শিগগিরই ৫৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি
দেশের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিগগিরই প্রায় ৫৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এ প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে সূত্র জানায়। চলতি মাসের শেষে অথবা আগামী মাসে এ নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। মামলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে বন্ধ রয়েছে। এতে পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ কমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য শিক্ষক নিয়োগ দিতে মামলার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চায় এনটিআরসিএ। মতামত পেলেই শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে। সূত্র জানায়, সারাদেশের এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫৭ হাজার ৩৬০টি শূন্যপদ রয়েছে। মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমে এ তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান মো. আশরাফ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘৫৭ হাজারের বেশি শিক্ষকের পদ শূন্য থাকলেও নিয়োগ দিতে পারছি না। তবে ৫৫ হাজার পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’ মতামত পেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে বলে তিনি জানান।
সূত্র আরো জানায়, সংগৃহীত তালিকার যাচাই-বাছাইরের কাজও শেষ পর্যায়ে। এমপিওভুক্ত বিভিন্ন বিষিয়ভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী, শিক্ষক পদ শূন্য আছে ৫৭ হাজার ৩৬০টি। আর শিক্ষক নিয়োগ হবে এনটিআরসিএ’র শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে মেধার ভিত্তিতে। তবে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা প্রায় ৪০০টি মামলা করায় নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রায় দুই হাজার প্রার্থী মামলা করে তাদের পক্ষে রায় এনেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল করেছে এনটিআরসিএ। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৭ হাজার শিক্ষকের শূন্যপদের মধ্যে দুই হাজার বাদ দিয়ে বাকি ৫৫ হাজার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সে মোতাবেক এনটিআরসিএ কাজ শুরু করেছে বলে জানান তিনি।