০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৫৩

১৯তম নিবন্ধনে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা কম

এনটিআরসিএ লোগো  © ফাইল ফটো

১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ নিবন্ধনে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের চাকরি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে বলে জানা গেছে।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) একটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন নিবন্ধন পদ্ধতিতে মোট পদের ২০ শতাংশ অতিরিক্ত প্রার্থীকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ করানো হবে। অর্থাৎ পদ ১০০ হলে ১২০ জন প্রার্থীকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হবে। এর ফলে পরীক্ষায় যারা কম নম্বর পাবেন, তাদের চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। বেশি নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা এগিয়ে থাকবেন।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্ত দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘১৯তম নিবন্ধন হবে অনেকটা বিসিএসের আদলে। যতগুলো পদ, ততজনকে চাকরির সুপারিশ। ফলে প্রতিযোগিতা পূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করবে। যাদের নম্বর বেশি থাকবে তারাই চাকরির সুপারিশ পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবেন। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রার্থীকে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে।’

জানা গেছে, নতুন নিয়োগ পদ্ধতিতে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি তিন বিভাগের জন্যই ২০০ নম্বরের পরীক্ষার প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও স্কুল-কলেজে এবং কারিগরিতে ১০০ নম্বর সাবজেক্টিভ এবং ১০০ নম্বর জেনারেল এবং মাদ্রাসারা জন্য ১৪০ নম্বর সাবজেক্টিভ এবং ৬০ নম্বর জেনারেল করা প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এভাবে বিভাজন করলে বৈষম্য তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য তিন বিভাগের জন্য নম্বর প্যাটার্ন একই রকম রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনায় অনেকে অনেক ধরনের প্রস্তাব করেছেন। স্কুল-কলেজে এবং কারিগরির জন্য একরকম। আবার মাদ্রাসার জন্য আরেকরকম। তিন বিভাগের জন্য পৃথক পদ্ধতি করা হলে এক প্রকার বৈষম্য করা হবে। সেজন্য আমরা তিন বিভাগের জন্য একই রকম পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে ভাবছি। সামনে এনটিআরসিএর বোর্ড সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের সভায় এটি চূড়ান্ত করা হবে।’

জানা গেছে, এর আগে এনটিআরসিএর নিবন্ধন পরীক্ষায় কখনোই প্রার্থীদের ভাইভার নম্বর যুক্ত করা হয়নি। প্রথমবারের মতো ভাইভার নম্বর যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন বিধিমালায় ভাইভার নম্বর যুক্ত করা হবে। এ ব্যাপারে ইতিবাচক শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

এ বিষয়ে মাউশির এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বিসিএসসহ সব ধরনের চাকরির পরীক্ষায় ভাইভার নম্বর যুক্ত করা হয়। আমরাও এনটিআরসিএর নিয়োগ পরীক্ষায় ভাইভার নম্বর যুক্ত করার মতামত দিয়েছি। ভাইভার নম্বর যুক্ত না হলে প্রার্থীদের প্রকৃত মেধা যাচাই করা সম্ভব হবে না। আশা করছি আমাদের মতামত শিক্ষা মন্ত্রণালয় গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে।