ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির পরও থাকবে শিক্ষক শূন্যপদের বোঝা?
শিক্ষক সংকটে গত কয়েক বছর ধরে ধুকছে দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ মুহূর্তে দেশের ৩৩ হাজারের কিছু বেশি বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭৬ হাজারের বেশি এন্ট্রি লেভেলের সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য। গত কয়েকবছর ধরেই এ পরিস্থিতি চলবে। তবে, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগের পর এ বোঝা থাকবে না বলে মনে করছেন এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কর্মকর্তারা।
গত কয়েকবছর ধরেই বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধুঁকছে শিক্ষক সংকটে। ২০২১ সালের শুরুতে এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৪ হাজার শিক্ষক পদ শূন্য ছিলো। তৃতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের পর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শিক্ষক শূন্য পদের সংখ্যা ছিলো ৬৮ হাজার। গত বছর চতুর্থ ধাপে শিক্ষক নিয়োগের পরও থেকে যায় সংকট। চলতি বছরের শুরুতে শিক্ষক শূন্য পদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৬ হাজার ৭৩৬টিতে। এসব পদে নিয়োগ সুপারিশে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেও যোগ্য প্রার্থী সংকটে তা পূরণ হয়নি। ১৯ হাজার ৫৮৬ প্রার্থীকে চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। সে হিসেব অনুসারে এখনও ৭৬ হাজারের বেশি শিক্ষক পদ শূন্য আছে।
আরও পড়ুন : শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেয়ার দাবিতে হট্টোগোল, যা আছে বিধিতে
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী বছরে প্রথমার্ধে শিক্ষক নিয়োগের ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা আছে এনটিআরসিএর। আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন প্রার্থীর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে। এ পরীক্ষা নিতে ছয় মাসের মত সময় লাগবে। সে হিসেব অনুসারে মে-জুন মাস নাগাদ ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা আছে। যদিও এ নিয়ে এখনই সুস্পষ্ট মন্তব্য করতে চাচ্ছেন না কর্মকর্তারা। ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের উদ্দেশ্যে ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চলছে। আগামী তিন বছরের শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহ করার লক্ষ নিয়েছে এনটিআরসিএর।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা শেষে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি জারির বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : শিক্ষক সংকটে ধুঁকছে শিক্ষা, সহসা নিরসনের আশাও নেই
তবে ভাইভা কবে শেষ করা যাবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট মন্তব্য করতে চাননি এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, অন্যান্যবারের চেয়ে এবার প্রার্থী বেশি হওয়ায় আমরা দুইটি বোর্ড বাড়িয়ে ১০টি বোর্ডে ভাইভা নেয়া হবে। প্রতিটি বোর্ডে আগে প্রতিদিন ৫০ জন প্রার্থী ভাইভা দেয়ার সুযোগ পেলেও এবার তা বাড়িয়ে ৬০ জন করা হয়েছে। আমরা দ্রুততম সময়ে ভাইভা শেষ করতে কাজ করছি।
এ গণবিজ্ঞপ্তির পর শিক্ষক শূন্যপদের বোঝা থাকবে কী-না জানতে চাইলে সচিব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের আশা থাকবে না। ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন প্রার্থী ভাইভায় বসছেন। এরমধ্যে কিছু হয়তো বাদ যাবেন। আমরা আশা করছি ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগের পর শিক্ষক শূন্যপদের যে আধিক্য এতোদিন ছিল তা থাকবে না।