শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা বোর্ড বৃদ্ধির দাবি, যা বলল এনটিআরসিএ
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রথম ধাপের ভাইভা শুরু হয়েছে গত ২৭ অক্টোবর থেকে। আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত এ ধাপের ভাইভা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ধাপের ভাইবার তারিখ ঘোষণা করেছে এনটিআরসিএ। গত ৩ নভেম্বর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক (এনটিআরসিএ) প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে ১৪ নভেম্বর থেকে। আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের ভাইভা গ্রহণ করা হবে।
দুইটি ধাপে ১০টি বোর্ডে প্রতিদিন ৬০০ প্রার্থীর ভাইভা নিচ্ছে এনটিআরসিএ। তবে ভাইবায় অংশ নেয়া প্রার্থীরা জানিয়েছেন, লম্বা সময় তাদের অপেক্ষা করতে হয়। ভাইভা বোর্ড বৃদ্ধি করা গেলে আরও স্বল্প সময়ে ভাইভার কার্যক্রম সম্পন্ন হতো। প্রতিদিন আরও বেশি সংখ্যায় ভাইভা নিলে দৃত সময়ে কার্যক্রম সম্পন্ন করে চূড়ান্ত ফলাফল জানা যেত। দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় অনেক লম্বা সময় যাচ্ছে, এই সময়ে অন্য কোন কাজে মনস্থির করা সম্ভব হচ্ছে না।
শেরপুর থেকে আসা সোহানুর রহমান জানান, অনেক দূর থেকে এসেছি। এখানে লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হল। তারচেয়ে বড় বিষয় হলো কতদিন যাবৎ এ প্রক্রিয়া চলবে, সেটা জানা নেই। কিন্তু এনটিআরসিএ চাইলে আরও দ্রুত সময়ে সব প্রার্থীর ভাইভা সম্পন্ন করে ফলাফল প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করার ফলে অনেক বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে। ভাইভা গ্রহণ এবং ফলাফল প্রকাশের মতো বিষয়গুলোতে আরও কম সময় ব্যয় হওয়া উচিত। এমনও অনেকে আছেন, যারা অপেক্ষা করতে করতে অন্য চাকরিতে চলে যেতে বাধ্য হয়।
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রথম শিফটে ও বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দ্বিতীয় শিফটে ভাইভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রার্থীদের প্রদান করা এসএমএসে ভাইভার সময় এবং বোর্ডসহ অন্যান্য তথ্যগুলো জানানো হয়।
তবে ভাইভা বোর্ড বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। কারণ নিয়োগ হল একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, এতে কতদিন সময় লাগবে কিংবা কোন প্রদ্ধতিতে সেটা সম্পন্ন হবে এটা সম্পূর্ণ অথরিটি বিষয়। কর্তৃপক্ষ যেই পদ্ধতি এবং কাঠামোকে ভালো মনে করবে তারা সেভাবেই আগাবে। প্রার্থীরা কি বলল সে বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
সময় বেশি ব্যয় হওয়ার প্রসঙ্গ তুললে সচিব বলেন, আমাদেরও কনসার্নের বিষয় হল স্বল্প সময়ে নিয়োগের প্রসেস সম্পন্ন করার। আমরা দ্রুত সময়ে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্যই এখানে এসেছি। কাজেই এটা প্রার্থীদের বলার আগে আমাদের বিবেচনায় থাকবে, তারা না বললেও কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ে নিয়োগের প্রসেস সম্পন্ন করবে।
প্রসঙ্গত, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করা ১৮ লাখ ৬৫ হাজার প্রার্থীর মধ্যে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ৪ লাখ ৭৯ হাজার প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তাদের মধ্য থেকে ৩ লাখ ৪৮ হাজার প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। উত্তীর্ণ হয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন। ২ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি প্রার্থী লিখিত পরীক্ষা গণ্ডি পার হতে পারেননি।