করোনার মধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ সম্ভব নয়: এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান

মো. আকরাম হোসেন ও এনটিআরসিএর লোগো
মো. আকরাম হোসেন ও এনটিআরসিএর লোগো  © ফাইল ফটো

দেশে চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে তৃতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব নয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান মো. আকরাম হোসেন।

জানা গেছে, চলতি বছরের মার্চে তৃতীয় চক্রের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার প্রস্তুতি ছিল এনটিআরসিএর। এ লক্ষ্যে এনটিআরসিএ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শূন্য হওয়া পদের তালিকা সংগ্রহ করেছিল। তবে প্রার্থীদের তথ্যে ভুল থাকায় তারা তা সংশোধন করে পাঠাতে বলে। তবে মার্চ থেকে দেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হলে আটকে যায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ।

এ প্রসঙ্গে মো. আকরাম হোসেন  বলেন, আমরা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। তবে দেশে এখন মহামারী চলছে। এই পরিস্থিতিতে সব কিছুই থমকে গেছে। এমন অবস্থায় তৃতীয় চক্রের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা সম্ভব হবে না। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সার্বিক অবস্থার উন্নতি হলে তবেই তৃতীয় চক্রের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

নিয়োগ প্রত্যাশীদের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে আমরা অবহিত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দেশে লাখ লাখ তরুণ বেকার। কভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে নিয়োগ প্রত্যাশীদের অনেকেই খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে আছেন। সেটা আমরা বুঝি। আমি তাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে বলব।

উল্লেখ্য, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করে এনটিআরসিএ। বাছাই করা প্রার্থীদের আর কোনও পরীক্ষা দিতে হয় না। ইতোমধ্যে ২০১৬ ও ২০১৯ সালে দুইটি চক্রে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ। দেশে বর্তমানে ১৯ হাজার ৪৭১টি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ২২ হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।


সর্বশেষ সংবাদ