২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৫৯

স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ফল প্রস্তুত, চলতি সপ্তাহেই প্রকাশ: চেয়ারম্যান

চলতি সপ্তাহেই নিবন্ধনধারীদের ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান এস এম আশফাক হুসেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ফল তৈরির কাজ প্রায় শেষ; এখন যাচাই-বাছাই চলছে। চলতি সপ্তাহেই সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এসএমএস পাঠানো শুরু হবে। এরপর শুরু হবে যোগদান প্রক্রিয়া।

এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের ভাষ্য, ‘স্বচ্ছ ও নির্ভুলভাবে নিয়োগের ফল তৈরি হয়েছে। এখানে অনিয়ম করার সুযোগ নেই। যদি কেউ করেও থাকে তবে তা সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। তাই এ বিষয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলতে পারবে না বলে।’

বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ দেয়ার লক্ষ্যে গত ১৮ ডিসেম্বর গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। গত ১২ জুন যাদের বয়স ৩৫ অথবা তার কম এবং জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য শর্ত পূরণ করবে শুধু তারাই আবেদন করতে পারবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এ প্রেক্ষিতে গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন করা শুরু করেন নিয়োগ প্রত্যাশীরা। আবেদন চলে আজ ২ জানুয়ারি পর্যন্ত। যদিও সে সময় একজন শিক্ষার্থী একাধিক আবেদন করতে বাধ্য হওয়ায় আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে নামামুখী সমস্যা দেখা দেয়।

সে সময় এনটিআরসিএ সচিব মো. আ. আউওয়াল হাওলাদার বলেছিলেন, আবেদনের বিষয়ে সমস্যার কথা জানাতে অনেকেই আমাদের কাছে আসছেন। আমরা ভবিষ্যতে বিষয়টি ভেবে দেখব। বেশি আবেদন করে নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু- এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সচিব বলেন, যিনি যত বেশি আবেদন করবেন; তার নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। তবে মেধাতালিকায় এগিয়ে থাকা নিয়োগপ্রত্যাশীদের খুব বেশি আবেদন না করার পরামর্শ দেন তিনি।

এনটিআরসিএর গণ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১ম থেকে ১৪তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়োগপ্রত্যাশীদের ফাঁকা পদগুলোর বিপরীতে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক আবেদন করতে বলা হয়। প্রাপ্ত আবেদন জাতীয় মেধার ভিত্তিতে বাছাইপূর্বক বিধি মোতাবেক প্রতিটি পদের বিপরীতে চূড়ান্তভাবে একজন করে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে।

মূলত সেই প্রক্রিয়ার ধারবাহিকতাতেই চলতি সপ্তাহে ফল প্রকাশ করা হবে।