এনটিআরসিএ’র সুপারিশ পাওয়া গেছে, এবার করণীয়?
দেশের বহু চাকরিপ্রার্থীর মনে আশার আলো জাগিয়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কতৃর্পক্ষ ‘এনটিআরসিএ’ ফল প্রকাশ করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে (ngi.teletalk.com.bd) এ তালিকা দেখা যাচ্ছে। প্রার্থীরাও নিজ নিজ মোবাইল নম্বরে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে ফল জানতে পারছেন।
প্রার্থীদের যোগদানের ব্যাপারে এনটিআরসিএ বলছে, জাতীয় মেধাতালিকার ভিত্তিতে বাছাইপূর্বক বিধি মোতাবেক প্রতিটি পদের বিপরীতে একজন করে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে। যা এসএমএস করে নির্বাচিত প্রার্থীকে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিকেও মোবাইল ফোনে ও লিখিতভাবে নির্বাচিত প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। প্রার্থীরা শিঘ্রই যোগদান করতে পারবেন। এসএম আশফাক হুসেন বলেন, চূড়ান্ত প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জানিয়ে দেয়ার দিন থেকে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে যোগদান করতে হবে। এ সময়ে কেউ যোগদান না করলে পদটি শূন্য হয়ে যাবে।
ক্ষুদেবার্তা পাওয়া একাধিক প্রার্থীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এনটিআরসিএ’র সুপারিশ পাওয়ার পরও অনেক সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কমিটিকে ঘুষ দিতে হয়- এ ধরণের তথ্য তারা শুনেছেন। তাদের ক্ষেত্রেও যদি এমন হয়, তখন তো অসহায় হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। এ ব্যাপারে এনটিআরসিএ’র হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
তবে এনটিআরসিএ সূত্র জানায়, কোনও প্রতিষ্ঠান সুপারিশকৃতদের নিয়োগে বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেলে এনটিআরসিএ থেকে শিক্ষা বোর্ডকে বিষয়টি জানানো হবে। বোর্ড প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি ভেঙ্গে দিবে। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান ঘুষ দাবি করলে বিষয়টি তাৎক্ষণিক এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে এনটিআরসিএ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করবে বলেও জানায় ওই সূত্রটি।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে শিক্ষক পদে ৩১ লাখ আবেদন জমা পড়ে।