সেপ্টেম্বরেই ১৬তম নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের দাবি

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ  © ফাইল ফটো

সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত ফল প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন ১৬তম নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রার্থীরা। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রায় তিন বছর পর গতকাল মঙ্গলবার এই নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে।

১৬তম নিবন্ধনের প্রার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৩ মে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। একই বছরের ৩০ আগস্ট প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার একমাস পর ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ফল প্রকাশ করা হয়। ওই বছরেরই ১৫ ও ১৬ নভেম্বর ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রার্থীরা জানান, সর্বোচ্চ ২ মাসের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কথা থাকলেও প্রায় এক বছর পর ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এরপর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর থেকে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। গতকাল মঙ্গলবার ভাইভা শেষ হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হতে কয়েক বছর লেগে যাওয়ায় ১৬তম নিবন্ধরের প্রার্থীরা হতাশাগ্রস্ত। কেননা প্রার্থীদের অনেকের বয়স ৩৫ বছর পার হয়ে গেছে। আবার অনেকের বয়স ৩৫ এর কাছাকাছি। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি মাসের মধ্যেই ফল প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন প্রার্থীরা।

এ প্রসঙ্গে ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের গণিত বিষয়ের প্রার্থী খালেদ ইমরোজ বলেন, শিক্ষক হবার স্বপ্ন নিয়ে বড় হয়েছি। আমার বয়স এই বছরের জানুয়ারি মাসেই ৩৫ বছর পার হয়ে গেছে। ফলে খুব হতাশার মধ্যে দিন পার করছি। কর্তৃপক্ষ দ্রুততম সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে বয়স ছাড় দিয়ে আসন্ন গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ দেবেন এই কামনা করছি।

শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের প্রার্থী রেজাউল করিম বলেন, ১৫তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল মাত্র ৭ দিনের মধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছিল। যেহেতু আমাদের লিখিত পরীক্ষার রেজাল্ট পেতে এবং ভাইভা পরীক্ষা সম্পন্ন করতে অনেক বেশি দেরি হয়েছে সেহেতু আমাদের চূড়ান্ত ফল সেপ্টেম্বর মাসেই প্রকাশের জোর দাবি জানাচ্ছি।

৪র্থ গনবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী পরিবার( ১-১৬তম) কমিটির মূখপাত্র মো. ইকবাল হাসান বলেন, প্রতিদিনিই আমাদের কাছে অসংখ্য ফোন আসে। সকলের একই আর্তনাদ। বয়স শেষ হয়ে গেছে কিংবা যাচ্ছে। তারা অত্যন্ত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত এবং হতাশ। ১৬তম নিবন্ধনধারীদের দাবি হলো, করোনার কারণে ৩য় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের বয়স ২০২০ সালের জানুয়ারি ধরা হয়েছে তাই ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তিতেও যেন একই তারিখ ধরা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ