বশেমুরবিপ্রবি: মানববন্ধনে ইটিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা, আশ্বাস ভিসির

  © টিডিসি ফটো

মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ইলেকট্রনিক্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইটিই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

ইলেক্ট্রিকাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইন্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সিলেবাসের আলোকে দ্রুত সিলেবাস প্রণয়ন করে ক্লাস শুরুর দাবিতে আজ মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিভাগটির প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির যৌক্তিকতা উল্লেখ করে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপিও দিয়েছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম মাহবুব বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রথমে ডিনস কমিটির মিটিংয়ে এবং দুই চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করা হবে। পরবর্তীতে এটি একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করা হয়ে রিজেন্ট বোর্ডে যেতে পারে। সর্বশেষ বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) পাঠানো হবে। সবমিলিয়ে হয়তো মাস দুয়েক সময় লাগতে পারে।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ইটিই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান বলেন, ইটিই বিভাগের সিলেবাস এবং ইইই বিভাগের সিলেবাস প্রায় একই হলেও ইটিই বিভাগে চাকরির সুযোগ কম। ইতোমধ্যে বিষয়টি বিবেচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ইটিই বিভাগকে ইইইতে রূপান্তর করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরাও আমাদের ইটিই বিভাগকে ইইই এর সাথে একীভূতকরণের দাবি জানিয়ে ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর একটি স্মারকলিপি দিই এবং তৎকালীন প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ২৭ অক্টোবর থেকে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন শুরু করি। এরপর তৎকালীন প্রশাসন ১৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে এবং আমাদের দাবিকে যৌক্তিক আখ্যা দেন। তবে এসময় আমাদের বলা হয় পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য ছাড়া কিছু করা সম্ভব নয়। কিন্তু পূর্ণ দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য আসার পর দুই মাস পার হলেও এখনও আমাদের সমস্যার সমাধান হয়নি।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ ক্লাস পরীক্ষার বাইরে থাকায় আমরা অনেকটা পিছিয়ে পরেছি। আমাদের এখন একটাই দাবি, দ্রুত ইইই এর আলোকে নতুন সিলেনাস প্রণয়ন করে আমাদের ক্লাসে ফেরার সুযোগ দেয়া হোক।


সর্বশেষ সংবাদ