গণবিজ্ঞপ্তিতে পর্যাপ্ত শূন্যপদ না থাকার অভিযোগ, সমাধান চান প্রার্থীরা
দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগুর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ। তবে এই বিজ্ঞপ্তিতে কলেজ পর্যায়ে পর্যাপ্ত শূন্যপদ না থাকার অভিযোগ করেছেন নিবন্ধনধারীরা।
তারা বলছেন, এনটিআরসিএ যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সেখানে শূন্যপদের সংখ্যা একেবারেই কম। যেগুলো আছে, তার অধিকাংশই নারী কোটার জন্য বরাদ্দ। গণবিজ্ঞপ্তি ১-১৫তম নিবন্ধনধারীদের জন্য হলেও বেশি সমস্যায় পড়েছেন ১৫তম নিবন্ধিত প্রার্থীরা।
এদিকে বিষয়টি সমাধানের জন্য এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন ১৫তম নিবন্ধনধারীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি ও ১৫তম নিবন্ধনধারী মো. শান্ত আলী।
তিনি বলেন, “অর্থনীতি প্রভাষক ৯টি এমপিও পদ নয়েছে। তার মধ্যে ৬টি মহিলা কোটা বাকি ৩ টি সাধারন কোটা। অথচ ১৫তম নিবন্ধনেই টিকানো হয়েছে ৪৬জনকে। তাহলে ১৫তমসহ অন্যান্য যারা আছেন তারা কিভাবে আবেদন করবে। অন্যদিকে আমরা বিভিন্ন জেলার শিক্ষা অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে যে শুন্যপদের চাহিদা দেওয়া হয়েছে প্রকাশিত শূণ্যপদের তালিকায় সেগুলো নেই। আমরা জানতে চাই এই পদ গেল কই।আবেদনের সুযোগও যদি দিতে না পারে তাহলে এসব উচ্চ শিক্ষিত মেধাবী বেকারদের উত্তীর্ণ করা হলো কেন?
তিনি বলেন, রিট করেই যদি সরাসরি নিয়োগ হয়ে তাহলে গণবিজ্ঞপ্তি কেন, রিট করে আসতে বলেন। মেধা তালিকা ও নম্বর দিয়ে কি হবে। সংরক্ষিত পদের জন্য এনটিআরসিএ নতুন করে রিটকে উৎসাহ প্রদান করলো। কেউ ৪০ নম্বরে চাকরি পাবে আর কেউ ৮০ নম্বরে নিয়োগ বঞ্চিত হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। কেউ ২০০০০ মেধা সিরিয়ালে অবস্থান করে সরাসরি চাকরি পাবে আবার কেউ ২০০ মেধা তালিকার মধ্যে থেকেও চাকরি তো দূরের কথা আবেদনই করতে পারছে না। বিষয়টি এনটিআরসিএকেই সমাধান করতে হবে।