২৬ মার্চ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ দ্রুত শেষ করতে সরকারি বন্ধের দিনও কাজ করা হচ্ছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা তথ্য যাচাই করে পাঠানোর পর আমাদের কিছু কাজ থাকবে। সেই কাজগুলো ২৬ মার্চের আগে শেষ হলে মুজিবর্ষের উপহার হিসেবে ওইদিন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) রাতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আশরাফ উদ্দিন।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য আজকেও এনটিআরসিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করছেন। তারা আগামীকালও অফিস করবেন। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবো। গত বুধবার এই বিষয়ে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেয়ার জন্য টেলিটকের সাথে আমরা আলোচনা করেছি। তারা আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ কতদূর এগিয়েছে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধানরা আমাদের কাছে শূন্যপদের যে তথ্য পাঠিয়েছেন সেটি যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা এই কাজটি করছেন। তারা হালনাগাদকৃত তথ্য আমাদের কাছে পাঠালে সেগুলো আমরা নথিভুক্ত করব। ৫৭ হাজারের বেশি তথ্য নথিভুক্ত করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হবে। তবে আমরা সবকিছুই দ্রুত করতে চাই।
চলতি মাসে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হচ্ছে— বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা হয়েছে, বিষয়টি আসলেও সত্য কিনা? জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, এই মুহূর্তে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের এক্সাক্ট ডেট আমি বলতে চাচ্ছি না। কেননা তারিখ ঘোষণা করলেই অনেকে আদালতে রিট করবেন। তখন প্রক্রিয়াটি আবার পিছিয়ে যাবে। তবে মুজিববর্ষ উদযাপনের সময় চাকরিপ্রার্থীদের সুখবর দেয়ার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি।
২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠান শেষ হবে, ওইদিন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে আপনার দেয়া কথাটি (মুজিব বর্ষের উপহার) থাকবে। ২৬ মার্চ কি প্রকাশ হবে গণবিজ্ঞপ্তি? এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। ২৬ মার্চের আগে যদি সব কাজ গুছিয়ে নিতে পারি তাহলে ওইদিন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে। তবে বিষয়টি নির্ভর করছে আমাদের কাজ শেষ হওয়ার উপর।