীক্ষা আয়োজন করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে ১৭তম নিবন্ধনের আবেদন করা প্রার্থী মো. শফিক জানান, প্রায় দুই বছর হতে চললেও এখনো আমাদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়নি। কবে পরীক্ষা হবে সে বিষয়েও স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না এনটিআরসিএ। এভাবে আর কতদিন অপেক্ষা করা যায়। দ্রুত ১৭তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজনের দাবি জানাচ্ছি।
আরেক প্রার্থী মো. সাদিক জানান, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, আমরা সেখানে আবেদন করেছি। এভাবে কার্যক্রম বন্ধ করে রাখার কোনো মানে হয় না। এতে করে আমাদের অনেকের বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে। পরে বয়স নিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি হবে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ১৭তম নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করে থাকে এনটিআরসিএ। ২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত তারা কেবল সনদ প্রদান করতো। নিয়োগ হত কমিটির মাধ্যমে। তবে কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠায় ২০১৫ সাল থেকে নিবন্ধন সনদ প্রদানের পাশাপাশি মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে আসছে এনটিআরসিএ।