১১ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৩১

ভুল চাহিদা দেওয়ায় ১১ প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও বাতিলের শঙ্কা

এনটিআরসিএ  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে (এনটিআরসিএ) ভুল ও প্যাটার্ন বহির্ভূত শূন্যপদের তথ্য পাঠানোর অভিযোগে ১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান এমপিও হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। শূন্যপদ পাঠানোর ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা ও সতর্কতা না দেখিয়ে অবহেলার কারণে এ শাস্তি পেতে যাচ্ছেন তারা।

ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রধানদের কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) পাঠিয়েছে এনটিআরসিএ। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

সোমবার (১১ আগস্ট) এনটিআরসিএর পরিচালক আবদুর রহমান স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, ‘২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর ৬ষ্ঠ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আওতায় অনলাইনে শূন্যপদ পাঠাতে বলা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে ডা. মোসলেম উদ্দিন খান ডিগ্রি কলেজ, টুনিয়াঘরা মহিলা আলিম মাদরাসা, সেরাজনগর মুনছর আলী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, ভাকুর্তা ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, জগীর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলিয়া দিগর দাখিল মাদরাসা, গোয়ালন্দ প্রপার হাইস্কুল, দুর্বাডাঙ্গা বাটবিলা দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদরাসা, জমশেদ আলী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, আমগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ও খালাশ পীর দারুল-হুদা ফাযিল মাদরাসার প্রধানরা চাহিদা পাঠান।

এসব পদের জন্য প্রার্থীদের আবেদন গ্রহণ ও নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানরা নিজেরাই পদগুলো বাতিলের আবেদন করেন। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, এমপিও নীতিমালা ২০২১ অনুযায়ী প্যাটার্ন বহির্ভূত চাহিদা দিলে প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের শতভাগ বেতন-ভাতা নিজস্ব তহবিল থেকে দিতে হবে। তা না হলে প্রধানের এমপিও স্থগিত, কমিটির সভাপতির পদ শূন্য ঘোষণাসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এনটিআরসিএ জানিয়েছে, কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না—তা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতে হবে।