নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়ভিত্তিক শূন্য পদের তথ্য উল্লেখ করবে এনটিআরসিএ
এখন থেকে শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়ভিত্তিক শূন্য পদের তথ্য উল্লেখ থাকবে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এনটিআরসিএর কার্যালয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম। এ সময় উপস্থাপক ছিলেন, এনটিআরসিএ সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) এরাদুল হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনটিআরসিএ’র সদস্য (পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন) নূরে আলম সিদ্দীকি। সঞ্চালনায় ছিলেন এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বলেন, এখন থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে না। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে শূন্য পদের তথ্য নেবে এনটিআরসিএ। এতে করে ভুল চাহিদা দেওয়া কমে যাবে। একই সঙ্গে প্রার্থীদের সুবিধার জন্য শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়ভিত্তিক শূন্য পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হবে। যেন প্রার্থীরা বুঝতে পারেন কোন বিষয়ে কত পদ শূন্য রয়েছে।
প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ প্রসঙ্গে মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগের জন্য সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে। কমিটিতে তিন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএর প্রতিনিধি রয়েছে। এ কমিটি শিগগিরই সভা করে প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ নীতিমালা তৈরি করবে।’
তিনি বলেন, ‘এনটিআরসিএ নাকি পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান নিয়োগ হবে সেটি এই মুহূর্তে বলা কঠিন। বিষয়টি কমিটি চূড়ান্ত করবে। তবে এতটুকু নিশ্চিত করে বলতে পারি, ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে আর প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ হবে না।’
মো. আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়ে আমরা একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেখানে মাদ্রাসার ক্ষেত্রে ১৪০ নম্বর সাবজেক্টিভ এবং ৬০ নম্বর জেনারেল (বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞান) বিষয়ে পরীক্ষা হবে। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে প্রার্থীকে ৮০ নম্বর পেতে হবে। সাবজেক্টিভ এবং জেনারেলে আলাদা আলাদা ৪০ পেলে হবে না। দুটো মিলিয়ে তাকে ৮০ নম্বর পেতে হবে।’